চুল নিয়ে যারা সমস্যায় আছেন তাদের প্রশ্ন করলে যে অভিযোগ গুলো শুনতে পাওয়া যায় সেগুলো হলো- ‘চুলগুলো যেন পাটের আঁশ হয়ে গেছে’ ‘মাথায় খুশকি, ‘চুলের কোনো উজ্জ্বলতা নেই’। চুলের আর কী দোষ? চুল থাকলে এসব সমস্যা হবেই। কিন্তু একটু যত্ন আপনার চুল থাকাটাকে অনেক বেশি আনন্দের করে দিতে পারে। যারা ঘরে বসে প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন করতে চান তাদের জন্য ঢেঁড়স হতে পারে উপযুক্ত একটি উপাদান।
[picture]
ঢেঁড়স দিয়ে কীভাবে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বানাবেন সেটা দেখার আগে দেখে নিন এতে আপনার চুলের কী কী উপকার হবে।
* ঢেঁড়সের কন্ডিশনার আপনার মাথার ত্বকের মশ্চেরাইজার হিসেবে কাজ করবে। মাথার ত্বকে খুশকি থাকলে বা চুলকানির সমস্যা থাকলে তা দূর করবে এই কন্ডিশনার।
* চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য অনেকেই নানা ধরনের কসমেটিক ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু বাজারের অধিকাংশ প্রডাক্টের প্রতি আস্থা রাখাও মুশকিল এখন। এছাড়া সাইড ইফেক্টের ভয় তো আছেই। ঢেঁড়সের তৈরি কন্ডিশনার আপনার চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেবে, ঠিক যেমনটি আপনি চান।
* চুলের রেশমি ভাব কে না চান? অনেক যত্ন করে শ্যাম্পু করে কন্ডিশনার লাগানোর পরও চুল যদি নেতিয়ে থাকে বা খড়খড়ে হয়ে থাকে তাহলে সেটা খুব বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে ঢেঁড়স!
ঢেঁড়সের কন্ডিশনার তৈরি করা খুবই সহজ। আর ঢেঁড়স এমন একটা সবজি যা হয়তো ফ্রিজে খুঁজলে এখনই আপনি পেয়ে যাবেন। চুল কতটুকু বড় এর উপর নির্ভর করে পরিমাণ মতো ঢেঁড়স নিন। ১৫ থেকে ২০ টা মাঝারি ঢেঁড়সে মাঝারি চুলের কন্ডিশনার হয়ে যাবে।
ঢেঁড়সগুলো মাঝারি করে কেটে নিন। এতে ফুটানো ফিল্টার করা পানি মেশান। তারপর এটি চুলায় হালকা আঁচে বসিয়ে দিন। যখন ঢেঁড়সের রস বের হয়ে এসে পুরো পানিটাকে পিচ্ছিল করে দেবে তখন চুলা বন্ধ করে দিন। ঢেঁড়সের টুকরো গুলো তুলে ফেলে দিন। মূলত এর রসটাই কন্ডিশনার। ঠাণ্ডা করে এটা মাথায় লাগাতে হবে। চাইলে এতে লেবুর রস বা মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। না মেশালেও সমস্যা নেই।
চুলের আগা থেকে মাথা পর্যন্ত লাগাতে হবে কন্ডিশনারটি। লাগানোর সময় সাবধান থাকতে হবে কারণ এটি খুবই পিচ্ছিল। আধা ঘণ্টা পর স্বাভাবিক নিয়মে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। মাথা ধুয়ে চুল শুকিয়ে নিতে হবে।
ছবি – ইজিট্রলিং ডট কম
লিখেছেন – রওশন আরা মুক্তা