আর ক’দিন পরই পবিত্র ঈদ উল ফিতর। ঈদের পোশাক কিনতে এরই মাঝে বিপনি বিতান গুলোতে নেমেছে মানুষের ঢল। বিক্রেতারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতার চাহিদা মেটাতে।আপনি যদি এখনও ঈদের পোশাক না কিনে থাকেন তবে জেনে নিতে পারেন এবার ঈদে ঠিক কী ধরনের বা কী ডিজাইনের পোশাক চলছে। হালের ট্রেন্ডে জায়গা করে নিয়েছে কী ধরনের পোশাক।
সেলোয়ার কামিজে এসেছে ভিন্নতাঃ
গরম আবহাওয়ায় সবাই চায় পোশাক পরে যেন স্বস্তি পাওয়া যায়। আর তাই এবার সবার পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে পাকিস্তানী লন। বাহারি রঙ আর ডিজাইনের এসব লনের চাহিদা রয়েছে প্রায় সকল বয়সী নারীর মাঝে। সুতি ওড়না ও হাতার লনও যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে শিফন জর্জেটের ওড়না ও হাতার লন। দোকান ভেদে এসব লনের দাম উঠানামা করেছে ১২০০-৪০০০ টাকার মধ্যে। তবে, একটু কম দামে পেতে চাইলে যেতে পারেন ইসলামপুর বা নিউমার্কেটে।
সেলোয়ার হিসেবে নারীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে “পেলাজো” বা চওড়া মুহুরির সেলোয়ার। চুড়িদারের চাহিদাও কিন্তু কম নয়।
ব্লকের সেলোয়ার কামিজগুলোও এবার বেশ চলছে। ডিজাইনেও এসেছে নতুনত্ব। ব্লকের থ্রিপিসগুলো পাবেন ১০০০-১৫০০ টাকায়।
শাড়িতে সোনালি রুপালি রঙের মিশ্রিত কাজঃ
শপিং মল গুলো ঘুরে দেখা যায়, এবার নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে শিফন জর্জেট, কাতান আর জামদানীর শাড়ি। ব্লাউজে চলছে পেছন দিয়ে খোলামেলা কাট। শাড়িতে জরি, পুতি, ভারী স্টোনের কাজও এবার বেশ চোখে পড়ছে। এসব শাড়ির বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানিকৃত। শাড়ির দাম স্থান ও উপাদান ভেদে ২৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০০ পর্যন্ত রয়ছে।
তরুনীদের অনেকে পছন্দ করছেন ইন্ডিয়ান আনারকলি শাড়ি। বসুন্ধরা সিটিতে এসব শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকায়। তবে খুব বেশি ভারী কাজের শাড়িগুলোর জন্য আপনাকে ব্যয় করতে হবে ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা।
কমদামে ভালো শাড়ি পেতে চলে যেতে পারেন মিরপুরের বেনারশি পল্লীতে।
তরুনীদের পছন্দ বাহারি গাউনঃ
তরুণীদের মাঝে এবার গাউন কেনার আগ্রহ বেশ দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমা দেশের এই পোশাকটিকে দেশীয় চাহিদায় ক্রেতাদের কাছে নিয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যেই দেশীয় বুটিক হাউজগুলো পার করছে ব্যস্ত সময়। আড়ং, কে ক্র্যাফট, রঙ সহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো নিয়ে এসেছে সুতির গাউন থেকে শুরু করে জমাকালো কাজ করা গাউন। কাটাছাটে আছে ভিন্নতা। ক্রেতাদের স্বাস্থ্য, উচ্চতা সবদিক খেয়াল রেখেই বিক্রেতারা গাউনের যোগান রেখেছেন। আর তাই তো তরুনীরা লুফে নিচ্ছে নিজের পছন্দমত গাউন।
জায়গা ভেদে এসব গাউনের দাম পড়বে আড়াই হাজার থেকে দশ হাজার পর্যন্ত। অনেকে আবার গজ কাপড় কিনে নিজের ইচ্ছেমত ডিজাইনে বানাচ্ছেন গাউন। গজ কাপড় কিনতে চলে যেতে পারেন আজিজ সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট এর মত জায়গাগুলোতে।
পাঞ্জাবীতে এসেছে মোদী কটিঃ
কটিসহ পাঞ্জাবীগুলোর চাহিদা এবার বেশ লক্ষনীয়। পাঞ্জাবীর ডিজাইনে গলার দিকে হালকা কাজকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে তরুণরা। পাঞ্জাবীর রঙের সাথে খাপ খায় এমন কটি বেছে নিচ্ছে ঈদের পোশাক হিসেবে। আড়ং, লংলা, রঙ, ক্যাটস আই ইত্যাদি দেশীয় ফ্যাশন হাউজ গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে বাহারী রঙের, বাহারী ডিজাইনের পাঞ্জাবী।
চলছে পোলো টি শার্টওঃ
গরম আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই তরুনরা এবার পোলো টি শার্টগুলোকে পছন্দের তালিকায় রেখেছে। স্থানভেদে এসব পোলো টি শার্টগুলোর দাম পড়বে ৩৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
জেনে নিলেন তো এবার ঈদে ঠিক কী ধরনের পোশাক চলছে। তাহলে আর দেরী না করে বেরিয়ে পড়ুন পছন্দের পোশাক কিনতে আর নিজেকে সাজিয়ে তুলুন নিজের ইচ্ছেমত।
লিখেছেনঃ নিশীতা মিতু
ছবিঃ নিউফ্যাশানড্রিম.কম