স্লিম ফেইস হেলদি দেখাতে কিছু মেকাপ ট্রিক - Shajgoj

স্লিম ফেইস হেলদি দেখাতে কিছু মেকাপ ট্রিক

rsz_cz324218

সবার মুখের গড়ন তো এক নয়। আর মেকাপ সবসময় যেমন স্কিন টাইপ বুঝে করতে হয় তেমনি ফেইস এর গঠন ও কিন্তু এক্ষেত্রে ইম্পরট্যান্ট।  সঠিকভাবে মেকাপ অ্যাপ্লাইয়ের মাধ্যমেই ফেইস এর গঠনের ইম্পারফেকশন গুলো হাইড করা সম্ভব হয়। গত পর্বে আমি বলেছিলাম রাউন্ড ফেইস এর অধিকারীদের কথা।  আর আজ জানাবো, যাদের ফেইস একটু স্লিম বা স্কিনি ধরণের তাদের জন্যে কিছু মেকাপ টিপস।

যাদের ফেইস স্লিম, তারা  সবসময় কনফিউজড থাকেন যে কীভাবে মেকাপ করলে ভালো লাগবে।  আমার জন্যে প্রযোজ্য কি না! তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই।

Sale • Compact & Pressed Powder, Loose Powder, Face Primer

    (১) যাদের ফেইস স্লিম এবং একটু হেলদি দেখাতে চান, তারা সবসময় খেয়াল রাখবেন বেইজ মেকাপ টা যেন ইভেন হয়। মেকাপের বেইজ টা স্মুদ করার জন্যে মেকাপের শুরুতে একটা ভালো মানের প্রাইমার লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না।

    [picture]

    (২) স্লিম ফেইস এর অধিকারীরা যে বিষয়টি নিয়ে বেশি কনফিউজড থাকেন, তা হলো । কোন কোন এড়িয়াতে কন্ট্যুরিং করা উচিত, না কি কন্ট্যুরিং করবো-ই না! তাদেরকে আমি বলবো, আপনার ফেইস যেহেতু স্লিম, সেহেতু কন্ট্যুরিং পাউডার ব্যবহার বাদ দিন। এর বদলে বেছে নিন ব্রোঞ্জার পাউডার।  ফাউন্ডেশন এবং কনসিলার ব্যবহারের পর আমাদের ফেইস এ একটি শেডিং এর দরকার হয়। তাই এক্ষেত্রে ব্রোঞ্জারই আপনার বন্ধু হবে। বিশেষ করে কপালের দিক এর চিনের দিকে ব্রোঞ্জার লাগিয়ে নিন।

    (৩) স্লিম ফেইস এর আদর্শ বন্ধু ক্রিম হাইলাইটিং। স্কিনের থেকে ২-৩ শেড লাইটার কোনো কনসিলার দিয়ে চোখের নিচে, কপালে, নাকের উপরে, থুতনি,  কন্ট্যুরিং লাইনের নিচে হাইলাইটিং করে নিন এবং ব্লেন্ড করে নিন। একটু বেশই জায়গা জুড়ে হাইলাইটিং করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ফেইস বড় এবং স্কিনি কম দেখাবে এবং ওই সকল জায়গা ভালোভাবে ফুটে উঠবে।

    (৪) আগেও বলেছি, আইব্রো আমাদের ফেইসকে ফ্রেম করে। তাই পারফেক্টভাবে আইব্রো টা আঁকা জরুরী।  স্লিম ফেইস এর অধিকারীরা নিজেদের আইব্রো শেপ অনুযায়ী আইব্রো ড্র করে নিবেন। এক্সট্রা লং অথবা খুব বেশি শার্প করে আঁকার চেষ্টা করবেন না।

    (৫) ফেইস এ পাউডার হাইলাইটিং কিন্তু মাস্ট আপনার জন্যে। আর এজন্যে, একটি ছোট ট্রিকস আপনাকে ফলো করতে হবে  হাইলাইটিং পাউডার নিয়ে চিকবোনের হালকা নিচের দিকে লাগিয়ে নিন এবং গালের দিকে ব্লেন্ড করে নিন। এই ট্রিকস টি আপনার ফেইস এ অনেকটা ডিফারেন্স এনে দিয়ে একটা হেলদি লুক দেবে।  এছাড়া নাকের উপরে, কপালে, থুঁতনিতে হাইলাইটার লাগাবেন।

    (৬) আইমেকাপ একটু ড্রামাটিক করার চেষ্টা করবেন। যাতে ফোকাস টা চোখের দিকে বেশি যায়। আইমেকাপ টা ক্যাট-আই শেপের করলে বেশি মানানসই হবে । এজন্যে আইমেকাপের শুরুতে এক টুকরা স্কচটেপ আপনার চোখের আউটার ভি তে লাগিয়ে আই মেকাপ করুন। মেকাপ শেষে স্কচটেপ তুলে ফেলে দিন। এতে আপনি অনেকটাই ক্যাট-আই শেপ পাবেন।

    (৭) আইলাইনার লাগানোর ক্ষেত্রে ক্যাট-আইলাইনার ই আপনার জন্যে বেষ্ট হবে। এছাড়া বেশ কয়েক কোট মাশকারা লাগাতে ভুলবেন না কিন্তু। তবে ফলস আইল্যাশের ক্ষেত্রে বেশি লং আইল্যাশ কিন্তু ভালো লাগবে না।

    (৮) লিপস্টিক এর ক্ষেত্রে বেছে নিন বোল্ড কালার গুলো, যা এটেনশন ক্রিয়েট করে। এক্ষেত্রে  রেড, বেরি, পিংক, প্লাম, ব্রাউন, ম্যাজেন্ডা ইত্যাদি কালার ভালো লাগবে। তবে হালকা কালারগুলো যে আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না, তা কিন্তু নয়।

    ছবি – ইমেজেসবাজার.কম

    লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ

    2 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort