ফাউন্ডেশনটা ফ্ললেস এবং সুন্দর একটা ফিনিশ দিক, এটাইতো আমরা সবাই চাই। তাই না? সঠিক ফাউন্ডেশন বাছাই করা থেকে সেটা ভালোভাবে অ্যাপ্লাই করাটা কিন্তু খুবই ইম্পরট্যান্ট এবং চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। মাঝে মাঝে কিছু ভুলের কারণে অ্যাপ্লিকেশনটা মন মতো হয় না। ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পরে যে সমস্যাটা অনেকেই ফেইস করেন; তা হলো ফাউন্ডেশন দেখতে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া। মানে হচ্ছে, আপনার স্কিনে ফাউন্ডেশন যে শেইডের লাগিয়েছেন, দেখতে সেই কালারটা লাগছে না। দেখতে ধূসর লাগছে এবং এই ধূসর ভাবটা ফেইসে ফুটে উঠছে। আর তখন বেইজটা দেখতে আসলেই ভালো লাগে না। আপনিও কি ফাউন্ডেশন কালো হওয়া রোধ করার টিপস খুঁজছেন?
ফাউন্ডেশন কালো হওয়া রোধ করার ৭টি টিপস
সত্যি কথা বলতে এই সমস্যার সম্মুখীন আমিও হয়েছি। আমি জানি, অনেক আপুদেরই এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে বা হচ্ছে। কিন্ত প্রবলেম যেমন আছে, সল্যুশনও তো তেমনি আছে, তাই না? চলুন জেনে নেই, কিভাবে ৭টি সহজ উপায়ে ফাউন্ডেশন কালো হওয়া রোধ করবেন?
১. প্রাইমার
ফাউন্ডেশন ধূসর বা কালো হয়ে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে প্রাইমার। আমরা অনেকেই মেকআপের সময় প্রাইমারটাকে স্কিপ করে যাই। ভাবি, এটা না ইউজ করলেও চলবে। আর এখানেই ভুলটা করে ফেলি। কারণ, প্রাইমার ফাউন্ডেশন কালো হওয়া রোধ করার সাথে সাথে একটা স্মুদ সার্ফেস তৈরি করে এবং ফাউন্ডেশনকে ফেইসে সুন্দরভাবে বসতে সাহায্য করে।
২. কালার কারেক্টর ব্যবহার
আমাদের সবার স্কিনেই কম বেশী বিভিন্ন দাগ, ডার্ক সার্কেল, পিগমেন্টেশন ইত্যাদি থাকে। এগুলোর উপরে আপনি যদি সরাসরি ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করেন, তবে দাগগুলো না ঢেলে উলটো আরো বেশী কালচে হয়ে ভেসে উঠবে। বিশেষ করে যদি লাইট বা মিডিয়াম কভারেজের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা হয়। তাই এগুলো যাতে কালচে বা ধূসর না দেখা যায়; তাই ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাইয়ের পূর্বে দাগের উপরে পিচ/অরেঞ্জ কালারের কালার কারেক্টর অ্যাপ্লাই করে নিন এবং ব্লেন্ড করে নিন। তারপর ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করুন।
৩. ডার্ক ফাউন্ডেশন মিক্সিং
সাধারণত ফাউন্ডেশন ফেইসে দেখতে কালচে লাগার মেইন কারণ হচ্ছে; আপনি আপনার ফেইসের থেকে লাইট শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করছেন। এর ফলে ফেইসটা দেখতে অস্বাভাবিক লাগে। তাই সবসময় নিজের স্কিনের সাথে ম্যাচ করে এমন শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করুন। আর যদি ভুল করে লাইট শেডের ফাউন্ডেশন কিনেই ফেলেন, তবে আর একটা ডার্ক শেডের ফাউন্ডেশন বা ফাউন্ডেশন শেড অ্যাডজাস্টার কিনে নিন। এরপরে আপনার লাইট কালারের ফাউন্ডেশনের সাথে পরিমাণমতো মিক্স করে নিয়ে পারফেক্ট শেডটি নিজেই বানিয়ে নিন।
৪. সঠিক ফাউন্ডেশন নির্বাচন
সঠিক একটা ফাউন্ডেশন নির্বাচন করা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নিজের স্কিনের টাইপ অনুযায়ী ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই না করলেও ফাউন্ডেশন কালো হয়ে যেতে পারে। তাই যাদের অয়েলি স্কিন তারা অয়েল-ফ্রি ম্যাট ফাউন্ডেশন; ড্রাই স্কিনের অধিকারিণীরা ময়শ্চারাইজিং লিকুইড ফাউন্ডেশন, সেনসিটিভ স্কিনের অধিকারিণীরা পাউডার ফাউন্ডেশন এবং কম্বিনেশন স্কিনের অধিকারিণীরা মুজ টাইপের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন।
৫. সঠিক প্যাচ টেস্ট
আমরা অনেকেই ফাউন্ডেশন কেনার সময় হাতে ফাউন্ডেশন ঢেলে নিয়ে সেখানেই টেস্ট করি যে ম্যাচ করছে কি না। এটা একেবারেই ভুল পদ্ধতি। কারণ, হাতের স্কিন শেড এবং ফেইস স্কিন শেড ডিফারেন্স থাকতে পারে। যার ফলে; আমরা ভুল শেডের ফাউন্ডেশন কিনে ফেলি; যা ফেইসকে কালো করে ফেলতে পারে। তাই প্যাচ টেস্ট সবসময় গলার দিকে করা উচিত।
৬. সঠিকভাবে ব্লেন্ডিং
ফাউন্ডেশন ব্লেন্ডিং যদি ভালো না হয়; তবে তা একটা কালচে ফিনিশ দিয়ে যেতে পারে। তাই সবসময় ভালো একটা বিউটি স্পঞ্জ বা ব্রাশের সাহায্যে ফাউন্ডেশন ব্লেন্ড করবেন। খেয়াল রাখবেন, আপনার বিউটি স্পঞ্জ বা ব্রাশটি যেন ক্লিন হয়। কারণ, অপরিষ্কার স্পঞ্জ বা ব্রাশে কিন্তু অ্যাপ্লিকেশন ভালো হবে না।
৭. ভুল টোনের ফাউন্ডেশন
ফাউন্ডেশন শেডের পাশাপাশি ফাউন্ডেশনের টোনের দিকেও কিন্তু খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ, আপনার স্কিন টোন যদি হয় ইয়োলো, আর আপনি অ্যাপ্লাই করেন পিংক টোনের ফাউন্ডেশন। তবে সেটা স্কিনে দেখতে কিন্তু কালচে লাগবে। তাই নিজের স্কিন টোনটা আগে জেনে নেয়া জরুরি এবং সেই অনু্যায়ী ফাউন্ডেশন কেনাটাও।
এই তো জেনে নিলেন, ফাউন্ডেশন কালো হয়ে যাওয়া রোধ করতে ৭টি সহজ উপায়। এই টিপসগুলো মাথায় রাখলে আশা করছি আপনাদের ফাউন্ডেশন আর দেখতে কালো লাগবে না।
আপনি যদি ভালো মানের ও অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে চান, তাহলে সাজগোজ হতে পারে আপনার জন্য একটি ভালো অপশন। সাজগোজের দু’টি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে যা যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত। এছাড়া অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন।
ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; summitmedia-digital.com