ওজন বৃদ্ধির ৮টি কারণ জানা আছে কি?

ওজন বৃদ্ধির ৮টি কারণ জানা আছে কি?

weight-loss

আমরা আজকাল সবাই ফিট থাকতে চাই, কিন্তু আমরা ফিট থাকতে চাই কেন? অধিকাংশের উত্তর হবে মোটা হয়ে যাচ্ছি বলে। কিন্তু আমরা কেন অতি দ্রুত মোটা হয়ে যাচ্ছি সেটা কী আমরা জানি? আমরা মোটা হয়ে যাওয়ার অনেক কারণ আছে তার মধ্যে খুবই সাধারণ আটটি কারণ রয়েছে। আর আমাদের এটি চিহ্নিত করার দরকার কারণ যাতে আমরা পরবর্তীতে সচেতন থাকতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা ওয়েট গেইনের কিছু কারণ।

ওজন বৃদ্ধি পাওয়া বা ওয়েট গেইনের কারণ

অনেকগুলো কারণে মানুষ দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে। মোটা মানুষেরা যতটুকু না ক্যালোরি খরচ করেন তার চেয়ে অধিক খেতে পছন্দ করেন। ১৯৮০ সাল হতে স্থূলতার হার বেড়ে তিনগুণ হয়েছে এবং এটি অতি দ্রুত বেড়েছে শিশুদের মধ্যে। এই কারণটি নিয়ে এখনও বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত বিরোধ থাকলেও এটা নিশ্চিত যে পরিবেশগত পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের জিনগুলো অতটা দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে না।

এখানে দ্রুত মোটা হয়ে যাওয়ার আটটি কারণ নিচে দেয়া হল-

১. অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া

অতিরিক্ত ফাস্টফুড গ্রহনে ওজন বৃদ্ধি পায় - shajgoj.com

সকলে অধিক ক্যালোরিযুক্ত খাবার কেবল গ্রহণই করে কিন্তু সেটিকে আর পোড়ায় না। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে অধিকাংশ মানুষেরা কেবল বাড়ির তৈরি খাবারই খেত। কিন্তু সারা বিশ্বে অর্ধেক লোকই খায় ফাস্টফুড বাড়ির খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে।

২. অতিরিক্ত মাত্রায় চিনির ব্যবহার

চিনি হচ্ছে আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকা একটি সাধারণ এবং খুবই খারাপ একটি উপাদান। অতিরিক্ত মাত্রায় চিনির ব্যবহারে মেটাবলিজম (Metabolism) এর  উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়তে পারে যার কারণে ইনসুলিন (Insulin) বেড়ে যাওয়া, পেটে চর্বি জমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। এটির কারণে হরমোনের ওপর খুবই খারাপ একটি প্রভাব পড়ে যার কারণ স্থূলতা হতে পারে।

৩. বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ

বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ ওজন বৃদ্ধির জন্য অন্যতম একটি কারণ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান স্থূলতার হার ব্যাখ্যার জন্য বাড়তি ক্যালোরির হার বিশ্লেষণই যথেষ্ট।

৪. ছুটির দিনের অর্জিত ওজন না কমানো

অধিকাংশ মানুষেরা ওজন বাড়িয়ে ফেলেন ছুটির দিনগুলোতে। ছুটির সময়টাতে আচমকা সুস্বাদু খাবার খুবই গ্রহণযোগ্য কিন্তু সমস্যাটি হল মাঝে মাঝে মানুষেরা এই বাড়তি ওজন কমান  না।

৫. খাবার সস্তা আগের চেয়ে এখন

ফাস্টফুড খাবারগুলোতে পুষ্টি উপাদান থাকে খুবই অল্প। সাধারণত পুষ্টিকর খাবার মশালাদার, কুরকুরে ধরনের হয় না। তাই অধিকাংশ মানুষ ফাস্টফুড খাবারের প্রতি বেশি ঝুঁকে পড়ছে।

৬. মানুষ সোডা এবং জুস খেতে বেশি ভালোবাসে

চিনি এমনিতেই ভালো নয় কিন্তু তরল অবস্থায় এটি গ্রহণ আরও খারাপ। যেকোনো ধরনের জুসে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে যা আপনার খাবারের সবচেয়ে বেশি ক্যালোরিযুক্ত করে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী যেকোনো ধরনের জুস ৬০.১% স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায় শিশুদের মধ্যে।

৭. কাজের সময় ক্যালোরি পোড়ায় না

আমাদের বর্তমান কাজের ধরণে কায়িক শ্রমের হার বেশি হয় না, তাই আমাদের এখন শুধু কিছু পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়।

৮. কম ঘুমানো

পর্যাপ্ত ঘুমানোর ব্যাপারটি আমারা মাঝে মাঝে এড়িয়ে যাই। কম ঘুমানোর কারণে বিরুপ প্রভাব পড়ে বিভিন্ন হরমোনের উপর যা ওজন বৃদ্ধির সাথে সম্পৃক্ত এবং যেটি ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। দিনে দিনে ঘুম কমে যাওয়ার অনেক কারণ আছে কিন্তু তার মধ্যে কৃত্রিম আলোকসজ্জা এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবহার ঘুম কমানোর অন্যতম কারণ।

আশা করি ওজন  বৃদ্ধি পাওয়া বা ওয়েট গেইনের কারণগুলো নিয়ে লেখা এই আর্টিকেল আপনাদের উপকারে আসবে।

ছবিঃ ফিল্পবোর্ড.কম, ভাইস.কম, টুইটার.কম, ডেইলিস্টার.কম, হেডফোনস্লেব.কম

22 I like it
6 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort