অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এক ধরনের কেমিক্যাল যা সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব আর পল্যুশন-এর কারণে চেহারার মলিনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এটি অসামঞ্জস্য ত্বকের টোন (uneven skin tone) দূর করে গায়ের রঙকে উজ্জ্বল করে। এটা লোমকূপ থেকে সব ময়লা বের করে আনে। তাজা ফলের এনজাইম আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মুখের দাগ, বয়সের ছাপ দূর করে ত্বকের চাকচিক্য বাড়িয়ে দেয়। এই ফেসিয়াল ৩৫ এর উপরে যাদের বয়স তাদের করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। শুষ্ক ত্বক নিয়ে যারা ভুগছেন তারা এটা করে দেখুন। আজ আমি বলব কীভাবে ফল দিয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল করবেন।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল ২টি উপায়ে যেভাবে করবেন
১) ডালিম দিয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল মাস্ক
উপাদান
১. ডালিম – ১টি, মাঝারি সাইজ-এর
২. মধু – ২ টেবিল চামচ
প্রক্রিয়া
প্রথমে ডালিমের দানা ছড়িয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন সাদা অংশ যেন বেশি না থাকে। এবার এটি ব্লেন্ড করে নিন। এর সাথে মধু মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আপনার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল মাস্ক। এটি ফ্রিজে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
সবসময়ের মতো এবারও মুখ পরিষ্কার করুন এবং স্ক্রাব করে নিন। তারপর মুখ ভালোভাবে মুছে শুকনো করে নিন। তারপর আপনার বানানো মাস্ক-টি লাগিয়ে নিন। যদি মনে করেন অনেক বেশি পাতলা হয়ে গেছে মিশ্রণটি, তাহলে আরেকটু মধু মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর সার্কুলার মুভমেন্ট-এ উষ্ণ পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
২) আপেল দিয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল মাস্ক
যদি ডালিম আপনার কাছে সহজলভ্য না হয় তাহলে আপেলতো সবসময় হাতের কাছে থাকেই। এবার সেটি দিয়ে আমরা আরেকটি মাস্ক বানানো শিখবো।
উপকরণ
১. আপেল– ১/২ ,
২. গরম দুধ– ১ টেবিল চামচ,
৩. ডিমের কুসুম- ১টি,
৪. ওটমিল- ১ টেবিল চামচ ( ঐচ্ছিক)
প্রণালী
আপেলের খোসা ছাড়িয়ে পিস করে কেটে নিন। এবার ব্লেন্ডার-এ আপেল, দুধ আর ডিমের কুসুম একসাথে ব্লেন্ড করে নিন। ভালোমতো মিশে গেলে ওটমিল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানান। চাইলে ওটমিল নাও মেশাতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন!
দেখলেনতো কত সহজে বাসায় থাকা উপাদান দিয়ে করে ফেললেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফেসিয়াল! তাই এইবার অতিরিক্ত পাকা ফল ফেলে দেয়ার আগে আরেকবার চিন্তা করুন!
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; সাটারস্টক