ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মতো ৩টি মনোরম জায়গা

ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মতো ৩টি মনোরম জায়গা

ছুটির দিনে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক - shajgoj.com

ঘুরে বেড়াতে কার না ভালো লাগে বলুন? বিশেষ করে ছুটির দিনগুলো; তা যদি আবার হয় আপনার কাছের মানুষটি বা পরিবারের সাথে! পুরো সপ্তাহ কাজের চাপে পরিবার বা কাছের মানুষকে তো সময় দিয়ে উঠতে পারেন না। তাই আপনার ছুটির দিনটির সঠিক ব্যবহারের জন্য আজ আলোচনা করবো ঢাকার আশেপাশে ঘুরার মতো আরও তিনটি জায়গা নিয়ে। জায়গাগুলো হলো আড়াইহাজার মেঘনার চর, বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর কিংবা ঝিটকা। চলুন জেনে নেই ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মতো মনোরম জায়গা ৩টি নিয়ে –

ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মতো ৩টি মনোরম জায়গা

১. আড়াইহাজার মেঘনার চর

ঢাকার কাছে আড়াইহাজার চর এলাকা অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে খুব অল্প সময়ে। বিস্তীর্ণ এলাকায় এরকম মনোরম পরিবেশ আর কোথাও নেই শহরের আশেপাশে!

Sale • Day/Night Cream, Day & Night Cream, Bath Time

    সারাদিনের জন্য ঘুরতে আসতে পারেন এখানে। নদীর তীরে ট্রলারে সন্ধ্যার সময়টা কাটাতে পারেন। ঢাকার কাছে মেঘনা নদীর মাঝখানে এই বিশাল বালির চর। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশিই কাশবন। এখানে বালি অনেক শক্ত তাই কোন চোরাবালির ভয় নেই। ভাটার সময় এখানে ঘুরতে যাওয়া বেশি সুবিধার। এ সময় ১০-১৫ ফিট বালির চর থাকে। দেখতে পারবেন কাশবন, খোলা আকাশে পাখির মেলা আর মাঝে মাঝে ট্রলার আর জাহাজের শব্দ।

    ছুটির দিনে আড়াইহাজার মেঘনার চর - shajgoj.com

    যেভাবে যাবেন-

    প্রথমে গুলিস্তান থেকে দোয়েল বা স্বদেশ পরিবহন এ মদনপুর যাবেন। ভাড়া নিবে ৪৫ টাকা। সেখানে নেমে আড়াইহাজার এর জন্য সিএনজি নেবেন। ভাড়া নিবে ৫০ টাকা। মদনপুর নামার পর আশেপাশে অনেক দোকানপাট বা হোটেলে খেয়ে নিতে পারেন। যাতায়াত, খাওয়া-দাওয়া এবং ট্রলারের খরচ মিলিয়ে মোটামোটি ৩/৪ জনের জন্য ৭০০-১০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

    ২. বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক

    বিস্তৃত শালবনের ভেতর প্রাচীর দিয়ে তৈরি এই পার্ক। ভেতরে আছে সরু পিচঢালা সড়ক। দু’দিকে নানা প্রজাতির গাছ দিয়ে বিস্তৃত। থাইল্যান্ডের সাফারি ওয়ার্ল্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এশিয়ার সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুরে নির্মিত হয়েছে। ২ ইঞ্চি কাচের দেয়াল দিয়ে ঘেরা আছে হিংস্র বন্য পশুদের জায়গা। তাই আপনি তাদের কাছ থেকে দেখতে পারলেও ভয়ের কোন কারণ নেই। তাছাড়া খুব সুন্দর ব্যবস্থায় তৈরি করা হয়েছে এটি।

    ছুটির দিনে ঘুরে আসার মত জায়গা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক - shajgoj.com

    যা যা আছে-

    পার্ক সমন্ধে যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখানে প্রথমেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও শিক্ষা কেন্দ্র। কোর সাফারি পার্কে বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।পার্কের গাড়িতে চড়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, চিত্রা হরিণ, জলহস্থি, নীল গাই, এবং আরও অনেক বিদেশী বন্য পশুও। তবে এখানে ঢুকতে ২০০ টাকা দিয়ে জন প্রতি টিকিট কাটতে হয়।

    বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক এ সিংহ শাবক - shajgoj.com

    সাফারি কিংডমে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, জিরাফ ফিডিং স্পট ও পেলিকেন আইল্যান্ড। মজার বিষয় হলো এখানে বিশাল জায়গা নিয়ে পাখিদের রাখা হয়েছে। পাখির খাঁচার কাছে যেতেই আপনার মন আনন্দে ভরে উঠবে। নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি এখানে আছে।

    খাওয়া-দাওয়ার জন্য আছে টাইগার ও লায়ন রেস্টুরেন্ট। ওয়াচ টাওয়ার থেকে আপনি দেখতে পাবেন সমগ্র সাফারি পার্কের মনোরম দৃশ্য। দেখতে পাবেন পার্কের ভিতর বিচরণরত বন্যপ্রাণী।

    এশীয় তৃণভোজী এবং ছোট মাংসাশী প্রাণী, পাখি সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণী নিয়ে এক্সটেনসিভ এশিয়া সাফারি প্রতিষ্ঠিত। এ ছাড়া তৈরি করা হয়েছে হাতির আশ্রম। বন্য পশুপাখির জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আছে আটটি জলধারা ও দুটি কৃত্রিম হ্রদ। এ ছাড়াও সাফারি পার্কে আছে বাটারফ্লাই পার্ক, বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক, স্নেক পার্কে ক্রোকোডাইল ও লিজার্ড পার্ক। সাফারি পার্কে হাতির পিঠে উঠার ব্যবস্থাও আছে।

    যেভাবে যাবেন –

    গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই অবস্থিত বাঘের বাজার। সেখান থেকে আরও সামনে কিছু দূর থেকে দেখা যাবে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের গেইট। সেটি পার করে দেখতে পারবেন বাঘ, সিংহ, বাজ পাখি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য।

    ৩. মানিকগঞ্জের হরিরামপুর কিংবা ঝিটকা

    ঢাকার কাছে সরিষা ফুলের রাজ্য মানিকগঞ্জ। কয়েকজন মিলে একটি গাড়ি ভাড়া করে নিন। তাহলে ইচ্ছেমতো ভালো লাগা যেকোনো জায়গাতেই থেমে যেতে পারবেন।

    ঢাকার কাছে মানিকগঞ্জের সরিষা ফুলের রাজ্য - shajgoj.com

    যেভাবে যাবেন 

    ঢাকার হেমায়েতপুর থেকে সিঙ্গাইরের রাস্তা ধরে কিছু দূর সামনে গেলে ধলেশ্বরী ব্রিজ পেরিয়ে বিন্নাডিঙ্গি বাজার থেকে বাঁয়ের সড়কে আরও সামনে মানিকনগর। সেখানে সড়কের দুইপাশে সরিষা ক্ষেত। সেখান থেকে আরেকটু দূরে গেলে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর কিংবা ঝিটকা এলাকায় আছে বিস্তীর্ণ সরিষা ক্ষেত। এখানে বিকাল কিংবা সকালে গেলে আপনার মন ভরে যাবে।

    সময় নিয়ে ঘুরে আসুনএই সুন্দর ও উপভোগ্য জায়গাগুলো থেকে। শিশুদের সঙ্গে বড়দেরও ভালো লাগবে।

    ছুটির দিনে ঢাকার আশেপাশে ঘুরে আসার মতো ৩টি মনোরম জায়গা নিয়ে আজ জানালাম। পরবর্তী লেখায় আরো নতুন ঘোরার জায়গা নিয়ে আসছি। সাথে থাকুন।

     

     ছবি – নোনরাইজ.কম, সাজগোজ.কম

    5 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort