ভারি খাবারের পর একটু মিষ্টি কিছু না খেলে কি হয়? একদম না! এতে রুচি ও স্বাদ দুটোই বাড়ে! খুব সহজেই যেন ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এমন দু’টি রেসিপি আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম।
[picture]
১) নেশেস্তার হালুয়া
বাঙালির সব আনন্দ উৎসব আর আয়োজনে মিষ্টি জাতীয় খাবার থাকবেই। এটা ছাড়া যেন জমেই না। আর মিষ্টি খাবারের ভিতর হালুয়া আমাদের সবারই বেশ পছন্দ। তাই আমাদের আজকের রেসিপি – “নেশেস্তার হালুয়া”। চলুন রেসিপি-টা জেনে নেই।
উপকরণ
- কর্ন ফ্লাওরার – ১ কাপ
- চিনি – ২ কাপ
- লেবুর রস – ২ টেবিল চামচ
- ঘি – ১/২ কাপ
- এলাচ গুঁড়া – ১/৩ চা চামচ
- কাজু ও পেস্তা বাদাম কুচি – পরিমাণমতো
- ফুড কালার – কয়েক ফোঁটা
প্রস্তুত প্রণালী
– প্রথমে একটি পাত্রে এক কাপ পানিতে কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়ে ভালোভাবে গুলিয়ে পাতলা একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
– এবার চুলায় একটা প্যান-এ চিনি এবং এক কাপ পানি মিশিয়ে মিডিয়াম আঁচে বারবার নেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে যেন চিনিটা সুন্দরমতো পানিতে গলে যায়। তারপর তাতে লেবুর রসটা দিয়ে দিতে হবে। এতে করে চিনিটা জমাট বাধবে না এবং হালুয়াতে সুন্দর একটা সুবাস আসবে।
– এবার কর্ন ফ্লাওয়ার-টা চিনির মিশ্রণে ঢেলে দিতে হবে (মনে রাখবেন, ঢালার আগে অবশ্যই কর্ন ফ্লাওয়ার-এর মিশ্রণটি আরেকবার গুলিয়ে নিতে হবে)। মিডিয়াম আঁচে মিশাতে হবে আর ঘন ঘন নাড়তে হবে ( না হলে পাত্রের নিচে লেগে যাবে)। মিশ্রণটি ধীরে ধীরে ঘন ও স্বচ্ছ হতে থাকবে, তখন চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে দিতে হবে। তারপর মিশ্রণটিতে এলাচ গুঁড়ো আর কয়েক ফোঁটা ফুড কালার দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
– সর্বশেষ ১/২ কাপ ঘি আর বাদাম কুঁচি দিয়ে মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর হালুয়াটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে উপরটা চামচ বা বাটার নাইফ দিয়ে সমান করে নিতে হবে। পুরো পাত্রে অবশ্যই হালুয়া ঢালার আগে ঘি লাগিয়ে নিতে হবে। ডেকোরেশন-এর জন্য হালুয়ার উপর আরও কিছু বাদাম কুচি দিয়ে নিতে পারেন।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার নেশেস্তার হালুয়া।
২) ফ্রুটস জেলো পুডিং
এই পুডিং-টা লেয়ার বাই লেয়ার সাজানো হয়। এটি দেখতেও খুব সুন্দর আর খেতেও সুস্বাদু।
উপকরণ
- পানি
- চিনি
- জেলাটিন পাউডার
- ৩/৪ রকমের ফল পছন্দমতো
- ২৫০ মিলি দুধ
- ফুড কালার
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথম লেয়ার: একটি পাত্রে ৩০০ মিলি পানি নিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ চিনি এবং ১.৫ চা চামচ জেলাটিন পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। তারপর মিডিয়াম আচে নাড়তে হবে। একটু আঠালো ভাব হয়ে আসলে নামিয়ে নিতে হবে (অবশ্যই দেখে নিতে হবে যে মিশ্রণটি জমছে কিনা ঠিকমতো)। তারপর একটি পাত্রে ৩/৪ রকমের পছন্দমতো ফল সাজিয়ে তার ভিতর মিশ্রণটি ঢেলে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে জমাট বাধার জন্যে।
দ্বিতীয় লেয়ার: একটি পাত্রে ২৫০ মিলি দুধ, ২ টেবিল চামচ চিনি আর এক চা চামচ জেলাটিন পাউডার মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে মিডিয়াম আচে ঘন ঘন নাড়তে হবে। তারপর নামিয়ে কুসুম গরম অবস্থাতেই প্রথম লেয়ার এর উপর ঢেলে দিয়ে আবার ফ্রিজে রেখে দিতে হবে জমাট বাধানোর জন্যে।
তৃতীয় লেয়ার: একটি পাত্রে ২৫০ মিলি পানি, ২.৫ টেবিল চামচ চিনি, দুই ফোঁটা খাবার রঙ আর এক চা চামচ জেলাটিন পাউডার দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। মাঝারি আচে মিশ্রণটি বানিয়ে ঠাণ্ডা করে নিয়ে কুসুম গরম অবস্থায় আগের জমাট বাধা পুডিং এর উপর ঢেলে দিতে হবে। তারপর আবার ফ্রিজে রাখতে হবে জমে পুডিং-টা তৈরির জন্যে। এখানে আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো ফুড কালার ব্যবহার করতে পারেন।
এভাবে পর পর লেয়ার-গুলো তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার ফ্রুট জেলো পুডিং।
এই ছিল আজকের ২ টি সুইট ডিস-এর রেসিপি। বাজারের যেকোনো গ্রোসারি স্টোর থেকে এগুলো বানানোর দরকারি খাদ্য উপকরণগুলো কিনে নিতে পারবেন। তবে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন তা ভেজালমুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়। খাবার শুধু মজাদার হলেই চলবে না, সাথে স্বাস্থ্যকর হওয়া চাই। ভরসা রাখতে পারেন অনলাইন ফুডশপ -এর ওপর। তারা ন্যায্যমূল্যে নিরাপদ খাবার সরবরাহ করে থাকে।
লিখেছেন- তামান্না তাবাচ্ছুম