অনেক সময় দেখা যায় হঠাৎ পার্টির দাওয়াত কিন্তু পার্লারে যাওয়ার একদম সময় নেই, এদিকে ভ্রুর অবস্থা ১২টার কাঁটায় পা দিয়ে রেখেছে। ভেবেছিলেন নজর কাড়া চোখের মেকআপ দিয়ে ভ্রুর খুঁত ঢেকে ফেলবেন। কিন্তু আপনি কি জানেন চোখের সাথে ভ্রুর সম্পৃক্তটা অনেক বেশি? দেখা গেল সুন্দরভাবে চোখের সাজ দিয়েও ভ্রুর কারণে পুরো সাজটাই মাটি হয়ে গেলো। তাই পার্লারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেই ঝটপট ভ্রু প্লাক করার কয়েকটি টিপস জেনে নিন।
ভ্রু প্লাক করতে ১১টি টিপস
১. প্রথমে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি গোসল করার পর ভ্রু প্লাক করেন। কারণ এ সময় লোমের গোড়ালি নরম থাকে। এতে আপনি প্লাক করার সময় ব্যথা কম পাবেন।
২. সঠিক টুইজার নির্বাচন করুন। আজকাল বাজারের বিভিন্ন শেপ এবং ম্যাটেরিয়ালের টুইজার পাওয়া যায়। নিচে দেখানো চিত্র অনুযায়ী টুইজার কিনবেন।
সব সময় ফ্ল্যাট টিপস দেখে কিনবেন কারণ পয়েন্টটেড টিপস ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লোম তুলতে ততটা কার্যকরী না উপরন্তু লোম তোলার সময় আপনার ত্বককে পিঞ্চ করে।
৩. এবার ভ্রুর ওপর কিছু পাওডার ছিটিয়ে নিন তাহলে আপনি কিছুটা কম ব্যথা পাবেন।
৪. এবার উজ্জ্বল আলো আছে এমন কোন জায়গায় আয়নার সামনে দাঁড়ান। আপনার ভ্রু ব্রাশ করুন আর পরিষ্কার টুথব্রাশ দিয়ে ভ্রুর চুলগুলোকে বাইরের দিকে আঁচড়ে নিন।
৫. যে ডিরেকশনে চুল গজায় সে দিকে চুলগুলো টুইজ করুন। অনেকগুলো চুল একসাথে নেবেন না। অল্প অল্প করে ভ্রু প্লাক করুন।
৬. যে কোন দিক থেকেই শুরু করা যায় কিন্তু আপনি যদি একটু সিস্টেম্যাটিক ওয়েতে এগোতে চান তাহলে আগে ভ্রুর নিচের দিকের অংশ তারপর উপরের দিকে সব শেষে ২ টি ভ্রুর মাঝের অংশ প্লাক করুন।
৭. সঠিক ভ্রু হলো যেটা অল্প arch থাকে। ডিরেকশন ঠিক করার জন্য একটি পেন্সিল নিন এবং এটি প্যারালালি আইরিশের বাইরের প্রান্তের সাথে হোলড করুন।
ধরে নিন ছবিটির D একটি পেন্সিল। arch এর সর্বোচ্চ যে অংশটি থাকবে সেটি হল B। ভ্রুর প্রারম্ভিক অংশ হবে নাকের এক পাশ থেকে যেটি A হিসেবে দেখান হয়েছে, আর শেষের অংশটি হবে আউটার নষ্টাইল পার্ট বরাবর। C রেখাটি দেখুন। দুই ভ্রুর মাঝের অংশটি চোখের চেয়ে একটু প্রশস্ত হতে পারে অথবা সমান হতে পারে।
৮. প্রতিটা ধাপ সম্পন্ন করে একবার থামুন আর নিজের কাজটা একবার দেখুন।
আর নিচের ছবিটি দেওয়া হলো আপনাদের সুবিধার্থে। এটি দেখে আপনি বুঝতে পারবেন কোন ফেইস শেপের সাথে কোন ধরনের ভ্রু মানায়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
৯. যদি ওভার প্লাক করে ফেলেন তাহলে ২/৩ সপ্তাহ ভ্রু প্লাক করা বন্ধ রাখুন। তাহলে আবার চুল গজালে শেপ করে নিতে পারবেন।
১০. পেন্সিল পদ্ধতি যদি বেশি ঝামেলা লাগে তাহলে রঙ পেন্সিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিন। তারপর এই আঁকার বাইরে যে চুল থাকবে সেগুলো প্লাক করে নিন।
১১. সব সময় মনে রাখতে হবে কারও ভ্রুই প্রতিসম না। তাই সেভাবেই ভ্রু দুটি টুইজ করতে হবে।
আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো প্রোডাক্ট কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার এ অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি!
প্রত্যেক কাজের জন্য অনুশীলন খুব জরুরী। প্রথম প্রথম একটু সমস্যা হতে পারে কিন্তু নিয়মিত প্র্যাকটিসের মাধ্যমে আপনি হতে পারেন এই কাজে পারদর্শী।
ছবিঃ সংগৃহীত – স্টাইলক্রেজ.কম, মেকআপটিউটোরিয়াল.কম, ডেস্কগ্রাম.নেট