কর্মক্ষেত্রে নারীর সাজপোশাক - Shajgoj

কর্মক্ষেত্রে নারীর সাজপোশাক

sharee 1

সংসার ও অফিস দুটোই নিপুন হাতে সামলাচ্ছে আজকের নারী। ফলে পারিবারিক নানা কাজের বাইরে তারাও ব্যস্ত থাকছেন বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ডে। তাদের মধ্যে গড়ে উঠছে কর্পোরেট সংস্কৃতি।কর্মক্ষেত্রে সাজ পোশাকের ব্যাপারে ও আধুনিক নারীরা এখন বেশ যত্নশীল। রুচিশীল, মার্জিত, সময় ও বয়সের সাথে মানান সই সাজপোশাক, পরিবার এবং সমাজে নিজের অবস্থান ও রুচিবোধের পরিচয় বহন করে।

মেয়েদের ফ্যাশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো পোশাক। আর সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাল্টে যায় মেয়েদের পোশাকের ফ্যাশন এবং স্টাইল। তবে কর্মজীবী নারীদের যেহেতু সময়ের অভাব সবচেয়ে বেশি হয় তাই তাদের পোশাক এমন হওয়া উচিত যা আরামদায়ক, কাজের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। শুধু পোশাকের ম্যাটেরিয়ালের ক্ষেত্রে নয়, সম্পূর্ণই পোশাকটাই এমন হওয়া উচিত যেটা সহজেই সামলানো যায়। এ কারণেই কর্মজীবী নারীরা আজকাল শাড়ির চেয়ে সালোয়ার-কামিজ ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যদিও বাঙালি নারীর চিরন্তন সৌন্দর্য শাড়ির মতো অন্য কোনো পোশাকেই ফুটে ওঠে ন।হাল্কা রঙের সুতি, তাতঁ বা কোটার শাড়ি কিংবা পাতলা কাজের সিল্ক বা জর্জেট শাড়ি ও কর্মক্ষত্রে বেশ মানানসই। কর্মজীবী মেয়েরা যে পোশাকই পরুন না কেন পোশাক নির্বাচনের সময় মাথায় রাখবেন আপনার পোশাকটি যেন মার্জিত রুচির হয়। পোশাক থেকে সাজগোজে কখনই যেন উগ্রতা প্রকাশ না পায়।গরমের দিনে অফিসের পোশাকের জন্য হালকা রঙ বাছাই করা উচিৎ। যারা এয়ারকন্ডিশনড পরিবেশে কাজ করেন না তাদের জন্য সুতি পোশাকই ভালো। কারণ সুতি কাপড় সহজেই ঘাম শুষে নেয়।কর্মজীবী মেয়েদের ব্যাগ একটু বড় হওয়া উচিত। কারণ তাদের ব্যাগের সাইজ এমন হওয়া উচিত যেখানে প্রয়োজনীয় কার্ড, কাগজপত্র, নিজের আইডি কার্ড ,টিফিন বক্স, পানির বোতল ইত্যাদি সব জিনিসের জায়গা হয়।

Sale • Sleeping mask/Mask, Sheet Mask, Bath Time

    অফিসে গহনা পরার ক্ষেত্রে ছোট ছোট গহনা পরা ভাল। জুতা এবং ব্যাগের রঙ কাছাকাছি শেডের মধ্যে বাছাই করলে দেখতে দারুণ লাগবে। ল্যাপটপ বহন করতে হলে বড় ব্যাগ বাছাই করুন যেন ল্যাপটপের সঙ্গে অন্যান্য জিনিসও অনায়াসে নেওয়া যায়।

    images

    অফিসের সাজ সবসময়ই হালকা হওয়া উচিত। অফিসের সাজের ক্ষেত্রে মুখে হালকা ফাউন্ডেশন এবং ফেসপাউডার ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। চোখে মাশকারা,কাজল বা আই লাইনার আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক লাগালেই আপনার অফিসের সাজ পূর্ণতা পাবে। সুগন্ধি ব্যবহার করতে ভুলবেন না। ভালো কোনো ব্রান্ডের ডিউডোরেন্ট বা পারফিউম ব্যবহার করুন।

    পোশাক এবং ব্যাগের মতো দৃশ্যমান না হলেও স্যান্ডেলও কিন্তু ফ্যাশনের বাইরে নয়। অফিসে যাওয়ার জন্য এমন জুতা পছন্দ করা উচিত যা পরলে হাঁটা আরামদায়ক হয়। সেই সঙ্গে এর ফ্যাশনটাও বজায় থাকে। শব্দ সৃষ্টি করে এমন জুতো পরিহার করুন।অফিসে কাজের ফরমাল পরিবেশে হিলের খটখট শব্দ খুব একটা শোভন নয়।

    কর্মজীবী নারী মানেই অনবরত কাজ করে যাওয়া নয়। তাই যতো ব্যস্তই থাকুন না কেন প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিজের যত্ন নিন। আপনি সুস্থ ও সুন্দর থাকলেই পরিবার ও সমাজ থাকবে সুন্দর। সার্থক নারী মানেই সার্থক আজকের পৃথিবী।

    লিখেছেনঃ বৈশাখী

    0 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort