জগতে যারা অনেক ধনী, তাদের জীবনযাত্রা ঠিক কেমন হয়? সকাল থেকে রাত অবধি তারা কী কী করে থাকেন, চালচলন তাদের কতটা আলাদা, তারা কী খান, কত টাকা নিত্যদিনের খরচ তাদের, আরো কত প্রশ্ন থাকে সাধারণ জনতার মনে! এইসব কৌতূহল মেটাতেই কিনা জানা নেই, তবে অনেক সমীক্ষাই করা হয় ধনীদের জীবনযাপন নিয়ে। ঠিক তেমনই এক সমীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে এক প্রতিবেদন যাতে ধনী ব্যক্তিদের এমন কিছু অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে, যা তাদের মধ্যে খুব সাধারণ। প্রতিবেদনটির কিছু অংশই তুলে ধরা হচ্ছে এখানে। যেহেতু সমীক্ষাটা বাইরের দেশের প্রেক্ষাপটে করা, এই দেশে হয়তো চিত্র অনেকটাই ভিন্ন হবে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে ধনী ব্যক্তিদের মেনে চলা অভ্যাসগুলো, যা হয়তো আপনাকেও জীবনে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে অনেকটা।
[picture]
নিজের কাজ নিয়ে খুশি
সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যে, এই ধনী ব্যক্তিরা নিজেদের কাজ নিয়ে খুশি। কাজের প্রতি বিরূপ ভাব মনে রেখে তারা অর্থ উপার্জন করছেন না। তারা তাদের উপার্জনের পথকে পছন্দ করেন এবং তাদের সাফল্যের খুব বড় কারণ এটি।
অভিজ্ঞজনের পরামর্শ
সাফল্যের পথে একজন প্রদর্শক থাকলে মন্দ নয়, এটা মানেন তারা। কোন কাজটা উচিত, কোনটা নয়, এইসব পরামর্শ তারা অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে নিতে অনাগ্রহী হন না এবং নিজেরাও অন্যকে সফল হতে দিক-নির্দেশনা দেন তারা।
জ্ঞানার্জন সর্বদা
জানার কোনো শেষ নেই। সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় থেকেও যে মানুষ নতুন কিছু জানার আর শেখার বাসনা রাখে, সত্যিকার অর্থে সফল সেই মানুষ। এই ধনী মানুষগুলোও প্রতিনিয়তই জ্ঞান অর্জনের চেষ্টায় থাকেন। কিছু শেখার তাড়া থাকে তাদের মধ্যে। নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে জ্ঞান বৃদ্ধি করতে বই পড়েন তারা।
স্বাস্থ্য বড় সম্পদ
এই কথাটা শতভাগ মেনে চলেন ধনীরা। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের প্রতিই তারা বেশি আগ্রহী। ব্যায়াম করেন প্রায় নিয়মিত, এবং নিজেদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন। জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকাও অভ্যাস তাদের। রাতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সময়ের ভালো একটা ঘুম, নিত্যকার অভ্যাসের মাঝে আছে এটাও এবং তাদের সকালটাও শুরু হয় ভোরবেলাতেই, বেলা গড়িয়ে নয়!
রুটিন-বাঁধা দিন
পুরো দিনখানা পরিকল্পনার ছকে বাঁধা থাকে তাদের। কী কী কাজ আছে এইদিনে, কোনটায় কতটা সময় যাবে, এসব গোছানো থাকে আগেই। টু-ডু লিস্ট মেনে চলেন ধনী ব্যক্তিদের অনেকেই।
কর্মঠ ও মিতব্যয়ী
ধনী ব্যক্তিরা কর্মঠ, নিয়মিতই কাজের মধ্যে থাকা তাদের অভ্যাস। আলসেমি করে দিন কাটিয়ে সম্পদ বাড়াচ্ছেন না তারা। এবং তারা মিতব্যয়ীও বটে। বেহিসাবি খরচ করে সম্পদের অপচয় করা তাদের পছন্দের কাজ নয়।
আরেকটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে এই ধনী ব্যক্তিদের। শিক্ষাজীবনে এই বিপুল সম্পদের মালিক মানুষগুলো মোটেও চৌকশ ছিলেন না! তারপরেও ধীরে ধীরে নিজেরা প্রস্তুত হয়েছেন এত সাফল্যের জন্য। এ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারেন আপনিও। সাফল্য একদিনে হুট করে আসে না। তবে হ্যাঁ, এর শুরুটা হতে পারে যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়! আপনি কতটা চান সেই সাফল্যের আলোয় আলোকিত হতে, সেটাই হচ্ছে প্রধান!
লিখেছেন- মুমতাহীনা মাহবুব
সূত্র- বিজনেসইনসাইডার.কম