শীতকাল প্রায় চলেই আসল। শীতে বাচ্চাদের অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হয়, নয়ত ঠান্ডা-কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানী বা অ্যাজমা সহ নানা রকম রোগের কবলে পড়তে পারে। এটি একদম ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শীতের শুরু থেকেই বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস সব সময় সংগ্রহে রাখা উচিত যাতে করে দরকারের সময় ঝামেলায় না পড়তে হয়। চলুন জেনে নিই, এমন বিশেষ প্রয়োজনীয় কিছু শীত বান্ধব জিনিষের কথা যা শীতে শিশুর যত্ন নিতে খুবই সহায়ক।
শীতে শিশুর যত্ন যে ৫টি বিষয় খেয়াল রাখবেন
(১) ডায়াপার
শীতের সময় বাচ্চারা যেন সব সময় শুকনো থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা সবচেয়ে জরুরী। সেক্ষেত্রে ভালো মানের ডায়াপারের ভূমিকা অনবদ্য। রাতের বেলায় অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয় এমন ডায়াপার ব্যবহার করা উচিত যেন স্যাতস্যাতে ভাবের জন্য বাচ্চাদের ঘুমে কোন বিঘ্ন না হয় কিংবা সর্দিও না লাগে। সেই সাথে নজর দিতে হবে গুণগত মানের দিকেও। ভালো ব্র্যান্ডের ডায়াপার পড়তে যেমন আরামদায়ক তেমনি বাচ্চার নাজুক স্কিনেও কোন ক্ষতি করে না।
নবজাতক শিশু থেকে শুরু করে যে কোন বয়সের, যে কোন সাইজের, যে কোন ব্র্যান্ডের ডায়াপারের সম্ভার পাচ্ছেন ডায়াপার ডটকম এ।
(২) সুলভে ভালো মানের বেবী ওয়াইপস
যেহেতু শীতকাল, একই কারণে বেবী ওয়াইপস ও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বারবার বাচ্চার হাত-পায়ে পানি না লাগিয়ে ওয়াইপ্স দিয়ে সহজেই বাচ্চার সারা শরীরই মুছে নেয়া যায়। বেবী ওয়াইপস এ সাধারণত ময়েশ্চারাইজার ও থাকে যা বেবী স্কিনে শীতে দেয় বাড়তি যত্ন। সুলভে ভালো মানের বেবী ওয়াইপস ও পেয়ে যাবেন এখানে ।
(৩) সাবান, শ্যাম্পু, ক্রীম, লোশন
বাচ্চাদের ত্বক বড়দের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি নাজুক হয়ে থাকে। তাই বাচ্চাদের স্কিন আমাদের ব্যবহার্য প্রসাধনী ব্যবহার করা একদমই উচিত না। এতে র্যাশ, অ্যালার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে। শীতকালে বাচ্চাদের ত্বক ফাটতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় বেবী ক্রিম ও বেবী লোশন ব্যবহার করতে হবে। মুখের ত্বকে, ঠোঁটে ক্রীম ও সারা গায়ে লোশন ব্যবহার করুন। আর গোসলের সময় বাচ্চাদের জন্য যে সাবান, শ্যাম্পু রয়েছে সেগুলোই ব্যবহার করতে হবে।
শিশুদের প্রয়োজনীয় সব স্কিন কেয়ার সামগ্রী পেয়ে যাবেন এখানে।
(৪) গরম কাপড়
বাচ্চাদের সর্দি-কাশির টেন্ডেসিও বেশি থাকে। কাজেই তাদের সব সময় গরম কাপড় পড়িয়ে রাখতে হবে। বেশি শীতের সময় সোয়েটার, পাজামার পাশাপাশি উলের মোজা, জুতা ও টুপিও ব্যবহার করুন যাতে ঠান্ডা বাচ্চার ধারে কাছেও না আসতে পারে।
(৫) লেপ বা কম্বল
ভালো মানের ফেব্রিকের নরম, পাতলা, আরামদায়ক এবং সেই সাথে শীত নিবারণে সক্ষম এমন কম্বল বা লেপ ব্যবহার করুন। বেশি ভারি কিছু ছোট বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই কেনার সময় খেয়াল রাখবেন লেপ বা কম্বল যেটাই কিনছেন সেটার ফেব্রিক যেন পাতলা উলের ফেব্রিক হয়।
আজ এ পর্যন্তই। এই শীতে শিশুর যত্ন নিতে যে ৫ টি বিষয়ে নজর রাখতে বলেছি তা দেখবেন আপনি নিশ্চিত করেছেন কি না। সবার শীতকাল খুব ভালো কাটুক এই প্রত্যাশায় শেষ করছি। ভালো থাকবেন সবাই।
ছবি- সাটারস্টক