তারুণ্য ধরে রাখতে জীবনে জেনে রাখুন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস!

তারুণ্য ধরে রাখতে জীবনে জেনে রাখুন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস!

তারুণ্য ধরে রাখতে নিয়ম মেনে চলছেন একজ নারী

আমরা সবাই চাই তারুণ্য ধরে রাখতে। তারুণ্য ধরে রাখতে শারীরিক ব্যায়াম যতোটা জরুরি, ঠিক ততোটাই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক ব্যায়াম। কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় খেয়াল করে আপনি নিজেকে ধরে রাখতে পারেন একজন চির তরুণ হিসেবে।

তাই জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর মনের ব্যায়াম ও তারুণ্য ধরে রাখার কিছু কার্যাবলী।

Sale • Lotions & Creams, Sunscreen, Talcum Powder

    ১. বিভিন্ন মানসিক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ

    মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মনকে কাজে ব্যস্ত রাখার কোন বিকল্প নেই। ছোট বেলায় আমারা নানান খেলার ছলে মনকে ব্যস্ত রাখতাম। বড় হওয়ার সাথে সাথে আমাদের নানাবিধ মানসিক চাপ বেড়ে যায়। এতে মানসিক স্বাস্থ্য বাধাগ্রস্থ হয়।

    তাই মন কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে আমাদের ব্রেইনে নরঅ্যাড্রেনালিন (Noradrenaline) নামক হরমোন ক্ষরণ হয় যার ফলে ব্রেইনের কোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়। তাই বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মাধ্যমে ব্রেইনকে সচল রাখুন।

    ২. পুরনো স্মৃতি রোমন্থন

    মনের তারুণ্য ধরে রাখতে ও বার্ধক্য দূরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্মৃতিশক্তিকে সচল রাখা। পুরনো ঘটনা বা স্মৃতিগুলোকে মনে করার চেষ্টা করুন। ছোটবেলার সব বন্ধুদের নাম মনে করার চেষ্টা করতে পারেন। মনে করুন গুরুত্বপূর্ণ কোন সুখময় ঘটনা যেটা প্রায় ভুলে গেছেন। দেখবেন সুখময় ঘটনা মনে করার সাথে সাথে আপনার মনও ভাল হয়ে উঠছে।

     ৩. তারুণ্য ধরে রাখতে শারীরিক পরিশ্রম

    শারীরিক পরিশ্রম ব্রেনের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে যা আপনাকে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। শ্রম হার্টবিট বাড়ায় ও শরীর হতে ঘাম বের করে আপনার মানসিক কার্যকারিতা বাড়ায় কেননা এর ফলে ব্রেইনে অধিকহারে রক্ত সঞ্চালিত হয়। শারীরিক কাজ করার সুযোগ না থাকলে ছোট ছোট শারীরিক ব্যায়াম করুন যেমন জগিং, ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটুন, সাইক্লিং, সাঁতার কাটুন বা বাগানে কাজ করুন।

    ৪. তারুণ্য ধরে রাখতে মানসিক স্ট্রেস কমান

    মানসিক চাপ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থের সব চেয়ে বড় বাধা। আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা নানাবিধ মানসিক চাপে পড়ি যা আমাদের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। দীর্ঘদিনের চাপ স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ করে ও মানসিক রোগ সৃষ্টি করে। এ থেকে বাঁচতে জীবনকে সহজভাবে গ্রহণ করতে হবে। আপনার রেগ্যুলার কাজ হতে কিছু সময়ের বিরতি নিন। মন খারাপ হলে বা মানসিক চাপে থাকলে ভাল লাগার কাজগুলো করুন যেমন পছন্দের গান শুনুন, হাসির মুভি দেখতে পারেন অথবা আড্ডায় মেতে উঠতে পারেন। যা আপনাকে আবার কাজ করতে উৎসাহিত করবে।

    ৫. খাবার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন

    পুষ্টিকর খাবার আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঠিক রেখে তারুণ্য ধরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম চর্বিযুক্ত খাবার, অধিক আঁশযুক্ত খবার, ফলমূল ও শাকসবজি খাবার তালিকায় বেশি রাখুন। সুষম খাবার খান আর চিরতারুণ্য শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উপভোগ করুন।

    জীবন যেহেতু আপনার নিজের তাই একে ভালোবেসে গড়ে তুলুন আপন আলোয়। আর বয়স যাই হোক না কেন, মনে থাকুন চির তরুণ।

     

    ছবি- সংগৃহীত: সাটারস্টক

     

    6 I like it
    1 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort