আজ আপনাদের জন্য আছে সামার স্পেশাল do it yourself পিকটোরিয়াল। আমরা যারা এই কড়া রোদে আর গরমে বাইরে যাই (ক্লাসে, কাজে বা অন্য কোথাও) তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির একটা হচ্ছে সামার ট্যান। আর ব্যস্ততা তো আর জীবনে কম না যে প্রতিদিন নিজের পিছনে সময় দেয়া যাবে। পার্লারে যাবার কথা শুনলে তো অনেকে হেসেই উড়িয়ে দেন- আরে…। আছে নাকি এত সময়?
[picture]
আর ঠিক এজন্যই আপনাদের এমন দুটি মাস্ক বানিয়ে দেখাব যেগুলো একটু কষ্ট করে সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করলেই সারা দেহের ত্বক হবে আগের থেকে অনেক উজ্জ্বল আর ফর্সা। এর মধ্যে থেকে আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেকোনো একটি চুজ করতে পারেন অথবা চাইলে দুটি মাস্কই ব্যবহার করতে পারেন।
প্রথম রেসিপিঃ
এই মাস্ক রেসিপিটি নরমাল থেকে ড্রাই স্কিনের অধিকারীদের জন্য ভালো হবে।
যা যা লাগবে-
- এক টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ
তরল দুধ ব্যবহার না করাই ভালো কারণ তরল দুধে ফ্যাট তেমন পাওয়া যাবে না। এতে ড্রাই স্কিনের আর্দ্রতার চাহিদা পূরণ হবে না। ত্বক যদি বেশি ড্রাই হয় তবে দুধের বদলে সর ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা এই মাস্ক তৈরি করেন তখন দুধের বদলে টক দই ব্যবহার করবেন।
- আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া
- এক চা চামচ মধু
- একটা ছোট লেবুর অর্ধেকটা / এক চা চামচ লেবুর রস
- পরিমাণ মত গোলাপ জল
আমি এখানে শুধু মুখের জন্য মাস্ক বানাতে যে পরিমাণ লাগবে সেটা বলেছি। আপনারা হাতে পায়ে বা সারা শরীরে লাগাতে চাইলে এই প্রপরশন ঠিক রেখে পরিমাণ বাড়িয়ে নেবেন।
যা করবেন-
- একটি বাটিতে গুঁড়া দুধ, হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
- এবার তার মধ্যে মধু আর লেবুর রস দিন।
- সব শেষে পরিমাণ মত গোলাপ জল দিয়ে ছবিতে দেখান কন্সিসটেনসি তৈরি করুন, ব্যাস হয়ে গেল আপনার মাস্ক।
- এই তারল্যে আপনাদের জন্য ট্যানড এরিয়া ম্যাসাজ করতে সুবিধা হবে।
- এই মাস্ক মুখে বা শরীরে লাগান। মুখে লাগালে ২ মিনিট আর শরীরের জন্য ৫ মিনিট ম্যাসাজ করে আরও ১০ মিনিট মাস্ক রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
- এই মাস্কটি আপনার হাঁটু আর কনুইয়ের জেদি কালো ছোপ দূর করতে কার্যকরী হবে।
এই মাস্কের সব উপকরনই ত্বকের ট্যান দূর করায় একটিভ উপাদান হওয়াএ ২-৩ বার এই মাস্ক ব্যবহারেই অনেক ভালো ফল পাবেন।
দ্বিতীয় রেসিপিঃ
এই মাস্ক রেসিপিটি কম্বিনেশন, অয়েলি আর সেনসিটিভ স্কিনের অধিকারীদের জন্য ভালো হবে।
যা যা লাগবে-
- গ্রেট করে নেয়া শশার পেস্ট, আধা চা চামচ
- টমেটোর রস, এক চা চামচ
- আধা চা চামচ টক দই
- আধা চা চামচ মধু
- এক চিমটি গুঁড়া হলুদ
- এক টেবিল চামচ লেবুর রস
- এক চা চামচ বেসন/ তৈলাক্ত টক হলে এক চা চামচ মুলতানি মাটি নেবেন
যা করবেন-
- শশার পেস্ট আর টমেটো এবং লেবুর রস একটি বাটিতে মেশান
- এবার তার মধ্যে টক দই আর মধু আর এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিন। আবারো ভালো ভাবে মেশান।
- এবার তৈরি হওয়া মিশ্রণে মুলতানি মাটি বা বেসন দিয়ে দিন।
- ভালো করে মিশিয়ে ছবির কন্সিসটেনসিতে নিয়ে আসুন যাতে ত্বকের সাথে মাস্ক ভালো ভাবে লেগে থাকে।
- ব্যাস তৈরি হয়ে গেল।
- এই মাস্ক ব্যবহারের জন্য ত্বক ধুয়ে স্ক্রাব করে নিলে ভালো ফল পাবেন।
- ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে হালকা মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।
- আপনার আন্ডার আর্মে কালো ছোপ থাকলে সেখানেও এই মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
- মাস্কটি ২-৩ দিন ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
এই দুটি মাস্কই রোদে পোড়া কালচে ত্বককে উজ্জ্বল আর ফর্সা করে তোলার জন্য বেশ কার্যকরী। শুধু মনে রাখবেন দুটি মাস্কেই যেহেতু লেবু আর হলুদ আছে, ব্যবহারের সাথে সাথে কখনই রোদে যাবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি রাতে এই মাস্ক ব্যবহার করেন। আর হ্যা, রোদের ড্যামেজ থেকে বাঁচতে অবশ্যই spf 40 সানস্ক্রিন আর ছাতা ব্যবহার করুন। ট্যান ফেরত আসার সুযোগই পাবে না।
লিখেছেনঃ মীম তাবাসসুম
ছবিঃ ওয়ানএমএস.নেট