আমরা প্রতিদিন রান্না করার পর অথবা কোন ফল খাওয়া শেষ হলে অবশিষ্ট অংশটুকু ফেলে দেই। কিন্তু এই অবশিষ্ট খাদ্য দ্রব্যকেও আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। যেমন-
(১) ভাত রান্না করার পর এর মাড়টুকু ফেলে না দিয়ে একটি পরিষ্কার পাত্রে ছড়িয়ে রাখুন। এবার এই মাড়ের সাথে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে পাতলা করে নিন। তারপর চিনি বা মধু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখার পর পরিবেশন করুন। গরমের সময় এ শরবত শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে।
[picture]
(২) ডিমের খোসা না ফেলে প্লাস্টিক ব্যাগে জমা করুন। বেশ কিছু খোসা জমা হলে আধা বালতি পানিতে সারাদিন ভিজিয়ে রাখুন। এ পানি আপনার টবে বা গাছের গোঁড়ায় ঢালুন। এটি উওম সার হিসেবে কাজ করবে। বিশেষ করে গোলাপ গাছের জন্য।
(৩) বাসি পাউরুটি খেতে না চাইলে ডিমে ডুবিয়ে টোস্ট করে খাবেন। চমৎকার লাগবে। নোনতা টোস্ট পছ্ন্দ হলে ডিমে লবণ, গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে ফেটে নিবেন এবং এতে রুটির টুকরো ডুবিয়ে ঘি বা তেলে বাদামি করে ভেজে তুলবেন। মিষ্টি পছন্দ করলে ডিমে একটু দুধ চিনি মিশিয়ে ফেটে নিবেন।
(৪) বাসি তরকারির মধ্যে কিছু ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে দিন। এবার এতে লেবুর রস মিশিয়ে উনুনে নেড়েচেড়ে গরম করে নিন। দেখবেন তরকারিটি তাজা হয়ে উঠেছে।
(৫) কাঁচা কোন সবজি কয়েকদিন ঘরে রাখলেই তা শুকিয়ে যায়। কিন্তু এগুলো যদি পানি ভর্তি পাত্রে ডুবিয়ে রাখেন তাহলে দেখবেন আবার তরতাজা হয়ে উঠেছে।
(৬) ছানা তৈরি করার পর পানিটুকু আমরা ফেলে দেই,অথচ এই পানিটুকু ক্যালসিয়ামে ভরপুর। এই পানি না ফেলে মাংস অথবা অন্য কোন তরকারিতে পানির বদলে ব্যবহার করুন। আবার চিনি মিশিয়ে গরম গরম খেলে-ও উপকার পাওয়া যাবে। এ ছাড়া এই পানিটুকু দিয়ে চুল ধুলে খুশকি দূর হবে এবং চুল ঘন কালো ও মসৃণ হবে।
(৭) ডালিমের খোসা, পাকা কালো জামের বিচি ইত্যাদি ফেলে দিবেন না। এগুলো ভালো করে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে পাতলা কাপড়ে ছেঁকে বোতলে ভরে রেখে দিন। পরিবারের ছোট বড় কারো যদি পেট খারাপ হয় তাহলে এই গুঁড়ো পাউডার পানিতে মিশিয়ে খেতে দিবেন। বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
(৮) ডিম টাটকা রাখতে হলে চূণের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ কিছুদিন টাটকা থাকবে।
(৯) কাঁচা মরিচ বেশি দিন ঘরে রাখতে চাইলে হলুদের গুঁড়ো মেখে ঢাকনা আছে এমন কাঁচের পাত্রে ভরে ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন।
(১০) লেবু খাওয়ার পর এর টুকরো গুলো না ফেলে বরং অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এই সেদ্ধ করা লেবুগুলো হাত দিয়ে চটকিয়ে পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন।শরীর ঝরঝরে থাকবে।
লিখেছেন – সালমা