সেলেব্রিটিদের মেকাপ খেয়াল করলে দেখা যায়, তাদের মেকাপ দেখছে অনেক বেশি স্মুদ দেখাচ্ছে। তাই না? কিন্তু আপনি মেকাপ করলে সেটা কেমন জানি স্মুদ লাগে না এবং দেখতে খারাপ লাগে স্কিন টা!
আসলে ফ্ললেস এবং স্মুদ মেকাপের পূর্বশর্ত, ক্লিয়ার, সফট স্কিন। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাদের মুখের পোর অনেক বেশি বড়। যার ফলে যত যত্ন আর সময় নিয়ে মেকাপ করা হয় না কেন স্কিন আর স্মুদ লাগে না এবং বড় বড় পোর গুলোর জন্যে বরং স্কিন দেখতে বাজে লাগে।
তাই আজকে জানাবো, যাদের স্কিনে বড় বড় পোর এর সমস্যা আছে এবং মেকাপ ফ্ললেস লাগে না, তাদের জন্যে কিছু মেকাপ টিপস।
(১) যখন স্কিন অয়েল এবং ময়লা দিয়ে ভর্তি থাকে তখন পোরগুলোকে বেশী বড় মনে হয়। তাই স্কিন ক্লিন রাখা জরুরী। স্কিন ক্লিনিং এর পরে স্কিন টাকে স্ক্রাবিং করে নিলে কিন্তু ত্বকের ডেড স্কিন সেলস চলে যায় আর আপনার স্কিন অনেক বেশি সফট এবং স্মুদ হয়ে যায়। যার ফলে স্কিনে মেকাপ দেখতেও স্মুদ লাগে। তাই মেকাপের আগে একটা নরমাল স্ক্রাবার নিয়ে স্কিনটা স্ক্রাব করে নিবেন।
(২) মেকাপের আগে স্কিন ক্লিন করার পর একটি কটন প্যাডে টোনার নিয়ে তার সাহায্যে পুরো মুখ মুছে নেবেন। আমি অনেককেই দেখেছি যারা টোনার টাকে তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না। কিন্তু টোনার এর ব্যবহারে স্কিনের পোরগুলো ছোট হয়ে আসে। তাই মেকাপের আগে হোক বা স্কিন কেয়ারে হোক, টোনার কিন্তু মাস্ট।
এছাড়া চাইলে কিছু আইস নিয়ে পোর যেখানে আছে সেই সকল এড়িয়াতে কিছুক্ষণ রাব করে নিতে পারেন। এতে করে ওপেন পোরগুলো ক্লোজ হয়ে যায়।
[picture]
(৩) টোনার ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। কারণ ময়েশ্চারাইজার স্কিনকে হাইড্রেট এবং সফট করে তোলে। প্রথমেই ওই যে বলেছিলাম স্কিন সুন্দর এবং সফট থাকাই পূর্বশর্ত। চাইলে ময়েশ্চারাইজারের পরিবর্তে অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। এটাও ভালো কাজ দেয়। নাকের এড়িয়া এবং যে যে অংশে পোর আছে প্রথমে সেই সেই অংশে ক্লক ওয়াইজ এরপর এন্টিক্লোক ওয়াইজ হালকা হাতে ময়েশ্চারাইজ করে নিন।
(৪) মেকাপের শুরুতে একটি পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার ব্যবহার করুন। এই ধরণের প্রাইমার পোরকে ব্লার করতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনি পেতে পারেন ফ্ললেস মেকাপ।
(৫) মেকাপ ব্যবহারের টেকনিকও কিন্তু অনেক বেশি ইম্পরট্যান্ট স্মুদ এবং ফ্ললেস মেকাপের জন্যে। একটি থিক ন্যাচারাল হেয়ার মেকাপ ব্রাশের সাহায্যে ড্যাবিং মোশনে ফাউন্ডেশন লাগান। এতে করে ফাউন্ডেশন এর সাহায্যে পোর ফিল আপ হয়ে যাবে এবং দেখতে স্মুদ লাগবে।
(৬) মেকাপ বেকিং ও পোর ফিল করতে বেশ কাজে দেয়। চোখের নিচে মেকাপ বেইক করার পাশাপাশি স্কিনের যে সকল এড়িয়াতে পোর আছে সেই সকল এড়িয়াতে বেকিং করে নিন। একটি মেকাপ স্পঞ্জে এক্সেস পরিমানে পাউডার নিয়ে স্কিনে অ্যাপ্লাই করুন। ৫ মিনিট পর একটা বড় ব্রাশের সাহায্যে অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলে দিন।
(৭) সবশেষে যে কথাটি বলবো তা হলো, দিনশেষে মেকাপটা কিন্তু ভালোভাবে তুলতে ভুলবেন না। যেহেতু ফাউন্ডেশন এবং পাউডার পোরের মধ্যে চলে গেছে, তাই সেগুলো ভালোমতো ক্লিন করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এই তো জেনে নিলেন, কীভাবে স্মুদ এবং ফ্ললেস মেকাপ পেতে পারেন। আশা করছি আপনাদের অনেক বেশি হেল্প হবে।
ছবি – কৌশিক ইকবাল
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ