ন্যুড কালারে সাজ অনেকেই করতে চান না। অনেকে কালারটা পছন্দও করেন না। আবার অনেকে আছেন যাদের আসলে খুব পছন্দের একটি কালার এটি কিন্তু লিপস্টিক, নেইল পলিশ হিসেবে ব্যবহার করতে চান না, কারণ ফ্যাকাসে লাগে দেখতে। কিন্তু আপনি খুব সহজে ন্যুড (Nude) কালারটা ব্যবহার করে নিজের লুকে নিয়ে আসতে পারেন বড় একটা পরিবর্তন। আসুন জেনে নেই ন্যুড কালারটার কিছু বিশেষ ব্যবহার যা খুব সহজে আপনার লুকটাকে বদলে দিবে।
[picture]
ন্যুড কালারে সাজ নিতে ধাপগুলো
(১) লিপস্টিক
ন্যুড কালারের লিপস্টিক-এর ব্যবহারে লুকটাকে অনেকটাই সহজাত আর ন্যাচারাল মনে হবে। ন্যুড কালারের লিপস্টিক খুব সহজেই আপনি নিয়ে আসতে পারেন নিজের লুকে পরিবর্তন। ন্যুড কালার যেকোনো কালারের সাথে ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে মেকআপ-টাকে খুবই হালকা রাখা উচিত যাতে লুকটা ন্যাচারাল মনে হয়।
কড়া বা ভারী মেকআপ-এর সাথে ন্যুড কালার ব্যবহার না করাই ভালো। তবে স্মোকি আই বা ভারী আই মেকআপ-এর সাথে খুব সহজেই ন্যুড কালারের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে কেননা চোখ এবং ঠোঁটের সাজে সামঞ্জস্য রাখার একটি সহজ উপায় হল ২টার যেকোনো ১টির মেকআপ হালকা রাখা। তাছাড়া ন্যুড কালারের মত হালকা কালার বাবহারে ঠোঁটের আসল রঙটা নষ্ট হয় না। অনেক সময় ডার্ক কালারের লিপস্টিক ব্যবহারে ঠোঁটে কালচে দাগ পড়ে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে যে Maybelline-এর যে শেডগুলো ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো হল- SuperStay 14HR Lipstick – Pout on Pink, SuperStay 14HR Lipstick – Ultimate Blush, Color Sensational Lipstick – Pink Sand, Color Sensational Elixir – Pearlescent Peach, Super Stay 24h – Committed Coral, Bare All910, Blushing Beige915, NudeLust920, Maple Kiss925, Truffle Tease 930, Sin-a-Mon935, Touchable Traupe940, Stormy Sahara945। এগুলো বাদেও অন্যান্য ব্র্যান্ডের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে। তবে কালার পছন্দ করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখা উচিত যে লিপস্টিকের কালার আপনার গায়ের রঙ এর চেয়ে ১ বা ২ শেড ডিপ হলে ভালো হয়। কেননা আপনার গায়ের রঙের চেয়ে বেশি হালকা শেড ব্যবহারে অনেক সময় ফ্যাকাসে দেখাতে পারে।
(২) হাইলাইটার এবং কালার কারেক্টর
ন্যুড কালারে সাজ দিতে আপনি হাইলাইটার হিসেবেও বেছে নিতে পারেন একটি ন্যুড কালারের প্রোডাক্ট। এক্ষেত্রে ন্যুড কালারের Maybelline Dream Lumi touch Highlighting concealer ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিয়ে আপনি সহজেই আপনার আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল এবং আইব্রো-এর উপরের আনইভেন স্কিনটোন ঢাকতে পারবেন। আঙ্গুলের সাহায্যে এটি চোখের নিচের অংশে এবং ভ্রুর নিচের অংশে লাগান। এতে আপনার চোখের নিচের কালি এবং ভ্রুর নিচের আনইভেন স্কিনটোন ঢেকে ফেলতে পারবেন। এছাড়া, চেহারার যেকোনো দাগ বা ব্লেমিশ (Blemish) দূর করার জন্য একইভাবে আঙ্গুলের সাহায্যে চেহারার বাকি অংশে লাগাতে পারেন কনসিলার-টি।
ঠোঁটে লিপস্টিক বা লিপগ্লস লাগানোর আগে এই কনসিলার-টি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে ঠোঁটগুলো আরও স্পষ্ট হবে এবং পছন্দমত কালারটা ফুটে উঠবে।
এছাড়া, যেকোনো কনসিলার বা হাইলাইটার প্রোডাক্ট ব্যবহারের সময় আপনার অরিজিনাল স্কিনটোন-এর চেয়ে ১/২ শেড হালকা কনসিলার বা কালার কারেক্টর ব্যবহার করুন। পরে, ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার সময় ব্রাশ-এর সাহায্যে ভালোভাবে কনসিলার-টি মিশিয়ে নিন।
(৩) আইশ্যাডো
আপনার মেকআপ বক্সে একটি ন্যুড বা নেইকেড প্যালেট থাকাটা খুবই জরুরী কেননা আইশ্যাডো ব্যবহার করার সময় ন্যুড বা নেইকেড প্যালেট-টা বেশির ভাগ সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে বেইজ হিসেবে বা চোখের ইনার কর্নার-এ ন্যুড কালারটা ব্যবহার করা হয় এবং গ্র্যাজুয়ালি তা ব্লেনড করা হয় আরেকটা ডার্ক কালার দিয়ে । এক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন Urban Decay বা Sleek-এর মত ব্র্যান্ড। Urban Decay, Naked Palate, Naked Palate 2, Naked Palate 3-এর যেকোনো একটা ব্যবহার করতে পারেন।
(৪) নেইল পলিশ
আপনি যদি রেগ্যুলার নেইল পলিশ ব্যবহার করে থাকেন, তবে লাল বা অন্য কোনও ডার্ক কালার ব্যবহার না করে ন্যুড কালারের নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারেন একঘেয়েমি দূর করার জন্য। যদি মাসে অন্তত ১ বার ম্যানিকিওর ও পেডিকিওর করে নিতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়। ন্যুড কালার বা অন্যান্য হালকা কালার ব্যবহারে নখের গোলাপি আভা সহজে নষ্ট হয় না।
ছবি- রাহাত আমিন চৌধুরী (ArchQuad Photography); সংগৃহীত: সাজগোজ