‘আমি তো মেকআপ করতে পারি না! কীভাবে আর কোন কোন প্রোডাক্ট দিয়ে শুরু করবো সেটাই বুঝতে পারছি না।’ জানি, এই কনফিউশন অনেকেরই আছে। চিন্তা নেই, মাত্র ৪টি প্রোডাক্টস দিয়েই হবে ফ্ললেস ও পারফেক্ট বেইজ মেকআপ! আসলে বেইজ মেকআপ যদি পারফেক্ট না হয়, তাহলে যত সুন্দর আইলুক আর লিপ কালার আপনি ক্যারি করেন না কেন, কোনোটাই ঠিকভাবে ফুটবে না! নিজের কালেকশনে কোন কোন মেকআপ আইটেম রাখলে খুব সহজে ও অল্প সময়েই মনের মতো লুক ক্রিয়েট করা যাবে, সেটা দেখে নিন আজকের ফিচারে।
মেকআপে বিগেইনার?
যারা একদমই মেকআপ করতে পারেন না, তাদের জন্য আজ আমি সহজ কিছু টিপস শেয়ার করবো। প্র্যাকটিস করতে করতে আপনি নিজেও কিন্তু একদম প্রফেশনালদের মতো মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে পারবেন। নিজের ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা, ভালো কোয়ালিটির মেকআপ রেঞ্জ- ব্যস, এগুলোই শুধু দরকার! আজ আমি বেইজ মেকআপের একদম বেসিক ৪টি প্রোডাক্টস নিয়ে কথা বলবো। যেগুলো দিয়ে ঝটপট ক্রিয়েট করতে পারেন ন্যাচারাল কিংবা পার্টিলুক।
ফ্ললেস ও পারফেক্ট বেইজ এর জন্য ৪টি বেসিক আইটেম
মেকআপ করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করে নিন। এরপর ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না। স্কিনকে প্রোপারলি রেডি না করে নিলে মেকআপ লুক স্মুথ আর লং লাস্টিং হবে না। চলুন দেখে নেই বেইজ মেকআপের স্টেপগুলো কী কী।
১) মেকআপের প্রথম স্টেপে প্রাইমার
প্রথমেই আপনার প্রয়োজন হবে প্রাইমার। প্রাইমার আপনার বেইজ মেকআপকে ফ্ললেস আর লং লাস্টিং করতে হেল্প করবে। ফেইসের এক্সেস সিবাম ও ওপেন পোরসের ভিজিবিলিটি কমিয়ে মেকআপ লুককে পারফেক্ট রাখবে। আপনার স্কিন যদি অয়েলি হয় তাহলে ম্যাটিফাইং প্রাইমার চুজ করুন। আর আপনার স্কিনে যদি অনেক বেশি পরিমাণে এনলার্জড পোরস থাকে তাহলে পোরস মিনিমাইজিং প্রাইমার সিলেক্ট করুন।
Maybelline Baby Skin Instant Pore Eraser (USA) আমার মোস্ট ফেবারিট প্রাইমার। এটি ম্যাট ফিনিশ দেয়, সেই সাথে ওপেন পোরস হাইড করে ইনস্ট্যান্টলি। নন কমেডোজেনিক আর ফ্রেগ্রেন্স ফ্রি হওয়াতে অয়েলি অ্যান্ড সেনসিটিভ স্কিনেও ব্যবহার করা যাবে।
২) ফাউন্ডেশন
প্রাইমারের পর অ্যাপ্লাই করতে হবে ফাউন্ডেশন। পারফেক্ট বেইজ মেকআপের জন্য স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন সিলেকশন খুব জরুরি। বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান কালার কসমেটিকস ব্র্যান্ড ‘Nirvana Color’ নিয়ে এসেছে ৪টি ডিফারেন্ট শেইডের ফাউন্ডেশন যা বাংলাদেশি স্কিনটোনের জন্য একদম পারফেক্ট! Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation এর শেইডগুলো দেখে নিন।
১) Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation – Light Natural
২) Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation – Light Beige
৩) Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation – Light Golden
৪) Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation – Light Honey
হাই এন্ড ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন মতোই ফ্ললেস ফিনিশ দেয়। ফুল কভারেজ হলেও বিল্ডেবল ফর্মুলা মানে মেকআপ লুক কেকি হবে না! ব্লেমিশ বা স্কিনের যেকোনো দাগ, ডার্ক সার্কেল হাইড করে ইনস্ট্যান্টলি। লাইট ওয়েট ফর্মুলা অর্থাৎ স্কিনে একদমই হেভি ফিল হবে না। তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কেন Nirvana Color Face Perfect Liquid Foundation সাজেস্ট করছি!
ফুল কভারেজ ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করলে আলাদাভাবে কনসিলার ব্যবহারের দরকার হয় না, তবে চাইলে ডার্ক সার্কেল ও স্পট হাইড করতে কনসিলার/কালার কারেক্টর ব্যবহার করতে পারেন।
৩) প্রেসড পাউডার/ কমপ্যাক্ট পাউডার
ফাউন্ডেশন পারফেক্টলি সেট করতে প্রেসড পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডার প্রয়োজন। বিশেষ করে অয়েলি স্কিনে মেকআপের জন্য তো এটা মাস্ট হ্যাভ। Nirvana Color Mattifying and Poreless Pressed Powder আমার খুবই পছন্দের। বিশেষ করে টাচআপের জন্য বা মেকআপ সেট রাখতে এই প্রোডাক্টটি না হলে আমার চলেই না! ৩টি ডিফারেন্ট শেইডস আছে এর, চলুন দেখে নেই-
১) Nirvana Color Mattifying and Poreless Pressed Powder -Light Golden
২) Nirvana Color Mattifying and Poreless Pressed Powder – Light Natural
৩) Nirvana Color Mattifying and Poreless Pressed Powder – Light Beige
আপনার স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক প্রোডাক্টটি বেছে নিন। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, ফাউন্ডেশন ছাড়াও কিন্তু এটি ফেইসে অ্যাপ্লাই করা যায়। কারণ এটি মিডিয়াম টু ফুল কভারেজ দেয়। দাগছোপ হাইড করে এবং অয়েলিনেস কন্ট্রোল করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন এই প্রোডাক্টটি মাস্ট হ্যাভ।
৪) ফেইস প্যালেট (ব্রোঞ্জার, ব্লাশ আর হাইলাইটার)
এবার ব্রোঞ্জার, ব্লাশ আর হাইলাইটার দেওয়ার পালা। এতগুলো নাম শুনে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই কিন্তু! একটি প্যালেটে যদি ব্রোঞ্জার, হাইলাইটার ও ব্লাশ একইসাথে পাওয়া যায়, তাহলে তো ভালোই হয়, তাই না? বিগেইনারদের জন্য তো বটে, সবার জন্যই এটা বেশ ভালো অপশন। বলছি Nirvana Color Face Palette – Windy Monsoon এর কথা!
ব্রোঞ্জিং বা কনট্যুর করার জন্য আলাদা দু’টো শেইডস আছে। পিগমেন্ট বেশ ভালো ও লং লাস্টিং। দু’টো ডিফারেন্ট হাইলাইটার শেইডস আছে যা আমার খুবই পছন্দের। ব্লাশের শেইডগুলো এশিয়ান স্কিনটোনে দারুণ মানিয়ে যায়। এক কথায়, অল ইন ওয়ান! যেকোনো লুকই ক্রিয়েট করতে পারবেন খুব সহজে।
ব্যস, এই ৪টি প্রোডাক্ট নিজের কালেকশনে রাখুন। ফ্ললেস ও পারফেক্ট বেইজ মেকআপের জন্য এই আইটেমগুলো কিন্তু মাস্ট হ্যাভ। যারা একদমই মেকআপ করতে পারেন না, তারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝে নিয়েছেন কোন স্টেপের পর কোনটা অ্যাপ্লাই করতে হবে। মেকআপ লুক লং লাস্টিং করতে সবশেষে সেটিং স্প্রে ইউজ করতে পারেন। এতে ঘাম বা গরমেও মেকআপ লুক কেকি হয়ে যাবে না। অনলাইনে অথেনটিক বিউটি প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ