বর্তমানে আমাদের সংস্কৃতিতে মেহেদী কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় বিয়ে, ঈদ, পূজো, নববর্ষ এর মত উৎসবগুলোতে। আসলে বর্তমানে মেহেদী যেন অন্য এক উৎসবের নাম। আর এই উৎসবটি ছাড়া যেন কোন উৎসবই পরিপূর্ণতা পায় না। সেই আদিকাল থেকে মেহেদী দিয়ে হাত রাঙানোর চল চলে আসছে; যার চাহিদা আজও কমেনি বিন্দুমাত্র। বরং বেড়েছে বহুলাংশে।
[picture]
তবে হ্যা, মেহেদী ব্যবহারের ধরন পাল্টেছে। আগে আমরা মেহেদী দিতাম হাতের মাঝখানে বৃত্ত করে আর প্রতিটি আঙ্গুলে টুপির মতো করে। সেই মেহেদী এখন আর হাতের তালুতে সীমাবদ্ধ নেই। এখন মেহেদী ডিজাইন হাতের কবজি, কনুই এবং কথনো কথনো বাহু পর্যন্ত হয়ে থাকে। শুধু হাত নয়, মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন অন্য জায়গাগুলোতেও। আর জায়গা ভেদে মেহেদী ডিজাইনও হয় বিভিন্ন রকম। আজ এখানে কিছু দৃষ্টি নন্দন মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করছি, আশা করছি ডিজাইনগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
১. এই ধরনের ডিজাইন আপনি Engagement, নববর্ষ, ঈদসহ যেকোন বিশেষ দিনে আপনার হাতে ব্যবহার করতে পারেন যা মানুষের মনোযোগকে আপনার হাতের দিকে আকর্ষন করতে সাহায্য করবে।
২. হাতের বাহুতে করতে পারেন এই নকশা।
৩. এই ধরনের নকশা আপনি আপনার পিঠে বা কাঁধে করিয়ে নিতে পারেন।এবং আশা করি এই ধরনের নকশা করিয়ে আপনি আপনার কাছের মানুষকে চমকিয়ে দিতে পারবেন।
৪. এটি একটি গর্জিয়াস নকশা। এই নকশাটা কণে তার বিয়ের জন্য দুই হাতের দুই পাশে পরিয়ে নিতে পারেন।
৫. এটি একটি অসাধারন ডিজাইন।বিয়েসহ যেকোন অনুষ্ঠানে এই ডিজাইনটি করিয়ে নিতে পারেন আপনার হাতের দুইপাশে।
৬. এখন অনেকেই হাতের পাশাপাশি পায়েও মেহেদী পরতে পছন্দ করেন।তাই যারা পছন্দ করেন তারা এইরকম ডিজাইন বেছে নিতে পারেন যেকোন অনুষ্ঠানের জন্য।
শুধু বিশেষ দিনে নয়, মেহেদী দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন প্রতিদিন। তবে, মেহেদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সাবধান থাকতে হবে। কারণ আজকাল বাজারে যেসব টিউব মেহেদী পাওয়া যায় তা সবার ত্বকের সাথে নাও যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আবার ত্বকে খারাপ কিছু হতে পারে। তাই যাদের অতিরিক্ত স্পর্শকাতর ত্বক তারা চামড়ায় মেহেদী পরার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। সেক্ষেত্রে বাজারের তৈরি মেহেদীর চেয়ে বাসায় বাটা মেহেদী ব্যবহার করুন। সেটা সম্ভব না হলে চেষ্টা করুন ভাল মেহেদী Cone সংগ্রহ করতে।
এরকম আরও সুন্দর সুন্দর এবং দৃষ্টিনন্দন নকশা পেতে ঘুরে আসুন এই পেইজ থেকে।
ছবি এবং লিখেছেন- সোনিয়া