কনুই, হাটু ও গোড়ালির কালো দাগ আমাদের অতি সাধারণ একটি সমস্যা। এই কালো দাগের জন্য আমাদের প্রায়শই পড়তে হয় নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে। তাহলে জেনে নেয়া যাক, কেন হয় এই দাগ।
কনুই, হাটুর কালো দাগের প্রধান কিছু কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ত্বকে আদ্রতার অভাব, অপর্যাপ্ত পরিচর্যা, অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত হাটু গেঁড়ে বসে থাকলে এতে কালো দাগ পড়ে যায়। একটু সচেতন থাকলে এই দাগ এড়িয়ে চলা সম্ভব, আর যদি কালো দাগ পড়ে যায় তাহলে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিষেধক কাজে লাগিয়ে পাওয়া যেতে পারে দাগমুক্ত সুন্দর ত্বক।
দেখে নেয়া যাক উপায়সমূহ:
১। শসা ও হলুদ গুড়া:
- এক চিমটি হলুদ গুঁড়া এক চা-চামচ শষার রসে মিলিয়ে নিতে হবে।
- মিশ্রণটি লাগিয়ে ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
- হাল্কা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২। বাদাম তেল ও চিনি:
- ২ চা চামচ বাদাম তেল ও ১ চা চামচ চিনি নিতে হবে।
- ভালভাবে মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিতে হবে।
- এটি হাটু ও কনুইয়ে আলতো ভাবে ঘষে লাগাতে হবে।
- ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৩। লেবু ও চিনি:
- প্রথমে লেবু নিয়ে তা টুকরো করে নিতে হবে।
- এবার এক টুকরো লেবু নিয়ে তা চিনিতে রেখে ভালোভাবে চিনি লেবুর টুকরায় লাগিয়ে নিতে হবে।
- এবার টুকরোটি নিয়ে তা হাটু, কনুই, গোড়ালি ও অন্যান্য আক্রান্ত স্থানে ঘষে লাগাতে হবে।
- সপ্তাহে এটি তিন বার পর্যন্ত লাগানো যেতে পারে।
- এটি ব্যবহারে আক্রান্ত স্থান ফর্সা ও মোলায়েম হয়ে উঠে।
৪। ভিনেগার ও দই:
- প্রথমে ২ চা চামচ ভিনেগার ও ২ চা চামচ দই নিতে হবে।
- ভালভাবে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিতে হবে।
- আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষন ম্যাসেজ করতে হবে।
- এটিকে এবার শুকানোর জন্য রেখে দিতে হবে।
- শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- এটি ব্যবহারে আক্রান্ত ত্বক স্বাভাবিক কোমলতা ফিরে পায়।
৫। সরিষার তেল:
- প্রতিদিন গোসলের কিছু পরে সরিষার তেল দিয়ে ম্যাসেজ করা যেতে পারে।
- এতে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে ও আক্রান্ত স্থান মসৃণতা ফিরে পায়।
৬। লেবু:
- প্রথমে লেবু অর্ধেক করে কেটে নিতে হবে।
- এটি দিয়ে আক্রান্ত স্থান আলতো ভাবে ঘসে নিতে হবে।
- ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- কালো দাগ কমাতে প্রতিদিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭। অলিভ অয়েল:
- ১ চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে গরম করে নিতে হবে।
- এটি দিয়ে ২ মিনিট হালকা ম্যাস্যাজ করে নিতে হবে।
- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এটি দিতে হবে।
- সকালে গোসলের সময় পিউমিস স্টোন(pumice stone)দিয়ে একটু ঘসে নেয়া লাগবে।
- গোসলের শেষে ভাল ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগাতে হবে।
লিখেছেন – সারাহ
ছবি – হেলথএন্ডব্লুম.কম