পশ্চিমা দেশগুলোতে সানট্যানড লুক খুবই পছন্দনীয়, অন্যদিকে আমাদের দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সানট্যান একধরণের সমস্যা হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া রোদে বিদ্যমান ক্ষতিকর আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি ত্বককে ড্যামেজ করে। ‘স্বাস্থ্যকর ট্যান’ বলতে কোনো শব্দ নেই। তবে ভালো খবর এটাই যে, ঘরোয়া কয়েকটি ফেস মাস্ক ব্যবহারে কিছু সময়ের ব্যবধানে রোদে পোড়া ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
অ্যান্টি-ট্যান ফেস মাস্কের উপকারিতা হচ্ছে এটি ত্বকের ট্যান ফেইড করে, তাছাড়া মুখের কালো দাগ, ব্লেমিশেস দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল আর প্রাণবন্ত করে তুলে।
[picture]
আমাদের হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন কিছু উপাদান দিয়েই তৈরি করা যাবে এই অ্যান্টি- ট্যান ফেস মাস্ক। আমি আজ এ ধরনের তিনটি ফেস মাস্কের বিবরণ দিচ্ছি। আপনার পছন্দনুযায়ী এই তিনটি থেকে যে কোনো একটি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেনো, খুব তাড়াতাড়ি ফল লাভের আশা করবেন না। পোড়া ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার।
ফেস মাস্ক-১
যা যা লাগবে:
- বেসন
- অ্যালোভেরা জেল
- টক দই
একটি বাটিতে দুই টেবিল চামচ বেসন নিন। তাতে দেড় টেবিল চামচ সমপরিমাণ টক দই মেশান। কোনো ফ্লেভারড দই মেশাবেন না। এর সাথে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশান। এবার সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট করুন। পেস্টটি মুখে, হাতে এবং পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা ভাবে ঘষে তুলে ফেলুন। তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এই মাস্কটি সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার ব্যবহার করতে পারবেন।
ফেস মাস্ক-২
যা যা লাগবে:
- শশার রস
- লেবুর রস
- গোলাপ জল
একটি বাটিতে এক টেবিল চামচ শশার রস নিন। এতে দুই টেবিল চামচ লেবুর রস যোগ করুন। শেষে মেশান এক টেবিল চামচ গোলাপ জল। এই মিশ্রণটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একাধিকবার ব্যবহার করুন।
ফেস মাস-৩
যা যা লাগবে:
- পাকা টমেটো
- প্লেইন ইয়োগার্ট
- লেবুর রস
একটি টমেটো কুঁচি করে নিয়ে ব্লেন্ডারে দিন। এর সাথে দিন এক টেবিল চামচ প্লেইন ইয়োগার্ট এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস। তারপর ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। অন্য ফেস মাস্কের মতই ফল পেতে এটিও নিয়মিত ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার ব্যবহার করতে পারেন। আশানুরূপ ফল পেতে ধৈর্য্য সহকারে দীর্ঘদিন ব্যবহার করুন।
সব কথার মূল কথা হচ্ছে সমস্যা হওয়ার আগে তা প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। তাই রোদ থেকে যতটা সম্ভব বেঁচে থাকুন, বিশেষ করে মধ্য দুপুরের রোদ থেকে। তাছাড়া ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। যেটাতে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর মানে SPF30 অথবা এর বেশি । এর সাথে সাথে লম্বা হাতার জামা, সানগ্লাস এবং হ্যাট পড়তে পারেন। চাইলে ব্যাগে সবসময় ছোটো একটি ছাতাও রাখতে পারেন।
মডেল – সানজিদা তন্বী
ছবি – শাওন কাইয়ুম
লিখেছেন – নীল