বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস - Shajgoj

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস

14

আজ ১৪ই নভেম্বর, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির অনুরোধে, বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তাবে, জাতিসংঘের সম্মতিতে গত ৬ বছর ধরে সারাবিশ্বে ১৪ই নভেম্বর “বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস” হিসাবে পালিত হচ্ছে।ডায়াবেটিস এর ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করাই হলো এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য।বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজকে পালিত হচ্ছে এ দিনটি।

d12

Sale • Oil Control, Lotions & Creams

    এবারের স্লোগান “ প্রাতরাশেই শুরু স্বাস্থ্যকর খাদ্যের”। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার শুরু হোক সকালের নাস্তা থেকেই।ডায়াবেটিস রোগীদের চাই স্বাস্থ্যকর প্রাতরাশ। কারণ প্রাতরাশ  বা সকালের খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ । তাই সকালের খাবারে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। প্রাতরাশে যদি এমন সব খাবার থাকে যেগুলো খেলে রক্তের সুগার বেশি বাড়ে না তাহলে পুরো সকাল রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্বাস্থ্যসম্মত প্রাতরাশ অনেক কমিয়ে আনে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। বিশ্বজুড়ে হাইক্যালরি ও অপুষ্টিকর খাবার (ফাস্টফুড) গ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস।

    ডায়াবেটিস রোগীর নিয়ম ৪ ঘণ্টা পর পর ৬ বার খাওয়া (টাইপ ২ ওবেস রোগী হলে নাস্তা কিছু কম হতে পারে) সেখানে সারা রাত খালি পেটে থাকার পর কোনো অবস্থাতেই সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না  এবং তা হতে হবে অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত। যেসব খাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় যেমন শাকসবজি, তাজা ফল, মোটা শস্যদানা এবং অসম্পৃক্ত চর্বি-এগুলো খাওয়া উচিত। এতে কমবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এবং পরিহার করা যাবে ডায়াবেটিসের জটিলতা ।

    স্বাস্থ্যকর খাবারঃ

    -ফলের রস, কোমল পানীয়র বদলে ফল, পানি, চিনি ছাড়া চা ও কফি ।
    -প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে  শাকসবজি।
    -নাস্তার জন্য বাদাম, এক টুকরো ফল এবং চিনি ছাড়া দই (টক দই) ।
    -প্রক্রিয়াজাত মাংস, চর্বি বহুল মাংস, লাল মাংস-এগুলোর বদলে কচি মোরগ, মাছ, সামুদ্রিক খাবার ।
    -ময়দার রুটির বদলে লাল আটার রুটি, ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত।
    -রুটির ওপর জ্যাম-জেলি বা চকলেট ব্রেডের বদলে পিনাট বাটার।

    স্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন ঘি, মাখন, ডালডা, প্রাণিজ চর্বি, নারকেলের তেলের বদলে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যেমন সূর্যমুখী তেল, কর্নতেল, জলপাই তেল, রাইসান তেল, ক্যানোলা তেল।

    শিশু- কিশোরদের মধ্যেও আজকাল টাইপ -২ ডায়াবেটিস দেখা যাচ্ছে। মেদবহুল শিশু-কিশোর- তরুনরাই এতে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। তাই শিশুরা যাতে উচ্চ ক্যালরি বহুল খাবার খেয়ে মোটা না হয়ে যায় বা শ্রমবিমুখ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    ডায়াবেটিস ক্রমেই বাড়ছেঃ ২০১৩ সালে বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিসের রোগী ছিল প্রায় ৩৮ কোটি ২০ লাখ। অনুমান, ২০১৫ সালে সে সংখ্যা বেড়ে হবে ৬০ কোটি। বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৪ লক্ষ। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের এখনই সময়।

    আপনার বয়স যদি ৪০ এর বেশি হয় অথবা এক বা একাধিক ঝুঁকির মধ্যে  থাকেন যেমন– বংশে ডায়াবেটিস, ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি, অতিমাত্রায় ফাস্টফুড গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রমের কাজ না করা, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের চর্বি বেশি, তাহলে আজকেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করান।

    বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বারডেম সহ বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতির অন্তর্ভুক্ত সকল ডায়াবেটিস সেন্টারে আজকে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হচ্ছে। আপনি ও আপনার পরিবারের সকলেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিন। ডায়াবেটিসের ছোবল থেকে বর্তমান ও আগামি প্রজন্মকে রক্ষা করুন।

    লিখেছেনঃ ডাঃ এম এম রহমান রাজীব

    মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ

    0 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort