আন-ইভেন স্কিন টোন তথা ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা নানা কারণে হতে পারে। অতিরিক্ত সূর্যরশ্মি প্রভাব, ব্রণ, ব্রণের দাগ, পিগমেন্টেশন ও শারীরিক আঘাতের কারণেও স্কিনে রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দেখা দিতে পারে। ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দেখা দেওয়ার কারণে ত্বকে ক্লান্তি ও আনহেলদি একটা ভাব ফুটে ওঠে যা সহজেই ত্বকের স্বভাবজাত সতেজতা ও সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয়। আন-ইভেন স্কিন টোন দূর করার জন্যে বাজারে অনেক ক্রিম লোশন পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোর বেশিরভাগই অত্যাধিক দামী যা অনেকেরই হাতের নাগালের বাইরে। আবার এসব ক্রিম যে সত্যিকারভাবে কাজ দেবে সেটারও কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে চিন্তা নেই। আছে সহজ ঘরোয়া সমাধান। যা একদিকে নিশ্চিত ফলাফল দেবে অন্যদিকে এর নেই কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। আসুন দেখি কী কী উপায়ে মোকাবেলা করা যায় স্কিনের এই সমস্যা।
ত্বকের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করার উপায়
১) চিনি
চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি খুব জেন্টলি মুখের মরা চামড়া দূর করে আপনার ত্বকের প্রকৃত লাবণ্যকে বের করে আনতে ও স্কিনকে ইভেন টোন করতে সাহায্য করে। আপনাকে যা যা করতে হবে তা হল, চিনির সাথে খুব সামান্য পানি ও আপনার পছন্দমত ম্যাসাজ ক্রিম মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাব করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বেশি জোরেজোরে মুখে ঘষাঘষি না করা হয়। বেশি জোরে ঘষলে মুখে দাগ বসে যাবে। কয়েক মিনিট পরে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেক পরেই দেখবেন আনইভেন স্কিন অনেক খানি ইভেন হয়ে গেছে।
২) টক দই ফেইস মাস্ক
টক দইয়ের ফেসমাস্ক শুধু যে স্কিনকে ইভেন আউটই করে তাই না, সাথে সাথে স্কিনে একটা হেলদি গ্লোও আনে। টক দইয়ে থাকা ন্যাচারাল ব্লিচিং উপাদান শুধু যে স্কিনের রংয়ের অসামঞ্জস্যতা দূর করার সাথে সাথে এটি সান ট্যান, পিগমেন্টেশন, ব্রণের মতো জেদি দাগ দূর করার মাধ্যমে স্কিনের রঙ হালকা করে ও স্কিনের জেল্লা বাড়ায়। দুই চা চামচ টক দই নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিন ২০/৩০ মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন বার ব্যবহার করুন এই মাস্ক।
৩) মিল্ক পাউডার
মিল্ক পাউডার ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে সুপরিচিত এবং প্রায়শই স্কিন টোন ইভেন করার ক্রিম বানানোর ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালনকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এক চা চামচ মিল্ক পাউডারে সামান্য একটু লিকুইড দুধ মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানান। এবার এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে রাখুন সম্পুর্ন না শুকানো পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে ঘষেঘষে তুলে ফেলে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্কিনের কোন সমস্যাই দীর্ঘস্থায়ী হবে না যদি আপনি স্কিনের প্রতি একটু যত্নশীল হন। আপনার একটু সচেতনতাই আপনার স্কিনকে করে তুলবে আপনার মুখের হাসিটার মতই ঝলমলে।
ছবি – সংগৃহীতঃ সাটারস্টক