কোন হেয়ার মিসটেকগুলোর কারণে চুল অয়েলি হয়ে থাকে?

কোন হেয়ার মিসটেকগুলোর কারণে চুল অয়েলি হয়ে থাকে?

5

আজ সন্ধ্যায় আপনাকে একটি প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করতে হবে। কিন্তু প্রোগ্রামে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে খেয়াল করলেন চুলটা অয়েলি হয়ে আছে। তখন ভাবলেন, ‘এত ভালো করে শ্যাম্পু করলাম, কিন্তু এরপরও অয়েলিনেস কমছে না কেন?’  শ্যাম্পু করার পরও চুলের অয়েলিনেস দূর না হওয়ার এ সমস্যা আমাদের অনেকেরই হয়। এর কারণ হতে পারে রেগুলার করা কয়েকটি হেয়ার মিসটেকস। আজকের আর্টিকেলে জানাবো কোন হেয়ার কেয়ার মিসটেকগুলোর কারণে চুলের গ্রিজিনেস বেড়ে যায়।

স্ক্যাল্প কেন অয়েলি হয়ে যায়?

স্কিনের মতো আমাদের স্ক্যাল্পও সিবাম প্রোডিউস করে হেয়ারকে ময়েশ্চারাইজড রাখে। স্ক্যাল্পের সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড যখন ওভার রিয়্যাক্টিভ হয়ে যায় তখন বেশি সিবাম প্রোডিউস হয়। এই সিবাম প্রোডাকশন কতটুকু কম বা বেশি হবে তা মূলত ডিপেন্ড করে জেনেটিক্যাল ইস্যু, হরমোনাল ইমব্যালেন্স, হিউমিডিটি, হেয়ার কেয়ার রুটিন ও ডায়েটের ওপর৷ তাছাড়া হেয়ার কেয়ার রুটিনে কমন কিছু মিসটেকসও চুলের অয়েলিনেস বাড়িয়ে দেয়।

শ্যাম্পু করার পরও চুল কেন অয়েলি হয়ে যায়?

কোন হেয়ার মিসটেকগুলোর কারণে চুলের অয়েলিনেস কমে না?

চুল ভালো রাখার জন্য আমরা রেগুলার হেয়ার প্যাক লাগাই, অয়েল ম্যাসাজ ও শ্যাম্পু করি। সবকিছু মেনটেইন করার পরও চুলের গ্রিজিনেস কমে না। এমনকি শ্যাম্পু করার পরও তেলতেলে ভাব কমাতে কী করা যায় সে নিয়ে শুরু হয় নতুন ভাবনা। যদি রেগুলার হেয়ার কেয়ার করার পরও চুলের অয়েলি ভাব না কমে তাহলে বুঝতে হবে আপনি কিছু হেয়ার মিসটেকস করছেন। চলুন জেনে নেই কোন ভুলগুলোর কারণে আপনার চুলের অয়েলিনেস কমছে না-

১) বারবার চুলে শ্যাম্পু করা 

শুনতে একটু অবাক লাগলেও এটা সত্যি। প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার কারণে চুলে ধুলোবালি লাগছে, শ্যাম্পু দিয়ে ওয়াশ না করলে এই ময়লা দূর হবে না এমন ভেবে অনেকেই প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করেন। এদিকে স্ক্যাল্প কিন্তু রেগুলার ওয়েতেই সিবাম প্রোডাকশন করছে। বারবার শ্যাম্পু করার কারণে এই সিবাম ধুয়ে যায়। ফলে স্ক্যাল্প অতিরিক্ত ড্রাই হয়ে যায়। তখন স্ক্যাল্প আরও সিবাম প্রোডাকশন শুরু করে। আর এ কারণেই শ্যাম্পু করার পরও চুলের অয়েলিনেস বা চিটচিটে ভাব কমে না।

শ্যাম্পু করার পরও কেন অয়েলিনেস কমছে না?

২) ভুল পদ্ধতিতে চুলে শ্যাম্পু করা

চুলে তো আমরা সবাই শ্যাম্পু করি। কিন্তু যে পদ্ধতিতে শ্যাম্পু করি, সেটা সঠিক কিনা কীভাবে বুঝবেন? চুলে শ্যাম্পু অ্যাপ্লাই করার জন্য কিছু নিয়ম ফলো করতে হবে। যেমন- চুল ভিজিয়ে নিয়ে হাতের তালুতে পরিমাণমতো শ্যাম্পু ও অল্প পানি ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এবার জেন্টলি স্ক্যাল্পের পিছন থেকে সামনের দিকে ম্যাসাজ করে ওয়াশ করে নিন। অনেকেই ভাবেন নখ দিয়ে জোরে জোরে ঘষলে হয়তো ভালোভাবে ময়লা দূর হয়। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। শ্যাম্পু করার এমন কিছু ভুল টেকনিকের কারণেও চুল চিটচিটে হয়ে থাকে।

SHOP AT SHAJGOJ

    ৩) চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করা

    হেয়ার কেয়ারে এই মিসটেকটি খুব কমন। অনেকেই শ্যাম্পুর মতো চুলের গোড়াতে কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করেন। অথচ এটি একদম ভুল একটি মেথড। চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করলে ন্যাচারালি সিবাম প্রোডাকশন বেশি হয়। ফলে চুল দেখতে ফ্ল্যাট লাগে। কন্ডিশনার অ্যাপ্লাইয়ের নিয়ম হচ্ছে চুলের মাঝ থেকে আগা পর্যন্ত অ্যাপ্লাই করা। আর কন্ডিশনার লাগানোর পর অবশ্যই চুল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

    ৪) অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা

    চুল ভালো রাখার জন্য রেগুলার হেয়ার কেয়ার করা জরুরি এটা তো আমরা জানি। কিন্তু তাই বলে কি অতিরিক্ত হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ইউজ করবেন? মোটেও না! কারণ হেয়ার স্প্রে, হেভি ক্রিম, কালার, ওয়্যাক্স বেইজড প্রোডাক্টগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহার চুল তো ড্যামেজ করেই, সেই সাথে স্ক্যাল্পের সিবাম প্রোডাকশনও বাড়িয়ে দেয়। তাই বলে যে একদমই এসব প্রোডাক্ট ইউজ করবেন না, তা না। চুল ভালো রাখতে সবকিছু পরিমিতভাবে ইউজ করুন।

    ৫) সঠিক হেয়ার ব্রাশ ইউজ না করা 

    হেয়ার কেয়ারে যত কিছুই করা হোক না কেন, চুল আঁচড়াতে যদি সঠিক হেয়ার ব্রাশ বা চিরুনি ইউজ না করা হয়, তাহলে সব চেষ্টাই বৃথা। অনেকেই চুলের জন্য দামী প্রোডাক্ট ইউজ করেন, কিন্তু চুল আঁচড়াতে ব্যবহার করেন নিম্নমানের প্লাস্টিকের চিরুনি। এটা মোটেও করা উচিত নয়। বোর ব্রিসল ব্রাশ, ডিট্যাঙ্গলিং ব্রাশ, প্যাডেল ব্রাশ, পিন ব্রাশ, ওয়াইড টুথ কম্ব ইত্যাদি চুলের গোড়ায় প্রোডিউস হওয়া ন্যাচারাল সিবাম পুরো স্ক্যাল্পে ভালোভাবে স্প্রেড হতে হেল্প করে। এতে চুল গ্রিজি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। আর চুল আঁচড়াতে যে চিরুনিই ব্যবহার করা হোক না কেন, নিয়মিত সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। নইলে চিরুনিতে জমে থাকা ডার্ট চুলের অয়েলিনেস বাড়িয়ে দিতে পারে।

    সঠিক হেয়ার ব্রাশ ব্যবহার না করা

    ৬) হট শাওয়ার নেয়া

    ওয়ার্ক আউট করে অথবা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে অনেকেই হট শাওয়ার নিতে পছন্দ করেন। এতে বডি রিল্যাক্স হয়। বডির জন্য রিল্যাক্সিং হলেও চুলের জন্য হট শাওয়ার মোটেও ভালো নয়। এতে চুলের তো ক্ষতি হয়ই, সেই সাথে স্ক্যাল্পও ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। ফলে স্ক্যাল্পে বেশি সিবাম প্রোডিউস হয়। এতে শ্যাম্পু করার পরও চুল তেল চিটচিটে হয়ে থাকে।

    ৭) পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার না করা

    আপনি চুল শ্যাম্পু করলেন, আর শেষে ইউজ করলেন অপরিষ্কার একটি তোয়ালে। তেল চিটচিটে হওয়ার এটিও একটি কারণ। আরেকটি কথা, শ্যাম্পু করা শেষে চুলে বারবার হাত দিবেন না। কারণ আমাদের হাতে থাকা অয়েল স্ক্যাল্পে ট্রান্সফার হয়ে স্ক্যাল্প আরও গ্রিজি করে দেয়।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      এই তো জানিয়ে দিলাম, কোন হেয়ার মিসটেকগুলোর কারণে চুলের তেল চিটচিটে ভাব দূর হয় না। এই মিসটেকগুলো না করলে দেখবেন চুলের অয়েলিনেসের প্রবলেম অনেকটাই সলভ হয়ে গিয়েছে। হেয়ার কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও মেকআপ রিলেটেড অথেনটিক বিভিন্ন প্রোডাক্টস কিনতে পারেন সাজগোজ থেকে। সাজগোজের চারটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

      ছবিঃ সাজগোজ, সাটারস্টক

      3 I like it
      1 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort