[topbanner]
পবিত্র রমযান মাস চলছে। এ সময় ঈদের কেনাকাটার জন্য সন্ধ্যার পরই সবাই বের হয়ে থাকে। কেননা সারাদিন রোজা রেখে সবাই আল্লাহ্র কাছে ইবাদত করেন। কেনাকাটা করতে গেলেও এখনকার দিনে সাবধান থাকা জরুরী। আজকাল রাস্তাঘাটে অনেক দূর্ঘটনাই ঘটে। তাই বলে কি ঈদের কেনাকাটা থেমে থাকবে? মেনে চলতে হবে কিছু সাবধানতা।
Sale • Split Ends, Dry & Frizzy Hair, Skin Lightening
- রাস্তায় আজকাল ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যায় মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেল আরোহীরা। খুব সকালে এবং সন্ধ্যার পর পর এমন ঘটনা ঘটে। হঠাৎ একটা মোটরসাইকেল এসে টান দিয়ে ব্যাগ নিয়ে যায়।এক্ষেত্রে রাস্তাঘাটে খুব শক্ত করে ব্যাগ ধরে রাখবেন না। তাতে ফলাফল আরো মারাত্মক হতে পারে। এভাবে এক্সিডেন্ট আর সাথে সাথে জীবনও চলে যেতে পারে। ব্যাগ হাতে প্যাঁচানো থাকলে আপনিসহ পড়ে যেতে পারেন এবং গুরুতর আহত হতে পারেন। রিকশায় বা রাস্তায় বেশি টাকা নিয়ে বের হলে টাকা পকেটে রাখা ভালো অথবা ছোট কোন ব্যাগে করে হাতে রাখুন। রিকশায় বসলে ব্যাগ দুই পায়ের ফাঁকে রাখুন। মোবাইল অনেক দামি হলে পকেটে বা হাতে করে দুই পায়ের মাঝে ধরে রাখুন। যতটা সম্ভব মোবাইল এবং টাকা ছাড়া আর কোন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ব্যাগে রাখবেন না। আর হাঁটার সময় রাস্তার পাশে যেই হাত তার বিপরীত পাশের হাতে ব্যাগ রাখবেন।
- বাসে পকেটমার সাজিয়ে মারধোর কিংবা রাস্তায় ছিনতাইকারী সাজিয়ে মারধোর করারও ঘটনাও আছে। এক্ষেত্রে টাকা পয়সা খুব সাবধানে রাখুন। কম টাকা সাথে রাখাই ভালো। এমনভাবে টাকা রাখুন যেন খুঁজে না পায় বা পাইলেও কম পায়।
[picture]
- ব্যাংক থেকে টাকা তুলার সময় খেয়াল রাখবেন কেউ আপনাকে লক্ষ্য করছে কিনা। এক্ষেত্রে বেশি ভাগ মানুষ লোকাল বাসে উঠেন। কারণ সিএনজিতে উঠলে টাকা ছিনতাইয়ের ভয় থাকে বেশি। যারা আপনাকে ফলো করবে তারা অনেকে একসাথে থাকে, টাকা চুরির দায়ে আপনার টাকাই আপনার কাছ থেকে নিয়ে যাবে। আপনাকে চোর বলে মারধোর করে টাকা নিয়ে তারা চলে যাবে। কমপক্ষে ৯-১০ জন এই কাজ করে।ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সময় এমন কি কারো কাছ থেকে বাইরে টাকা নেয়ার সময়ও সতর্ক থকুন। একাকী টাকা না তুলে কাউকে সাথে নিয়ে যান। নিজের ব্যাগের কিছু বৈশিষ্ট্য জেনে রাখা ভালো।
- আপনি গাড়িতে থাকলেও সাবধান থাকতে হবে। অনেক সময় পাশ থেকে অন্য গাড়ি এসে ধাক্কা দিবে, আপনি গাড়ি থামিয়ে চার্জ করতে গেলে অপর গাড়ি থেকে ৫-৬ জন এসে পাল্টা আপনাকে চার্জ করবে, ক্ষতিপূরন হিসেবে টাকাপয়সা নিয়ে যাবে। এই ঘটনাটি ঘটে ফ্লাইওভার বা হাইওয়েতে। এই ধরনের ঘটনায় আপনি চিল্লাচিল্লি করলেও কেউ সাহায্য করতে আসবে না।এক্ষেত্রে গাড়ি না থামিয়ে পাশ কাটিয়ে দ্রুত চলে যাওয়া ভালো। অবশ্যই সাথে কেউ থাকা ভালো।
- অনেক সময় পুলিশরাও এসব কাজ ঈদের আগে আগে করে থাকে। রাস্তায় থামিয়ে আপনার পকেট, ব্যাগ সার্চ করবে এবং এ সময় ইয়াবা, ড্রাগস পাওয়া যাবে। এভাবে মারধোর করে বা ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে নিবে। সাথে টাকা-পয়সা না থাকলে থানায় নিয়ে বাবা-মাকে ফোন দিয়ে আনাবে এবং টাকা-পয়সা নিবে। রাজনৈতিক কিংবা প্রশাসনিক পাওয়ার থাকলে ভালো।পারলে চেষ্টা করবেন গোপনে কথা রেকর্ড অথবা ভিডিও করতে। এটা করলে পরবর্তীতে টাকা ফেরত চাইলে কাজে আসতেও পারে।তবে পুলিশ ধরলে বাঁচার উপায় নাই। এসব ক্ষেত্রে টাকা তো যাবেই সাথে উত্তমমধ্যম দিয়ে দিতে পারে।
- ঈদে গ্রামে ঘুরতে গেলে বাড়ির সব দরজা জানালা ভালোভাবে আটকে তালা দিন। এ সময় চোর এসে যেন সব নিয়ে না যায়। বিশ্বাসযোগ্য লোক থাকলে বাড়ি পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা রাখুন। ঘরে আলমারিতে বা টেবিলের ড্রয়ারে টাকা পয়সা না রেখে ব্যাংকে রাখুন অথবা বিশ্বস্ত কারো কাছে রেখে যান। ঘরের টিভি, ওভেন সরানো সম্ভব না হলেও পিসি, ল্যাপটপ থাকলে তা একটি ঘরে রেখে ভালোভাবে তালা দিয়ে যান।
- ঈদের ১০-১১ দিন শহরে লোকসংখ্যা কম থাকায় রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে। এ সময় ভোরে এবং সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে না থাকাই ভালো।
রোজার মাস শেষের দিকে এবং ঈদের পর পর এসব অঘটন বেশি হয়। প্রায় পনেরো রোজার পর থেকেই সবাই কেনাকাটায় বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। চোর-ছিনতাইকারীদের খেয়াল থাকে যে এখন সবার কাছেই টাকা পয়সা আছে। তাই তারা এ সময়টাই বেছে নেয়।
সকলেই ঈদ হওয়া উচিৎ দুশ্চিন্তামুক্ত। তাই এই সময়গুলোতেই খুব সাবধান এবং সতর্ক থাকুন।
ছবি – মাইঈদউইশলিস্ট.কম
লিখেছেন – সোহানা মোরশেদ