বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা খুব তাড়াতাড়ি ফলাফল আশা করি। যেমন আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা চাই, খুব কম সময়েই আমাদের চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে। তাদের জন্য আজকে আমি খুবই উপযোগী একটি পদ্ধতি আলোচনা করব।
[picture]
এখানে মূলত একটি মাস্কের বিষয়ে থাকবে যা চুলের বৃদ্ধি খুব দ্রুত ত্বরান্বিত করতে সক্ষম। আসুন প্রথমেই তাহলে জেনে নিই, এই মাস্কটি বানাতে জন্য আমাদের কী কী উপকরণ লাগছে-
প্রয়োজনীয় উপাদান
১। সরিষা পেস্ট বা পাউডার ( এক টেবিল চামচ সমপরিমাণ )
২। কুসুম গরম পানি ( দুই থেকে তিন টেবিল চামচ সমপরিমাণ)
৩। অলিভ অয়েল ( এক টেবিল চামচ সমপরিমাণ )
৪। ডিম ( একটি )
প্রণালী
- প্রথমে, এক টেবিল চামচ সমপরিমাণ সরিষা পেস্ট কিংবা পাউডারের সাথে দুই থেকে তিন টেবিল চামচ কুসুম গরম পানি মেশান। ঘন একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তাতে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল আর একটি সম্পুর্ণ ডিম যোগ করুন। এখন এই সব উপকরণ ভালোভাবে মেশানোর পরে একটি মিশ্রণ পাবেন। আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী উপকরণের পরিমাণ কম বেশি করতে পারেন। তবে কোনো উপকরণ বাদ দিবেন না। কারণ এই মাস্কটিতে সব উপকরণের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে।
- এখন এই মাস্কটি আপনার মাথার পরিষ্কার শুকনো স্ক্যাল্পে লাগান। চুলের শাইন বৃদ্ধিতে স্ক্যাল্প বাদে চুলে আপনার পছন্দসই তেল ( কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে এটা সম্পুর্ণ ঐচ্ছিক একটা ধাপ।
- চুলের গোঁড়ায় সম্পুর্ণ মাস্কটি লাগানো হয়ে গেলে একটি তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখুন।
- সরিষার প্রভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে স্ক্যাল্পের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এভাবে চুলের বৃদ্ধিও ত্বরান্বীত হয়। মাস্কটি পাঁচ থেকে সাত মিনিট মাথায় রাখুন। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। পাঁচ থেকে সাত মিনিটের আগেই যদি মাথায় সরিষার উত্তাপ অসহনীয় হয় তবে তখনই ধুয়ে ফেলুন।
- এই ট্রিটমেন্টটি খুবই কার্যকর। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন কিন্তু এর বেশি না। এভাবে মাস্কটি পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
ফলাফল
মাস্কটি ব্যবহারে আপনার চুলের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে এর ঘনত্বও বাড়বে। তবে মনে রাখবেন চুল বৃদ্ধি পাওয়ার দ্রুততা আরও কিছু ফ্যাক্টরের উপরেও নির্ভর করে। যেমন- স্বাস্থ্য, সুষম খাদ্য, আপনার লাইফ স্টাইল, জীন, স্ট্রেসের পরিমাণ, পরিবেশের অবস্থা ইত্যাদি। তাই ব্যক্তি ভেদে এই মাস্কের উপকারীতার তারতম্য হতে পারে। তবে সব ঠিক থাকলে এই মাস্ক ব্যবহারে খুব দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
সতর্কতা:
১। এই মাস্কে ব্যবহৃত কোনো উপাদানে আপনার অ্যালার্জি থাকলে মাস্কটি ব্যবহার করবেন না।
২। মাস্কটি সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না।
৩। পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহারের করুন।
৪। প্রতিবার শ্যাম্পুর করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
৫। শ্যাম্পু করার সময় গরম পানি ব্যবহার করবেন না।
লিখেছেন – নীল