প্রচুর পরিমানে শাক সবজি খান। আধা প্লেট ভাতের সাথে আধা প্লেট সবজি খেতে চেষ্টা করুন। কিন্তু আলু দিয়ে তৈরি হলেও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিন্তু সবজি হিসেবে গণ্য হবেনা। সবজি দিয়ে মজার মজার খাবার তৈরি করুন। রান্নায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো তবে না পারলে কোলস্ট্রল ফ্রি ভেজিটেবল ওয়েল ব্যবহার করুন।
শরীরের সমস্ত প্রোটিনের চাহিদা ডাল, শিম, মটরশুঁটি ইত্যাদি থেকে পুরণ করার চেষ্টা করুন। জাংক ফুড থেকে দুরে থাকুন। বার্গার, হট-ডগ বা পিৎজা না খেয়ে বরং মাছ, মুরগীর মাংস, ডাল ও শিম জাতীয় খাবার বেশী করে খান। এতেকরে আপনার হৃদরোগ ও ডায়েবেটিক রোগের ঝুকি কমে যাবে।
গরু, খাসি সহ অন্যান্য রেডমিট সীমিত পরিমানে খান যেমন সপ্তাহে দুই বার বা তারও কম। প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহন থেকে বিরত থাকুন। রিফাইন্ড হোয়াইট রাইসের পরিবর্তে বেশী ফাইবার যুক্ত ব্রাউন রাইস ও ময়দার পরিবর্তে আটা খেতে চেষ্টা করুন, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে হৃদরোগ ও ডায়েবেটিক রোগের ঝুকি কমে যায়।
খাবারের পাশাপাশি পানীয়র দিকেও খেয়াল রাখুন। পারলে মিষ্টি একেবারে পরিহার করুন। কোল্ড ড্রিংকস এর পরিবর্তে অল্প চিনি দিয়ে চা, কফি বা পানি পান করুন। চিনি কে অনেকে তরল বিষ বলে থাকেন কারন চিনি শরীরে সরাসরি ক্যালরি যোগ করে দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগে ও ডায়াবেটিক রোগের ঝুকিও বাড়িয়ে দেয়। অধিক পরিমানে দুগ্ধজাত খাবার ও অনেক রোগের ঝুকিতে ফেলতে পারে তাই এগুলো মাত্রাতিরিক্ত পরিমানে গ্রহন করবেন না। ফ্রুটজুসে প্রচুর পরিমানে চিনি থাকে তাই এগুলো বর্জন করুন।
সক্রিয় থাকুন। সারাদিন শুয়ে বসে না থেকে হাঁটাচলা করুন। প্রতিদিন নুন্যতম ৩০ মিনিট থেকে একঘন্টা হাঁটুন। লিফট এর পরিবর্তে সিড়ি ব্যবহার করুন।
লিখেছেনঃ সিনথিয়া