ডাবল চিন বা থুতনিতে মেদ জমা সমস্যা অনেকের কাছেই আতঙ্কের মতো একটা জিনিস। বিশেষত যারা তাদের চেহারা নিয়ে অতি সতর্ক থাকেন সবসময়। এটি হচ্ছে বার্ধক্যের সবচেয়ে কমন একটি লক্ষণ। এটি অন্যান্য কিছু কারণেও হতে পারে, যেমন বংশগত এবং এমন অস্বাস্থ্যকর ডায়েট যাতে ফ্যাট এবং ক্যালরির পরিমাণ খুব বেশি থাকে। যখন শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়, তখন এর ছাপ মুখে গিয়েও পড়তে দেখা যায়। যার ফলে মুখে এবং থুতনির নীচে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়ে চেহারার আকার নষ্ট হয়ে যায়। আর থুতনিতে মেদ কমাতে সবচেয়ে সহজ এবং সুলভ উপায় হচ্ছে ফেসিয়াল বা মুখের এক্সারসাইজ। আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু ফেসিয়াল এক্সারসাইজ দেয়া হলো যা মুখের অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে মুখের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
থুতনিতে মেদ জমা সমস্যা সমাধানে এক্সারসাইজ
এক্সারসাইজ ০১
ঘরের এক জায়গায় সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর আপনার মুখ এমন ভাবে পিছনে নিন যাতে মুখটি সিলিং এর দিকে আড়াআড়ি ভাবে থাকে। এখন ঠোঁট প্রসারিত করে সিলিং এর দিকে কিস্ করার মতো করুন। এভাবে ৫ সেকেন্ড রাখুন। ৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন। এক্সারসাইজটি করার সময় মুখের অন্যান্য যে মাসল গুলো ব্যবহার হয় না সেগুলো যতটা সম্ভব রিল্যাক্সড রাখার চেষ্টা করবেন।
এক্সারসাইজ ০২
এই এক্সারসাইজ বসে বা দাঁড়িয়ে যেকোন পজিশনে করা যায়। মেরুদন্ড এবং মুখ সোজা করে বসুন। এরপর নীচের ছবির মতো করে মাথা ধীরে ধীরে এক ঘাড় থেকে আরেক ঘাড়ের দিকে আবর্তিত করুন। এটি এমনভাবে করতে হবে যাতে একটি পূর্ণ সার্কেলের মত হয়। আর যদি ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে সেমি সার্কুলার গতিতে করতে পারেন। এভাবে ৩-৫ বার করুন। তবে এই এক্সারসাইজ করার সময় বেশি তাড়াহুড়া করা যাবে না।
এক্সারসাইজ ০৩
ফ্লোরে জোর আসনে বসুন। এখন বাম হাতটি কোমর থেকে ১০ ইঞ্চি দূরে ফ্লোরের উপর রাখুন। আঙ্গুল গুলোর উপর খুব জোরে ভর দিবেন না। এবার ডান হাত এবং তালু সোজা করে উপরে উঠান এবং ধীরে ধীরে হাত বাঁকা করে বা দিকের কান ধরুন।এ অবস্থায় মাথা ধীরে ধীরে ডান কাঁধের দিকে ঝুকান এবং বেশি না ঝুকিয়ে সেখানে হালকা চাপ দিন। এখন বাম হাত ফ্লোর থেকে উঠিয়ে বাম হাতের উপরের বাহুতে রাখুন এবং সেখানে হালকা চাপ দিন। এ অবস্থায় ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত থাকুন। ঠিক একই ভাবে ডান হাতটি কোমর থেকে ১০ ইঞ্চি দূরে রাখুন এবং বা হাত দিয়ে ডান কান ধরুন এবং উপরের প্রক্রিয়াটি পুনরায় করুন।
থুতনিতে মেদ জমা সমস্যা সমাধানে কিছু টিপস
১) ডাবল চিন থেকে রক্ষা পেতে হলে ডায়েটে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। জাংক ফুড, ফাস্ট ফুড এবং অন্যান্য খাবার যা ক্যালরি এবং ফ্যাটে পরিপূর্ণ সেগুলো খাবারের লিস্ট থেকে বাদ দিতে হবে।
২) সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন তৈলাক্ত মাছ খাবারের লিস্টে রাখুন। মাছের ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ তেল মুখের ইলাস্টিসিটি ইম্প্রুভ করে।
৩) খাবারের তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ব্রাউন রাইস, বার্লি, মটরশুঁটি, আপেল এবং সবুজ শাক সবজি রাখার চেষ্টা করুন।
৪) দিনে কয়েকবার সুগার ফ্রি চিউইং গাম চিবাতে পারেন।
৫) খাবারে লবণের পরিমাণ কমান এবং খাবার খাওয়ার সময় ভালো মতো চিবিয়ে খান।
৬) এছাড়াও প্রতিদিন ১ ঘণ্টা শারীরিক এক্সার্সাইজ এবং ২০ মিনিট মুখের এক্সার্সাইজ করার অভ্যাস করুন।
ছবিঃ সংগৃহীত – .patientpop.com