আমাদের দেশে একসময় ভেসলিনকে সবাই পেট্রোলিয়াম জেলি হিসেবেই জানত। ভেসলিন যে একটা ব্র্যান্ড এর নাম, সেটা অনেকের অজানা ছিল। ভেসলিন ব্র্যান্ড এর পেট্রোলিয়াম জেলি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ফ্লেভার এবং ত্বকের ধরন বুঝে বিভিন্ন লোশন। ইউনিলিভার এর স্কিন কেয়ার রেঞ্জ এর ভেসলিন ব্র্যান্ডটি আমাদের দেশে বেশ পরে এসেছে। এর আগে ভারত এবং থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত ভেসলিন প্রোডাক্টগুলো খুব জনপ্রিয় হয়েছিল আমাদের দেশে, বিশেষ করে ভেসলিন রেঞ্জ এর লোশন গুলো। তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বাংলাদেশেও এখন ভেসলিন লোশন উৎপাদিত হচ্ছে এবং অনেক আনন্দের বিষয় ইউনিলিভার বাংলাদেশ গুনগত মানের দিক থেকে আমাদের একবারেই নিরাশ করেনি।
লোশনটি দাবি করে এতে আছে স্কিন লাইটেনিং ফর্মুলা (Skin Illuminating Minerals) এবং ভিটামিন বি-৩, যা আপনার শরীরে পড়া কালচে দাগ ধীরে ধীরে দূর করবে এবং নতুন করে কালচে দাগ পড়তেও বাঁধা দিবে। এটি সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে শরীরকে সুরক্ষা প্রদান করবে এবং সূর্যের রশ্মির প্রভাবে পরা কালচে দাগ দূর করবে।
এখনকার সময় কম বেশি সব নারীদের কাজের প্রয়োজনে বাইরে যেতে হয় এবং সবার মাঝেই রোদে পুড়ে কালো হয়ে যাবার ভয় থাকে। তাই অনেকেই অনেক গরমেও ফুল হাতা জামা পরে বের হয় রোদ থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য। যারা প্রতিনিয়ত বাইরে থাকেন এবং সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি এর জন্য শরীরের উপর কালচে আস্তরন পড়েছে তাদের জন্য খুবই উপকারি এই লোশনটি। ভেসলিনের অন্য লোশন থেকে এটার ঘনত্ব কম। লোশনটির বোতলের মুখ খুললেই সুন্দর হালকা একটি ফুলের গন্ধ নাকে এসে লাগে। এই লোশন যেহেতু ইলুমিনেটিং উপাদান আছে, তাই এটি ব্যবহারের সাথে সাথেই একটা ত্বকে একটা গ্লো আসে। ত্বকটা স্বাভাবিক এর থেকে একটু উজ্জ্বল লাগে। এটি খুবই লাইট ওয়েট এবং ত্বকের সাথে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যায়। নন-গ্রেসি বলে এই লোশনটি বাইরে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।
আমার মতে এই লোশনটি শীত বা গ্রীস্মে যেকোন ঋতুতেই ব্যাবহারের জন্য ভালো, বিশেষ করে ঘরের বাইরে যাওয়ার সময়। আমি ভেসলিন হেলদি হোয়াইট লোশন বিগত ৩ বছর ধরে ব্যাবহার করছি এবং এটা সত্যি সূর্য রশ্মির কারনে পড়া হাতের ট্যানিং অনেকটাই কমিয়ে এনেছে, যা অন্যান্য উচ্চ মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যাবহার করেও কমছিল না। আমি ভেসলিন হেলদি হোয়াইট লোশন গ্রীষ্ম কালে গোসলের পর এবং রাতে নিয়মিত ব্যাবহার করি। আর শীতকালে শুধুমাত্র বাইরে যাবার সময় রোদ থেকে হাত পায়ের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করি। ভেসলিন ব্র্যান্ড এর লোশন রেঞ্জ গুলো খুবই সমৃদ্ধ। শীতকালের শুষ্কতা থেকে বাঁচার টোটাল ময়েসচারাইজার লোশন টি ব্যাবহার করি, যেহেতু আমার ত্বক শীতকালে অনেক বেশি রাফ হয়ে যায়। শীতকালে আমার শুষ্ক ত্বকের জন্য ভেসলিন হেলদি হোয়াইট লোশন শরীরের ময়েসচারাইজার লেভেল ধরে রাখার জন্যেও কার্যকর।
আমাদের দেশ গ্রীষ্মকালীন দেশ, বেশির ভাগ সময় প্রচণ্ড গরম থাকে। যারা প্রতিদিন বাহিরে যায় এবং নন গ্লসি ফর্মুলার লোশন চায় তারা এই লোশন নির্দ্বিধায় কিনতে পারেন। এই লোশন শরীরে সাথে খুব দ্রুত মিশে যায়, তাই অতিরিক্ত গরমেও ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে না।ভেসলিন হেলদি হোয়াইট লোশন আপনার প্রাকৃতিক স্কিন টোন কে লাইট করবে না। এই লোশন আপনার শরীরে সূর্যের কারনে পড়া কালোদাগ দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক রং ফেরত আনতে সাহায্য করবে। আবারও বলছি লোশনটি আপনার গায়ের রং ফর্সা করবে না।
যারা সাধ্যের মধ্যে ভালো মানের এবং নন গ্লসি ফর্মুলার একটি লোশন চাচ্ছেন যা ত্বকের ট্যানিং দূর করে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে তাদের জন্য এটিই প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
লিখেছেন ঃ তাপসী মুন।