আমরা অলরেডি জানি যে দিনের বেলায় সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করা মাস্ট। ঠিকভাবে হয়তো সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাইও করছেন, কিন্তু তাও কেন যেন স্কিনে স্পটস দেখা দিচ্ছে আর ফেইস কালোও হয়ে যাচ্ছে! ‘তাহলে কি সানস্ক্রিন কোনো বেনিফিটই দিচ্ছে না? নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেও কেন রেজাল্ট পাচ্ছি না?’ অনেকেই জিজ্ঞেস করেন এই প্রশ্ন! আপনি নিজের অজান্তেই এমন কিছু ভুল করে যাচ্ছেন, যার কারণে এই প্রবলেমগুলো ফেইস করছেন। ৫টি কমন সানস্ক্রিন মিসটেকস নিয়ে আজকের ফিচার, দেখে নিন তাহলে।
নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেও বেনিফিট কেন পাচ্ছেন না?
ইউনিভার্সিটি, অফিস বা শপিং, দিনের বেলা বাইরে বের হলে রোদ থেকে তো আপনার স্কিনকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন না! নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরেও স্কিনে অনেক সময় ট্যান পড়ে যায়, সান স্পটস দেখা যায়। প্রবলেমটা কি রিলেট করা যাচ্ছে? টিনেজাররাও কম বয়সেই এই স্কিন প্রবলেমগুলো ফেইস করে, কারণ সানস্ক্রিনের ব্যবহার সম্পর্কে তাদের তেমন কোনো ধারণা নেই। কমন কিছু মিসটেকসের জন্য প্রোপার সান প্রোটেকশন না পাওয়ার কারণেই এই সমস্যাটা হয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নেই।
কমন সানস্ক্রিন মিসটেকস
১) যথেষ্ট পরিমাণে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই না করা
প্রতিটা প্রোডাক্ট-ই নির্দিষ্ট পরিমাণে অ্যাপ্লাই করতে হয়। কম পরিমাণে ইউজ করলে যেমন বেনিফিট পাওয়া যায় না, ঠিক তেমনই খুব বেশি পরিমাণে ইউজ করলে স্কিনে ভেসে ভেসে থাকে! সানস্ক্রিনের বেনিফিট ১০০% পেতে চাইলে যথেষ্ট পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। পুরো ফেইসের জন্য দুই আঙুল সানস্ক্রিন নিন, এটা ফুল ফেইস কভার করবে। হাতের তালুতে সানস্ক্রিন নিয়ে রাব করা যাবে না। এতে করে সানস্ক্রিনের ইফেক্টিভনেস কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বরং দুই আঙ্গুলে নিয়ে আলতোভাবে ফেইসে একটা লেয়ার ক্রিয়েট করতে হবে, যেন তা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার স্কিনকে প্রোটেক্ট করতে পারে।
২) ফেইস গ্রিজি হয়ে যাওয়া নিয়ে টেনশন করা
সানস্ক্রিন ইউজ করার পর অনেক সময় ফেইস গ্রিজি হয়ে যায়, সেই ভয়ে অনেকে খুব অল্প পরিমাণে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এতে কিন্তু ফুল প্রোটেকশন পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন অয়েল ফ্রি, ম্যাট ফিনিশ দেয় এমন সানস্ক্রিন। অয়েল ফ্রি সানস্ক্রিন স্কিনে কোনো রকম গ্রিজিনেস না দিয়েই ফুল প্রোটেকশন দেয়। সঠিক ফর্মুলার সানস্ক্রিন ইউজ করুন, তাহলে ত্বকের তৈলাক্ততা নিয়ে কোনো টেনশনই থাকবে না!
৩) সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই না করা
সানস্ক্রিন ইউজ করেও বেনিফিট না পাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে সানস্ক্রিন টাইমলি রিঅ্যাপ্লাই না করা। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রতি ২-৩ ঘন্টা পরপর রিঅ্যাপ্লাই করতে হবে। অনেকেই বুঝতে পারেন না সানস্ক্রিন কীভাবে রিঅ্যাপ্লাই করবেন। সেক্ষেত্রে মেকআপ ওয়াইপস দিয়ে ফেইস মুছে নিয়ে অথবা নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেইস হালকা করে মুছে তারপর রিঅ্যাপ্লাই করতে পারেন। আর যারা মেকআপ করে বাইরে যান, তারা রিঅ্যাপ্লাই এর জন্য SPF যুক্ত কমপ্যাক্ট পাউডার ইউজ করতে পারেন। তবে সেটা ১০০% প্রোটেকশন না দিলেও কিছুটা কভারেজ তো পাবেন।
৪) ডেট এক্সপায়ার্ড প্রোডাক্ট ইউজ করা
প্রতিটা প্রোডাক্টের একটা সেলফ লাইফ আর এক্সপায়ার্ড ডেইট থাকে। প্রোডাক্টের লেবেলেই দেওয়া থাকে প্রোডাক্টটি ওপেন করার পর কতদিন ইউজ করা যাবে। নরমালি যেকোনো প্রোডাক্ট ৬ মাস থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ইউজ করা যায়। কিন্তু অনেকেই এই সময়ের পরেও প্রোডাক্ট ইউজ করে থাকেন। নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার তো করছেন, কিন্তু এক্সপায়ার্ড ডেইট চেক করেছেন তো? ডেইট এক্সপায়ার্ড প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে উপকার তো পাওয়া যাবেই না, বরং আপনার স্কিনের ক্ষতি হতে পারে। তাই এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৫) শুধুমাত্র SPF যুক্ত মেকআপ প্রোডাক্ট ইউজ করা
অনেক সময় বিবি ক্রিমে বা মিনারেল পাউডারে SPF থাকে, যেগুলো UVA ও UVB রশ্মি থেকে এনাফ প্রোটেকশন দেয় না। সানস্ক্রিন স্কিপ করে শুধুমাত্র এই মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহারের জন্যও কিন্তু সানবার্ন হতে পারে। তাই প্রোপারলি সান প্রোটেকশন পেতে হলে আলাদা করে সানস্ক্রিন ইউজ করতে হবে। তবে যারা মেকআপের আগে সানস্ক্রিন ইউজ করেন শুধুমাত্র সেক্ষেত্রে SPF যুক্ত মেকআপ প্রোডাক্ট দিয়ে রিঅ্যাপ্লাই করতে পারবেন। কিন্তু সানস্ক্রিনের পরিবর্তে SPF যুক্ত মেকআপ প্রোডাক্ট ইউজ করা যাবে না!
হতে পারে এই মিসটেকগুলোর কারণেই আপনি আপনার সানস্ক্রিন থেকে কোনো বেনিফিট পাচ্ছেন না। খেয়াল করে দেখুন তো এই ভুলগুলো আপনিও করছেন কিনা! দিনের বেলায় নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। অনলাইনে অথেনটিক সানস্ক্রিন কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ