কেমন আছেন সবাই? নিশ্চয়ই ভালো। আজকে রিভিউ দিব ম্যাকের পপুলার চারটা পেইন্ট পটের। এগুলো আইশ্যাডো বেইজ হিসেবে, প্রাইমার হিসেবে আবার কখনো বা সিঙ্গেল আই কালার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। মেকাপ প্রেমীদের কাছে প্রথম থেকেই এগুলো Must have প্রোডাক্ট হিসেবে সমাদৃত হয়ে আসছে। অনেক শেডের ভিড়ে আজকে জানাবো সেগুলোর ব্যাপারে; সবচেয়ে বেশি যেগুলো আই মেকাপের সময় ব্যবহার হয়ে থাকে।
Soft Ochre: এটি মূলত একটু ওয়ার্ম আন্ডারটোনের ইয়ালো+বেইজ কালারের শেড। আই প্রাইমার হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তবে কখনো ঠোঁটে কন্সিলারের বদলে এই পেইন্ট পট ইউজ করে এক্স্যাক্ট কালারটা আনা যায়। চোখে এপ্লাই করার সময় একটু দ্রুততার সাথে এপ্লাই করতে হয় যেহেতু এটা বেশ জলদি ম্যাট হয়ে যায়। তবে একবার ম্যাট হয়ে গেলে এটা সুন্দর ভাবে বসে যায়, আলাদা করে সেটিং পাউডার দেওয়ার প্রয়োজন পরেনা।
[picture]
Painterly: এটাকেন্যুড বেইজ কালার বলা যেতে পারে। তবে চোখে দেয়ার পরে একটু পিঙ্কিশ লাগে। পেইন্ট পটের মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় শেড। হালকা আই মেকাপ হোক বা ভারী, আমার প্রতিদিনের আইমেকাপে আমি এটা ব্যবহার করতে পারি। আগের তার মতই এটাও ক্রিমি ফর্মুলার, চোখের পাতায় খুব সহজে এপ্লাই করা যায় আর সুন্দরভাবে ব্লেন্ড হয়ে যায়। আগের পেইন্ট পটের চেয়ে এটা একটু কম হলুদাভ লেগেছে আমার কাছে। নিউট্রাল স্কিন টোন যাদের, তাদের জন্য ভালো হবে এই শেডটি।
Let me Pop: এই কালারটা কপার+গোল্ডেন কালারের চমৎকার একটা শেড। এটা ক্রিমি, তবে এপ্লাইয়ের পরে সেমি ম্যাট, আবার কিছুটা ফ্রস্টিও বলা যেতে পারে। শ্যাম্পেন কালারের শিমার থাকাতে পার্টি মেকাপের সময় বা তাড়াহুড়ো করে মেকাপের সময় বেশ কাজে দেয়। আপনার স্কিন টোন যেমনি হোক না কেন, এশিয়ান যেকোনো স্কিন টোনের সাথে অনায়াসে যাবে এই পেইন্ট পট। একটু গ্লিটারি হওয়ার কারণে গোল্ডেন বা গোল্ডেনের কাছ ঘেষা যেকোনো শেডকে আক্ষরিক অর্থেই pop out করে।
Layin’ low: ক্রিমি বেইজ কালারের শেড। তবে একটু পিচি আন্ডার টোন আছে। তবে Soft ochre আর painterly এর তুলনায় এটা আরও বেশি ওয়ার্ম কালার। রোদে পুড়ে ট্যান হয়ে যাওয়া স্কিনের জন্য পারফেক্ট শেড! চোখের চারপাশের ডার্কনেস ঢেকে দেয় আর সুন্দর আই বেইজ তৈরি করে। সব মিলিয়ে অন্যগুলোর তুলনায় এটাও পিছিয়ে নেই।
পেইন্ট পটের যেসব দিক আমার ভালো লেগেছে
- অনেক বেশি পিগমেনটেড
- বেইজের পাশাপাশি আন্ডার আই কন্সিলার হিসেবেও বেইজ কালারগুলো কিছুটা কাজ করে
- হাই কাভারেজ দেয়
- হালকা কালারগুলো চোখের পাতায় ফুটিয়ে তোলে
- আইশ্যাডো ক্রিজ হওয়া, মানে ছড়িয়ে যেতে দেয়না
- আঙ্গুলের সাহায্যে সহজেই এপ্লাই করা যায়
- ছোট্ট গ্লাসের পটটা সহজে ক্যারি করা যায়
খারাপ লাগার মতো কোন দিকই নেই এতে। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। তবে একটা কথা বলে রাখা ভালো, আর সেটা হল এপ্লাই করার সময় আঙ্গুলের ডগা দিয়ে খুব দ্রুত ব্লেন্ড করতে হয়, কারণ এটা ক্রিমি ফর্মুলার হলেও এপ্লাই করার পরে খুব তাড়াতাড়ি ড্রাই হয়ে যায় আর ম্যাট ফিনিশ দেয়। আপনি চাইলে ব্রাশের সাহায্যেও এপ্লাই করতে পারেন, তবে আমি বলব আঙ্গুল দিয়ে লাগানোই সহজতর।
কোথায় পাবেন? দেশে পাবেন যমুনা ফিউচার পার্কের SAPPHIRE এ। ৫ গ্রামের প্রতিটি পেইন্ট পটের দাম পড়বে ২৬৮২ টাকা। চাইলে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে অর্ডার করতেও পারেন।
ছবি – বিউটিজাইন ডট কম
লিখেছেন – চৌধুরী তাহাসিন জামান