চোখ এবং এর আশেপাশের ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। এক কথায় এটিও এক ধরনের ডার্ক সার্কেল চিকিৎসার মতো বিষয়। আমাদের শরীরের মধ্যে চোখ সবচেয়ে বেশি সেনসিটিভ। আর আমরা বেশিরভাগ সময় চোখে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। তাই একটু বাড়তি যত্ন না নিলে চোখ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
চোখ পরিষ্কার
চোখ পরিষ্কার করার জন্য নিচের উপাদানগুলো দিয়ে চমৎকার একটি লোশন বানিয়ে নিতে পারেন।
- ৫/৬ টি আমলকী
- ১ কাপ পরিষ্কার পানি
- একটি কাপড়ের তৈরি পরিষ্কার ছাঁকনি
যেভাবে এপ্লাই করবেন-
আমলকীগুলো ভালোভাবে ধুয়ে ১ কাপ পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।এরপর একটি পরিষ্কার পাত্রে পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার একটি আই কাপে উক্ত পানিটুকু নিয়ে তার মধ্যে চোখ ডুবিয়ে কয়েকবার তাকান। এতে চোখের মধ্যে পানিটুকু ঢুকে চোখ পরিষ্কার করবে।
চোখের ব্যায়াম
- বাইরের কড়া রোদ থেকে ফিরে সাথে সাথে চোখে পানি না দিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে তারপর দিন।
- যারা প্রচুর পড়াশোনা করেন তারা- প্রথমে একটি চেয়ারে বসে মাথা পেছনের দিকে হেলিয়ে দিন। এরপর ধীরে ধীরে চোখ বুজে ফেলুন। এরপর আস্তে আস্তে একটু বড় করে তাকান। এতে ফ্রেশ লাগবে। এবং রোদে গেলে অবশ্যই রোদ চশমা ব্যাবহার করবেন।
চোখের পরিচর্যা
এই কাজে নিচের উপাদানগুলো প্রয়োজন হবে
- ১ টেবিল চামচ শশার রস
- এক টেবিল চামচ লেবুর রস
- শুকনা তুলো
যেভাবে এপ্লাই করবেন
উপরের উপাদান দুটি একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি লোশন জাতীয় মিশ্রণতৈরি করুন। এরপর আরামদায়ক একটি কুশনেহেলান দিয়ে বসে শশা-লেবুর মিশ্রন দিয়ে তৈরি লোশনের পাত্রে তুলা ভিজিয়ে চোখের চারপাশে আলতো করে ঘষতে থাকুন। এরপর উক্তস্থানে লোশনে ভেজা আরেক টুকরো তুলা চাপ লাগিয়ে রাখুন। এই অবস্থায় ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
– কটন প্যাড জোগার করুন কিছুটা। তারপর সেটা বরফ ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন।
– আলুর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। এরপর এটিকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে চোখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
লিখেছেন- পাপিয়া সুলতানা
ছবি- সাটারস্টক