কোস্টাল সেন্টস Eclipse প্যালেট - Shajgoj

কোস্টাল সেন্টস Eclipse প্যালেট

eclipse_ph003_copy

আজকে রিভিউ দেবো কোস্টাল সেন্টস এর অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রোডাক্টের; যার নাম কোস্টাল সেন্টস Eclipse প্যালেট। তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সারা বছর সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে এই একটি প্রোডাক্টের। এটি মূলত একটি কন্সিলার প্যালেট, তবে এটা দিয়ে পুরো মুখের বেইজ মেকাপ, কনটোরিং, হাইলাইটিং এর কাজ করে ফেলা যায়। এক কথায় একের ভেতর অনেক কিছু। একটু প্র্যাকটিসের দরকার হলেও ব্যবহার করাটা আমার কাছে বেশ সহজ মনে হয়েছে। সার্বিক দিক দিয়ে কেমন কালো রঙের ছোট আকারের এই প্যালেটটি? চলুন দেখে নিই

মোট ১৫ টি শেড রয়েছে এখানে। তার মধ্যে ১১টি কন্সিলার শেড, ৩টি কারেক্টার, আর একটা হাইলাইটার রয়েছে। প্রথমেই আসি কারেক্টারের কথায়।

Sale • Pigmentation, Dark Circles / Wrinkles, Eye Makeup Remover
    • মিন্ট গ্রিন শেডের কারেক্টারটি স্কিনের যেকোনো রেডনেস, রোজেশিয়া, পিম্পলের দাগ ঢাকতে সক্ষম।
    • ল্যাভেন্ডার কালারের কারেক্টার ত্বকের অতিরিক্ত হলদে ফ্যাকাসে ভাব, আর অলিভ আন্ডারটোনের স্কিনের অসামঞ্জস্যতা অনায়াসেই কাভার করে।
    • ইয়ালো কালারের কারেক্টার কালো, নীলচে বা বেগুনি ধাঁচের ডার্ক সার্কেল সহ ত্বকের কালচে ভাব ঢেকে দেয়। এটা কন্সিলার হিসাবেও লাইট স্কিনে ইউজ করা যায়।
    • সিলভার কালার হাইলাইটার হিসেবে চমৎকার। ইউজ করা যায় চিকবোনে, নাকে, থুতনিতে আর কপালে।

    বাকি ১১টি কন্সিলার এর কোয়ালিটিও আমার কাছে বেশ ভালো মনে হয়েছে। পিগমেনটেশন অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। মিডিয়াম থেকে ফুল কাভারেজ দেয়। এর ক্রিমি টেক্সচার স্কিনের সাথে খুব সহজেই ব্লেন্ড হয়ে যায়। সময়ও কম লাগে বলে রেগুলার ইউজ করি আমি। ব্রাশ, আঙ্গুল অথবা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে মুখের বেইজ খুব সহজেই করে ফেলা যায়। মেকাপের আগে স্কিনে ময়েশ্চারাইজার আর প্রাইমার দিয়ে ফেললে ফ্ললেস বেইজ মেকাপ করা কোন ব্যাপারই না। লাইট, মিডিয়াম, ডার্ক; ওয়ার্ম, কুল বা নিউট্রাল আন্ডারটোন, যেকোনো স্কিনের কালারের সাথেই যাবে এর কালারগুলো। সঠিক কালারটা না আসলে ডার্ক আর লাইট শেডগুলোর মধ্যে মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ করে স্কিনের পারফেক্ট টোনটা আনা যায়। মিডিয়াম শেড গুলোর মধ্যে দু একটি কন্সিলার একটু অরেঞ্জিশ হওয়াতে কন্সিলার প্লাস অরেঞ্জ কালার কারেক্টার হিসাবে ইউজ করা যায়। ডার্ক কালারগুলো দিয়ে শেডইং এর মাধ্যমে কনটোরইং এ ন্যাচারাল লুক আনা যায়। আর আমার স্কিন টোন সারাবছর একইরকম থাকেনা। কখনো একটু রোদেপোড়া রঙ আবার কখনো নিয়মিত ত্বকের যত্নে ত্বক একটু উজ্জ্বল থাকে। এতে করে এই প্রোডাক্টটি আমি সারা বছর ব্যবহার করতে পারি। নতুন করে কন্সিলার ম্যাচ করে কেনার ঝামেলা থাকেনা।

    প্যালেটটির যেসব দিক আমার ভালো লেগেছে

    • আঙ্গুলের সাহায্যেই খুব সহজে এপ্লাই আর ব্লেন্ড করা যায়।
    • ডার্ক শেডগুলো দিয়ে কনটোর করা যায়।
    • সবচেয়ে ডার্ক শেডটি আইব্রাও মেকাপে দারুণ কাজ করে।
    • অনেক শেড থাকায় সব রঙের অধিকারীরা ইউজ করতে পারেন।
    • একের ভেতর অনেক কিছু থাকায় ট্র্যাভেলের সময় সঙ্গে নেওয়া যায়, তবে সেক্ষেত্রে একটা আয়না প্যালেটটির সাথে সংযুক্ত করা থাকলে হয়ত আরও ভালো হতে পারতো।
    • কন্সিলারের ঘনত্ব বেশি তাই খুব কম পরিমাণে লাগে।

    কোথায় পাবেন? কোস্টাল সেন্টস এর ওয়েব সাইটে অর্ডার করলেই পাবেন। দেশে পাবেন যমুনা ফিউচার পার্কের Sapphire এ। দাম পড়বে ২২৫০ টাকা। চাইলে তাদের ফেসবুক পেজ থেকে অনলাইনে অর্ডার করতেও পারেন।

    লিখেছেনঃ চৌধুরী তাহাসিন জামান

    ছবিঃ কোস্টাল সেন্টস. কম

    0 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort