গোলাকার থুঁতনির এড়িয়া, প্রশস্ত কপাল, চওড়া চিক বোন এগুলোই রাউন্ড ফেইস শেইপের অধিকারীদের বৈশিষ্ট্য। রাউন্ড ফেইস এর অধিকারীরা এগুলো নিয়ে চিন্তায় থাকেন যে মেকাপ করলে কেমন না কেমন দেখাবে। আরো মোটা লাগবে কিনা দেখতে। মেকাপ টিপস কিন্তু ফেইস এর গঠনের উপর নির্ভর করে। তাই চাইলেই কিছু মেকাপ টিপস ফলো করে আপনার এই রাউন্ড ফেইস কেই স্লিম এবং শার্প করে ফেলতে পারবেন। কীভাবে? চলুন জেনে নিই।
[picture]
(১) রাউন্ড ফেইস কে স্লিম দেখাতে আইব্রো টা পারফেক্ট ভাবে এঁকে নেওয়াটা জরুরী। খেয়াল রাখবেন, আইব্রো ড্র করার সময় যেন বেশী মোটা না হয়ে যায় এবং আইব্রো এর আর্চ টাকে সুন্দর ভাবে আঁকার চেষ্টা করবেন। আইব্রো আমাদের ফেইসকে ফ্রেম করে। তাই পারফেক্ট ভাবে আইব্রো আঁকার উপর ফেইস স্লিম দেখানোটা নির্ভর করে।
(২) চোখের পাতায় একটু কালারফুল আইশ্যাডো লাগানোর চেষ্টা করুন। এতে করে ফেইস এর থেকে চোখটাই বেশী এটেনশন তৈরি করবে। আইমেকাপ টা এমনভাবে করবেন যাতে চোখ ওপেন এবং বড় মনে হয়। এক্ষেত্রে আইলাইনার এবং মাশকারা কিন্তু মাস্ট। আইশ্যাডোর কালার হিসেবে বেছে নিতে পারেন ব্লু অথবা গ্রিন। এই কালারগুলো চোখকে বোল্ড দেখাতে সাহায্য করবে।
(৩) কন্ট্যুরিং হলো মেকাপের এমন একটা পার্ট যা ফেইস কে স্লিম এবং শার্প দেখাতে বেশী কার্যকরী। রাউন্ড ফেইস এর অধিকারীরা প্রথমে ক্রিম কন্ট্যুরিং করে নিয়ে তারপর পাউডার কন্ট্যুরিং করলে ভালো ইফেক্ট আসবে । চিক বোনের নিচে, নাকের দুইপাশে, কপালে, চিন এরিয়াতে কন্ট্যুরিং করে নিবেন। কন্ট্যুরিং এর জন্যে ফেইস এর থেকে অন্তত ৫ শেড ডার্ক কোনো কনসিলার এবং কন্ট্যুরিং পাউডার ব্যবহার করতে হবে। চাইলে ব্রোঞ্জারের ব্যবহারও করতে পারেন।
(৪) অনেকেই মনে করেন হাইলাইটার লাগালে বেশী এটেনশন চলে যায় সেদিকে এবং দেখতে মোটা লাগে। এই ধারণাটি মোটেও ঠিক না। আপনার স্কিন টোন অনুযায়ী হাইলাইটার বাছুন। একটি ফ্যান ব্রাশের সাহায্যে চিক বোনে, কপালে, নাকের উপরে হাইলাইটার লাগান। এতে করে আপনার ফেইস এ একটা স্লিমার ইমপ্রেশন তৈরী হবে।
(৫) ফেইস এর মধ্যে হাইয়েস্ট পয়েন্ট হচ্ছে নাক। তাই নাকে এটেনশন দিন। এতে ফেইস স্লিম লাগবে। নাকের দুই পাশে কন্ট্যুরিং করে এর উপরে হাইলাইটার লাগাবেন।
(৬) ব্লাশ লাগানো যাবে না! এতে আরো মোটা লাগবে। এজন্যে অনেকেই ব্লাশ স্কিপ করেন। এটা কিন্তু করা ঠিক নয়। রাইট ওয়েতে ব্লাশ লাগালে মোটা লাগার কোনো চান্সই নেই। যেকোনো ম্যাট ব্লাশ নিয়ে চিকবোনের নিচ থেকে আপওয়ার্ডলি চিকবোনের দিকে ব্লেন্ড করে দিতে হবে।
(৭) উইংড আইলাইনার আপনার ফেইসকে স্লিম দেখাতে সাহায্য করে। আইমেকাপের সাথে উইংড আইলাইনার একটু কার্ভ করে লাগান। এতে করে দেখতেও ভালো লাগবে এবং আপনার গালের এরিয়াও মোটা লাগবে না।
(৮) একটা পারফেক্ট লিপস্টিক পারে ফেইস কে স্লিম দেখাতে। এজন্যে পারফেক্ট শেড টি নির্বাচন করা জরুরী। পিংক কালারের লিপস্টিক ফেইস স্লিম দেখাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনি যেকোন হালকা ন্যাচারাল কালারগুলো বেছে নিতে পারেন।
(৯) লিপগ্লসের ব্যবহার ফেইস স্লিম দেখাতে সাহায্য করে। গ্লসি লিপস একটা এটেনশন ক্রিয়েট করে। যার ফলে ফেইস এর চওড়া দিকগুলোতে নজর কম যায়।
মডেল – বর্ণ
ছবি – কৌশিক ইকবাল
লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ