বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের ত্বক অনেক বেশী সংবেদনশীল তাই প্রয়োজন কিছু বাড়তি যত্ন। আবহওয়ার তারতম্যের সাথে মানিয়ে নেবার ক্ষমতাও তাদের সীমিত। একটু এদিক সেদিক হলেই ত্বক হয়ে যেতে পারে শুষ্ক বা দেখা দিতে পারে rash। আর এসব নিয়ে মায়েদের টেনশনেরও শেষ নেই। সেই সব মায়েদের জন্যে কিছু টিপস।
(১) হালকা কুসুম গরম পানি
হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে বাচ্চার ত্বক পরিষ্কার করা সব থেকে উত্তম। সাবান ত্বক শুষ্ক করে ফেলে তাই গন্ধহীন কোন বাথ ওয়েল পানিতে যোগকরে বাচ্চাকে গোসল করান তাহলে বাচ্চার ত্বক নরম থাকবে।
(২) সাবান বাছাই
যেসব সাবানে প্রচুর ফেনা সৃষ্টি হয় সেসব সাবান ব্যবহার না করাই ভাল কারন তা বাচ্চার ত্বক থেকে ন্যাচারাল ওয়েল শুষে নেয়। তাছাড়া এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল বা সুগন্ধীযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
(৩) মশ্চারাইজার ব্যবহার
গোসল করার পর বাচ্চার শরীর ভাল করে মুছে ফেলতে হবে যাতে কোথাও পানি না থাকে। তারপর একটা ভাল মানের মশ্চারাইজার সারা গায়ে আলতো করে লাগিয়ে দিন। অল্প পরিমান sorbolene বা aqueous ক্রিম ন্যাপি এলাকায় দিয়ে দিন । সোনামনির ত্বক যদি খুব শুষ্ক বা ত্বকের যদি কোন সমস্যা থাকে যেমন একজিমা তাহলে সাবান পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু মশ্চারাইজার লাগান।
(৪) শীতের গোসল
শীতকালে প্রতিদিন গোসল করানোর প্রয়োজন নেই কারন শীত এমনিতেই মুখের আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বক শুষ্ক করে তোলে তাই প্রয়োজন হলে দিনে দুই তিন বার মশ্চারাইজার লাগাতে পারেন।
(৫) গরম- শীতে কাপড় বাছাই
ত্বক আমাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডায় এই নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়া ভেংগে পড়ে। তাই গরমে হালকা ঢিলেঢালা সুতী বা সিন্থেটিক/সুতী কাপড় পরানো উচিৎ। আর শীতে কোন গরম কাপড় যেমন উলের তৈরী কিছু পরালে তার নিচে সুতীর কিছু পরিয়ে নিতে হবে না হলে বাচ্চার চুলকানী হতে পারে। খুব ঠান্ডায় বাচ্চাদের হাত বা পায়ের পাতা নীলাভ দেখায় তবে এটা কোন বড় সমস্যা নয়। অনাবৃত জায়গা গুলো ঢেকেদিন তাহলেই দেখবেন নীলাভ ভাব চলে যাবে।
- গরমের দিনে সোনামনি কে নিয়ে বাইরে যাবার আগে আরামদায়ক কিছু পরিয়ে নিন সাথে টুপি, সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না। অল্প পরিমানে সানস্ক্রিন SPF-15 আনাবৃত অংশ যেমন মুখ, পায়েরপাতা, হাতে লাগিয়ে দিন।
- বাচ্চাদের ন্যাপি বার বার পরিবর্তন করুন। প্লাস্টিক ওভার প্যান্ট পরিহার করুন। ভাল মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
(৬) শ্যাম্পু ব্যবহার
ছোট্ট সোনামনির চুলের যত্নে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল। আর করলেও খুব মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাচ্চার চুলের রং নিয়ে টেনশন করবেন না হোক না তা লালচে বা বাদামী। সাধারণত আট বছরের মধ্যে চুলের রং স্বাভাবিক হয়ে যায়।
বিঃদ্রঃ বাচ্চার নখ খুবই পাতলা তাই প্রথম কয়েক মাস তা কাটার প্রয়োজন নেই। নবজাতকের নখ চামচ বা সমতল আকৃতির হতে পারে কিন্তু তিন চার বছরের মধ্যে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
লিখেছেনঃ সিনথিয়া
মডেলঃ জান্নাত