ফাউন্ডেশন দেয়ার পর আমাদের চেহারা একটা সমান ক্যানভাসে পরিনত হয় কিন্তু আমাদের স্বাভাবিক চেহারায় রঙের তারতম্য থাকে এবং খানিকটা আলোছায়ার খেলা থাকে। কন্টোর আর হাইলাইটিং-এর উদ্দেশ্য হল ফাউন্ডেশন এর পরে চেহারায় স্বাভাবিক আলোছায়ার বৈচিত্র্য যতটা সম্ভব ফিরিয়ে আনা এবং সাথে চেহারার আকৃতিকে আরও প্রস্ফুটিত করা।
আজকের পিক-টোরিয়াল কন্টোর ও হাইলাইটিং এর বেসিক কিছু ধারাবাহিকতা নিয়ে।
ব্যবহৃত প্রোডাক্টঃ
*Flormar pretty compact blush(bronzer) in shade P114
*Flormar pretty compact blush in shade P113
*MUA undress your skin shimmer highlighter.
আপনি আপনার পছন্দ মতো যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন।
নিচের ছবিটি ফাউন্ডেশন ব্যবহারে পর…
প্রথম ধাপঃ
আপনার পছন্দ মতো ব্রঞ্জিং পাউডার ও ব্রাশ নিন। ব্রঞ্জিং পাউডার ত্বকের রঙের চেয়ে দু/তিন শেড গাঢ় হতে হবে। কানের উপরিভাগ থেকে শুরু করে চোয়ালের মাঝ পর্যন্ত এবং ঠিক চোয়ালের হাড় বরাবর ব্রঞ্জার লাগান, ব্রাশ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তা ভালো করে ব্লেন্ড করে দিন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবারে কানের পাশ থেকে টেনে কপালের চুলের লাইনে হালকা করে ব্রঞ্জার লাগান।
তৃতীয় ধাপঃ
চ্যাপ্টা অথবা ছোট আরেকটি ব্রাশ দিয়ে নাকের দুপাশে ব্রঞ্জার লাগান।
চতুর্থ ধাপঃ
এবারে নিচের ছবির মতো করে থুতনির নিচ থেকে কানের পিছ পর্যন্ত ব্রঞ্জার লাগান এবং গলার দিকে মিশিয়ে দিন। এই ধাপটি যাদের ভারী থুতনি /‘ডাবল-চিন’ আছে তাদের জন্য আবশ্যক। গলার কাছে এভাবে কন্টোর করে ‘ডাবল-চিন’ অনেকাংশে ঢেকে ফেলা যায়।
কন্টোর এর এ পর্যায়ে আপনার চেহারা নিচের ছবির মতো হবে।
পঞ্চম ধাপঃ
এবার ব্লাশ-অন লাগানোর পালা। আপনি হাসলে গালের যে অংশ উচু হয় সেখানে ব্লাশ লাগান এবং তা ব্রঞ্জারের সাথে ভালো করে মিশিয়ে দিন।
ষষ্ঠ ধাপঃ
হাইলাইটিং, এটি সবচেয়ে শেষ ধাপ কিন্তু চেহারায় আলোছায়া তৈরি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। পছন্দমতো মতো হাইলাইটার ছোট ব্রাশে নিন, চোয়ালের হাড়ের ঠিক উপরে তা হালকা ভাবে লাগান, চোখের বেশি কাছে লাগাবেন না। হাইলাইটার কখনই পুরোটা গালে ছড়িয়ে লাগাবেন না। চাইলে নাকের হাড়ের উপরে, কপালের মাঝে ও ঠোঁটের উপরে আলতো করে হাইলাইট করতে পারেন। হাইলাইটার পছন্দ করার সময় খেয়াল রাখবেন তা যেন খুব বেশি গ্লিটারি না হয়।
ব্যাস, হয়ে গেল কন্টোর আর হাইলাইটিং।
আগে এবং পরে ছবিটি ভালো করে খেয়াল করুন। আশা করা যায় পরিবর্তন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
পরিশেষে কিছু কথাঃ
ছবিতে ধাপ গুলো ভালো ভাবে বোঝানোর জন্য অনেক গাঢ় করে সব প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আপনি যখন নিজে কন্টোর করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তা যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয়ে যায় এবং ভালোভাবে ত্বকে মিশে যায়। হাইলাইটার বাছার সময় ত্বকের আন্ডারটোনের দিকে খেয়াল রাখুন। যদি আপনার আন্ডারটোন গোলাপি হয় গোলাপি/কুল টোনের হাইলাইটার নিন আর আপনার ত্বক হলুদাভ বা উষ্ণ টোনের হলে শে অনুযায়ী উষ্ণ টোনের হাইলাইটার নিন। মনে রাখবেন, হাইলাইট করা মানে ত্বক সাদা অথবা স্পার্কলি করে ফেলা না, ত্বকে গ্লো তথা আলোছায়া তৈরি করা।
লিখেছেনঃ তামান্না ইসলাম
ছবিঃ গ্রিনস্টোরি