আপনি কি মনে করেন, গরম মধু পানি শুধু মাত্র সর্দি কাশির জন্য উপকারী? তাহলে আজকের এই লেখাটি আপনার জন্যই। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, প্রতিদিন এই গরম মধু পানি পান করার একটি মাত্র অভ্যাসই আপনার কাঙ্ক্ষিত শারীরিক সুস্থতার কারণ হতে পারে! প্রত্যেকদিন এই পানীয় পানের উপকারীতা কী হতে পারে আসুন জেনে নেই!
সকালে ১ গ্লাস গরম মধু পানি খাবার উপকারিতা
(১) অ্যালার্জির সংবেদনশীলতা কমায়
প্রতিদিন গরম মধু পানি পান আপনার অ্যালার্জির অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত গ্রহণে অতিপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী বস্তু যেমন ফুলের রেণু, ধুলো বালি এগুলোর প্রতি সুবেদিতা হ্রাস করে।
(২) দেহের অতিরিক্ত ওজন কমায়
গরম মধু পানি বা হানি ওয়াটার পানের আরেকটি উপকার হচ্ছে এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কেননা মধু মিষ্টি হলেও এতে বিদ্যমান সুগার প্রাকৃতিক। তাই সাধারণ চিনির মত নয়।
(৩) কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে
সকালে গরম মধু পানি গ্রহণে কর্মশক্তি বাড়ে। প্রথমত সকালে যদি আপনি সামান্য ডিহাইড্রেশন এ ভুগেন ফলে ক্লান্তি অনুভব করেন তবে এই পানীয়টি তৎক্ষণাৎ কর্মশক্তি বাড়িয়ে দিতে সহায়ক। কেননা মধুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট।
(৪) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত পানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মধুর রয়ছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। ফলে বিভিন্ন ধরনের অসুখ ও ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া এতে যে অনেক ধরনের মিনারেল, ভিটামিন ও এনজাইম রয়েছে তা দেহের নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমের জন্য অত্যাবশ্যক।
(৫) ত্বক পুনর্যৌবন লাভ করে
গরম মধু পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে ত্বকের রঙের পরিবর্তন লক্ষণীয়। তাছাড়া কোলাজেন তৈরি বৃদ্ধি পায়, ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে, রক্ত পরিষ্কার করে ত্বকের যেকোনো ধরণের ব্রেকআউট ও ত্বককে নিস্তেজ হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করে।
(৬) পরিপাক তন্ত্রের উন্নতি সাধন করে
গরম মধু পানি পান করলে পাকস্থলীর এসিডিটি হ্রাস পায়, মিউকাস বেশি পরিমাণে উৎপন্ন হয়। ফলে খাদ্য পরিপাক সহজতর হয়। দেহের গ্যাস অপসারণেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
(৭) দেহের বিষাক্ত বজ্র পদার্থ নিরসন করে
পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে শরীরের বজ্র পদার্থ বাইরে বের করে দেয়।
(৮) বিভিন্ন ধরণের হার্টের রোগ থেকে রক্ষা করে
গরম মধু পানি দেহের কোলেস্টরল কে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি দেহে ভালো কোলেস্টরলের পরিমাণ বাড়ায় যা কার্ডিওভাস্কুলার স্ট্রেইন কমিয়ে হার্টের রোগ থেকে নিস্তার পেতে সাহায্য করে।
(৯) সর্দি কাশিতে প্রশান্তি প্রদান করে
সর্দি কাশি আর ঠান্ডায় জর্জরিত অবস্থায় গরম মধু পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে আরাম পাওয়া যায়।
(১০) দ্রুত বয়সের ছাপ পড়া থেকে পরিত্রাণ দান করে
নিয়মিত এই পানীয় পান করলে ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়েনা। মধুতে যে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে তাতে ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস উষ্ণ মধু পানি পান করার উপকারিতাগুলোতো জানলেন। তাহলে আর দেরি কেনো? আজ থেকেই পান করা শুরু করুন।
লিখেছেন – নীল
ছবি – ডিভালাইকস.কম