আমরা সবাই চাই নিজেদেরকে আরো বেশি আকর্ষণীয়, আরো বেশি গর্জিয়াস (gorgeous) করে সাজিয়ে তুলতে। গর্জিয়াস মেকওভার অর্থ এই না যে আপনাকে সবসময় ভারী কিংবা দামি গহনা পরতে হবে, কড়া লিপস্টিক লাগাতে হবে অথবা অনেক ঝকমকে করে সাজতে হবে। প্রতিদিনকার হালকা সাজগোজের মধ্যেও নিজেকে গর্জিয়াস করে ফুটিয়ে তোলা যায়। এইজন্য আপনাকে ব্যবহার করতে হবে মানসম্পন্ন, প্রয়োজনীয় এবং পরিমিত মেকাপ। আপনার ড্রেসিং টেবিলে চারটি উপাদানের উপস্থিতি খুব সহজেই আপনার সাজগোজে আকর্ষণীয় মাত্রা ফুটিয়ে তুলতে পারে। সেগুলো হল- ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার, সানস্ক্রিন ক্রিম অথবা লোশন, ত্বকের উপযোগী ক্লিনজার এবং মানসম্মত ও উন্নতমানের মেকাপ সামগ্রী।
গর্জিয়াস মেকওভার নিতে কয়েকটি টিপস
১) ময়েশ্চারাইজার
সবসময় লক্ষ্য রাখবেন আপনার ময়েশ্চারাইজার-টি যাতে আপনার ত্বকের উপযোগী এবং মানসম্মত হয়। অনেকের ধারণা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ধরনের ময়েশ্চারাইজার-এর প্রয়োজন হয় না। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। আপনার ত্বক যেমনই হোক না কেন; শুষ্ক, তৈলাক্ত, এমনকি নরমালও যদি হয় আপনার ড্রেসিং টেবিলে ময়েশ্চারাইজার-এর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে, আপনার ত্বকের বয়স কমিয়ে রাখতে ময়েশ্চারাইজার-এর জুড়ি নেই। তাই ভালো ময়েশ্চারাইজার-এর পেছনে অর্থ ব্যয় করতে পিছপা হবেন না। ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে বয়েসের ছাপ থেকে বাঁচাবে। ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় লক্ষ্য রাখবেন এতে যাতে পরিমাণ মতো আলফা হাইড্রক্সিল থাকে। এটি আপনার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। কিংবা আপনার ত্বকের উপযোগী ময়েশ্চারাইজার কেনার আগে কোন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।
২) সানস্ক্রিন
আপনার ত্বককে ক্যান্সার এবং বুড়িয়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য আরেকটি বর্ম হল আপনার সানস্ক্রিন ক্রিম। এটি আপনার ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে। তাই নিজেকে গর্জিয়াস করে তুলতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার করুন।
৩) গর্জিয়াস মেকওভার ক্লিনজার
ত্বককে উজ্জ্বল করতে ক্লিনজার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তবে দিনে দুইবারের বেশি ক্লিনজার ব্যবহার করবেন না। কারন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্লিনজার ব্যবহারে আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। ক্লিনজার-এর সঠিক ব্যাবহার আপনার ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বল রাখবে সবসময়।
৪) গর্জিয়াস মেকওভার মেকআপ কিটস
যখনই আপনি মেকআপ সামগ্রী কিনতে যাবেন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন সেগুলো যাতে ভালো মানের হয়। রাস্তাঘাটের সাধারণ দোকান থেকে মেকআপ সামগ্রী না কিনে চেষ্টা করবেন ভালো দোকানগুলোতে যেতে, যেগুলোতে নকল সামগ্রী থাকার সম্ভাবনা নেই। দোকানে আপনি নানান ব্র্যান্ডের লিপস্টিক, আইশ্যাডো, ব্লাশেস, ফাউন্ডেশন, ফেইস পাউডার, ব্রোঞ্জার ইত্যাদি দেখতে পাবেন। তবে কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিবেন প্রোডাক্টটি আপনার ত্বকের উপযোগী কি না। এক্ষেত্রে কেনার আগে প্রোডাক্টের ওপরের লেবেলটি ভালোভাবে পড়ে নিতে ভুলে যাবেন না।
৫) হেয়ার স্টাইল
নিজেকে গর্জিয়াস লুক দিতে চুলের স্টাইলে পরিবর্তন আনাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখবেন চুলের স্টাইলটি যাতে একঘেয়ে না হয়ে যায়। কখনো চুলে উঁচু করে পনি টেইল করতে পারেন, আবার চুলকে কারলি করে নিতে পারেন, চুলের সিঁথিতে আনতে পারেন পরিবর্তন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন চুলের স্টাইলটি যাতে আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানাসই হয়।
এই কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে গর্জিয়াস মেকওভার নিলে দেখবেন প্রতিদিনের সাধারণ সাজগোজেও আপনি হয়ে উঠেছেন অসাধারণ
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; ইমেজেসবাজার.কম