গ্রীষ্মকালে আমরা কম বেশি সবাই-ই স্কিনের প্রবলেম-এ ভুগি। অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরমে আমাদের মত আমাদের স্কিনও যেন হাসফাস করতে থাকে। যাদের ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বক, তাদের স্কিনে বরাবরের মতই হাই মেইটেন্যান্স দরকার। আর এই সিজনে প্রচন্ড ঘামের কারণে স্কিনের ময়েশ্চার কন্টেন্ট-গ্লো-হাইড্রেশন লেভেল মেইনটেন করাটা যেন আরো বেশি কঠিন। তাই চলুন দেখে নেই কিভাবে ৬টি ধাপে খুব সহজেই গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নেয়া যায়।
গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন
স্টেপ ১ – প্রপার ক্লিনজিং
যেকোন স্কিন কেয়ারের প্রথম স্টেপ-ই হচ্ছে প্রপার ক্লিনজিং। সারাদিনের ধুলোবালি, মেকআপ, সানস্ক্রিন… সব কিছু প্রপারলি ক্লিন করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন একটা অয়েল ক্লিনজার। মাইসেলার ওয়াটার, জোজোবা অয়েল, ভালো মানের অয়েল বেজড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন। এতে আপনার সানস্ক্রিন ও মেকআপ প্রোডাক্টস মেল্ট হয়ে আসবে। এবার একটা ওয়াশিং ক্লথ পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে পুরো মুখটা মুছে নিন।
স্টেপ ২ গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন – মাইল্ড ফোমিং ক্লিনজার ব্যবহার
গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিতে বেছে নিন মাইল্ড একটা ফোমিং ক্লিনজার যাতে আপনার স্কিন ওভার-ড্রাই না হয়ে যায়। ফেইস ওয়াশ চুজ করার সময় রাইস ওয়াটার এক্সট্রাক্ট (rice water extract) বা ভিটামিন ই (Vitamin E) কিংবা হানি এক্সট্রাক্ট (Honey Extract) আছে এমন ফেইস ওয়াশ চুজ করুন।
স্টেপ ৩ গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন – স্ক্রাবিং
ড্রাই স্কিনের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে স্কিনে ডেড সেলস জমে থাকার প্রবণতাটা অন্যান্য স্কিন টাইপের চেয়ে একটু বেশি। খেয়াল করে দেখবেন যাদের স্কিন ড্রাই তাদের প্রায়ই নাকের দুই পাশে, কনুই অথবা হাটুতে ডেড সেলস জমে রাফ হয়ে থাকে। স্ক্রাবিং-এর জন্য টক দইয়ের সাথে একটু চালের গুঁড়া মিক্স করে নিলেই কিন্তু হয়ে যাবে চট জলদি ময়েশ্চারাইজিং স্ক্রাব। সপ্তাহে চার দিন গোসলের আগে ফেইস এবং বডি-এর অন্যান্য এড়িয়া স্ক্রাব করে নিলেই ডেড সেলস ঝরে গিয়ে স্কিন হয়ে উঠবে স্মুথ আর গ্লোয়িং।
স্টেপ ৪ – টোনার
এর পরই চলে আসবে টোনার। ড্রাই স্কিনের জন্য প্রয়োজন একটা হাইড্রেটিং টোনার যা স্কিনকে হাইড্রেট করবে আর পানি ও তেলের ব্যাল্যান্স ঠিক রাখবে।
স্টেপ ৫ – ময়েশ্চারাইজার
ড্রাই স্কিন খুব দ্রুত ময়েশ্চার লুজ করে। তাই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে প্রয়োজন এমন কিছু যা স্কিনকে ডিপ নারিশমেন্ট দিবে এবং ময়েশ্চারাইজড রাখবে অনেকক্ষণ। ভিটামিন ই, সিরামাইড, হায়ারুলনিক অ্যাসিড বেজড ময়েশ্চারাইজার।
স্টেপ ৬ – সিলার
এতক্ষণ যা যা ফেইস-এ অ্যাপ্লাই করা হল এই প্রত্যেকটা স্টেপ-এর গুণাগুণ যাতে বজায় থাকে এর জন্য সবশেষে লাগিয়ে নিন বায়ো অয়েল। হাতের তালুতে ২-৩ ফোঁটা বায়ো অয়েল নিয়ে ফেইস-এ হালকা প্রেশার দিয়ে ম্যাসাজ করে নিন। ব্যস! আপনার ময়েশ্চার লক হয়ে গেলো। এটি ফেসিয়াল অয়েল হিসেবে শুধু সিলিং-এর কাজই করে না। বয়সের সাথে সাথে আমাদের স্কিনের ডার্মিস লেয়ার-এ কোলাজেন এবং ইলাস্টিন-এর স্ট্রাকচার কিছুটা উইক হয়ে যায়। যার কারণে ফেইস-এ রিঙ্কেলস, ফাইন লাইনস-এর ছাপ পড়তে থাকে। ভিটামিন এ এবং ই এই এইজিং-এর ভিজিবিলিটি কমাতে হেল্প করে। চাইলে যেকোনো সুদিং জেল কিংবা অ্যালোভেরা জেলও লাগিয়ে নিতে পারেন।
তাই যাদের ড্রাই এবং ডিহাইড্রেটেড স্কিন, তারা ঝটপট এখন থেকেই ফলো করুন একটা স্ট্রিক্ট রুটিন যেন এই গ্রীষ্মে শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিয়ে আপনার স্কিন থাকে সফট আর গ্লোয়িং।
ছবি- shutterstock