আনইভেন স্কিন,সান ট্যান এবং ওপেন পোরস আজকের দিনে প্রায় সবারই কমন সমস্যা। আজকে আমি আপনাদের জন্যে নিয়ে এসেছি এই সব সমস্যার অতি সাধারন কিন্তু খুবই ফলপ্রসূ একটি সমাধান। এই একটি মাত্র মাস্কই আপনাকে এনে দিবে কুড়ি বছর বয়সী ত্বকের জেল্লা। মাস্কটি আপনার ঝুলে পড়া স্কিনকে করবে টানটান,তারুণ্যদীপ্ত ও লাবন্যময় সানট্যান দূর করে স্কিনকে দিবে ঝলমলে লুক। এই হোয়াইটেনিং লাইটেনিং মাস্ক আপনার স্কিনের রঙ হালকা ও ফর্সা করার পাশাপাশি আপনার স্কিনে এনে দিবে গ্লসি লুক।
এই মাস্কে আপনার দরকার হবে মাত্র দুটি উপাদান। উপাদান দুটি হল-
- টমেটো
- এবং মধু
[picture]
এই দুটি উপাদানই সাধারণত আমাদের রান্নাঘরে সহজেই পাওয়া যায়। এখন আমি আপনাদের বলবো কীভাবে সহজেই মাস্কটি আপনারা তৈরী করবেন। মাস্কটি সকল স্কিনের জন্যে সুইটেবল সুতরাং নিশ্চিন্তে মাস্ক টি ব্যবহার করতে পারেন। মাস্কটি দুইভাবে স্কিনে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
একটি টমেটো নিয়ে এটিকে মাঝখান থেকে কেটে দুই ভাগ করুন। এরপর এক ভাগ টমেটো নিয়ে এর মাঝে খানিকটা মধু ঢেলে আঙুল দিয়ে টমেটোটা একটু খুঁচিয়ে দিতে হবে যাতে টমেটোর রস আর মধু এক সাথে মিশে যায়।
এবার টমেটোটা ভালো করে মুখে আর গলায় হালকা করে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে।জোরে ঘষার কোন দরকার নেই।আপনি চাইলে মাস্কটি হাতে পায়ে ও লাগাতে পারেন। যদি লাগাতে লাগাতে মনে হয় টমেটোটা শুকনো শুকনো লাগছে তাহলে আঙুল দিয়ে আরেকটু খুঁচিয়ে নিলেই হবে।
অথবা টমেটোটিকে ফুড প্রসেসর এ অথবা ব্লেন্ডারে ঢেলে ভালো করে ব্লেন্ড করুন। এরপর এর মধ্যে এক চা চামচ মধু ঢালুন। এরপর মুখ ভালো করে ধুয়ে একটি ব্রাশের সাহায্যে মুখ এবং গলায় লাগান। আপনি চাইলে হাত দিয়েও লাগাতে পারেন। যেটা আপনি সাচ্ছন্দ বোধ করেন। মাস্কটি লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিটস রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এরপর আপনি চাইলে রেগুলার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।ময়েশ্চারাইজার স্কিনের আদ্রতা ভেতর থেকে লক করে রাখে ফলে আপনার স্কিন থাকে গ্লসি ও সতেজ। মাস্কটির রেগুলার অ্যাপ্লিকেশন আপনার স্কিন কমপ্লেক্সকে করবে ফর্সা, হালকা, সুপার গ্লসি ও দশ বছর কম বয়সী টানটান স্কিন।
জেনে নেয়া যাক স্কিন হোয়াইটেনিং এন্ড পোরস টাইটেনিং মাস্কের উপকারিতা সম্পর্কে-
- যেহেতু এটি ন্যাচারাল ও কেমিকেল ফ্রি মাস্ক তাই এতে কোনো সাইড এফেক্ট নেই। আপনি ইচ্ছে করলে এই মাস্কটি সপ্তাহের প্রতিদিন লাগাতে পারবেন। যদি আপনার মধুতে অ্যালার্জী থাকে তাহলে আপনি শুধু টমেটো ও মুখে লাগাতে পারেন একি ধরনের ফল পেতে। তবে মধুর গুণে মাস্কটি আরো অনন্য হয়ে ওঠে।
- মধু, টমেটোর এই মাস্কটি আপনার স্কিনকে বাহ্যিক দূষণ ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাচাবে।
- এটি যে শুধুমাত্র আপনার ত্বককে ফর্সা ও গায়ের রঙ হালকা করে ন্যাচারাল গ্লো এনে দিবে তাই ই নয় সাথে সাথে আপনার ত্বকের রিঙ্কেল ও বুড়িয়ে যাওয়া ও রোধ করবে।
- টমেটো স্কিন কমপ্লেক্সন হালকা করার জন্যে সুপরিচিত। স্কিন ট্যানিং, হাইপার পিগমেন্টেসন ও ওপেন পোরস কমাতে টমেটোর জুড়ি মেলা ভার।
- এটি স্কিনের ঝুলে যাওয়া রোধ করে যার ফলাফল বাচ্চাদের মত নরম আর কোমল ত্বক।
- টমেটো জুস অত্যন্ত উচ্চ পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারি।এর মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লাইকোপেন, প্রোটিন ও অ্যান্টি অক্সিজেন থাকে। মাস্কটি আপনি প্রতিদিন একবার করে লাগাতে পারবেন এবং মাত্র এক সপ্তাহের ভেতর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার স্কিনের পরিবর্তন।
বিঃ দ্রঃ
যেকোন মাস্ক মুখের সাথে সাথে গলায় ও অ্যাপ্লাই করতে হয়। তা না হলে গলা আর মুখের রঙের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা দেখা দিবে, যা দেখতে খুবই বাজে লাগবে। সুতরাং এদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
ছবি – স্টাইলক্রেজ ডট কম
লিখেছেন – সুমনা ফাল্গুনী