স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড সিলেক্ট করবেন কীভাবে?

স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড সিলেক্ট করবেন কীভাবে?

লাইট শেইডের আইশ্যাডো ও ব্লাশ এখন বেশ ট্রেন্ডি

মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করেই একটা পিংক শেইডের ব্লাশের দিকে চোখ আটকে যায় রুবাইদার। পিংক খুব পছন্দের কালার হওয়ায় রুবাইদা সাথে সাথেই ব্লাশটা কিনে ফেলে। কিন্তু মেকআপ করতে গিয়ে দেখা গেলো, তার স্কিনটোনের সাথে ব্লাশের কালারটা একেবারেই ম্যাচ করছে না। রুবাইদার মতো সিচুয়েশন নিশ্চয়ই আরো অনেকেই ফেইস করেছেন। আসলে ফাউন্ডেশন বা কনসিলারের মতো ব্লাশও যে স্কিনটোন বুঝে কেনা উচিত তা বেশিরভাগই জানেন না। আবার জানলেও কোন স্কিনটোনে কী কালারের ব্লাশ পারফেক্ট হবে, তা নিয়ে থাকে আলাদা কনফিউশন। আজ আপনাদের জানাবো কীভাবে আপনারা নিজেদের স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড চুজ করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন বুঝতে হবে সবার আগে

ব্লাশ ছাড়া মেকআপ লুক যেন একদমই ইনকমপ্লিট থেকে যায়। যদি অন্য কোনো প্রোডাক্ট ইউজ না করে শুধুমাত্র ব্লাশ দিয়ে মেকআপ করা হয়, তাহলেও দেখতে খুব সুন্দর ও স্নিগ্ধ লাগে। একটা সময়ে ব্লাশের কালার বলতে শুধুমাত্র পিংককে বোঝানো হলেও এখন মার্কেটে সব স্কিনটোনের জন্যই ডিফারেন্ট শেইডের ব্লাশ অ্যাভেইলেবল রয়েছে। যদি আপনারা নিজের স্কিনটোনের সাথে মানানসই ব্লাশ খুঁজে পেতে চান, তাহলে সবার আগে নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন আইডেন্টিফাই করতে হবে।

ব্লাশ অ্যাপ্লাই করার আগে নিজের স্কিনটোন জানুন

যেভাবে আইডেন্টিফাই করবেন নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন

সাধারণত এশিয়ান নারীদের স্কিনটোন তিন ধরনের হয়ে থাকে, ফেয়ার, মিডিয়াম ও ডিপ। এখন স্কিনটোন বোঝার খুব ইজি একটা ট্রিক শেয়ার করি। আমাদের চোয়াল বা জ’লাইনে ডিসকালারেশন সবচেয়ে কম থাকে। তাই ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করে ন্যাচারাল লাইটে চোয়ালের দিকে লক্ষ করলেই আপনারা খুব ইজিলি নিজের স্কিনটোন আইডেন্টিফাই করতে পারবেন।

এবার আসি আন্ডারটোনে। আন্ডারটোন হলো আমাদের ফেইসের সারফেসের নিচের কালার। যারা এখনও নিজেদের আন্ডারটোন জানেন না, তাদের জন্য ছোট্ট একটা হ্যাক শেয়ার করছি। ন্যাচারাল লাইটে আপনার হাতের রিস্ট তুলে ধরে ভেইনের কালার খেয়াল করুন। যদি ভেইনের কালার গ্রিন হয়, তাহলে ওয়ার্ম আন্ডারটোন, যদি ব্লু বা পারপেল হয়, তাহলে কুল আন্ডারটোন এবং যদি গ্রিন ও ব্লু এর মাঝামাঝি কালার হয়, তাহলে নিউট্রাল আন্ডারটোন।

স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড যেগুলো হবে

চলুন এবার দেরি না করে জেনে নেয়া যাক কোন স্কিনটোনের সাথে কেমন শেইডের ব্লাশ পারফেক্টলি স্যুট করে সে সম্পর্কে।

পিংক ও মভ ব্লাশ

 

ফেয়ার স্কিনটোন

সাধারণত আমাদের দেশে ফেয়ার স্কিনটোনে নিউট্রাল বা ওয়ার্ম আন্ডারটোন বেশি থাকে। যেকোনো হালকা কালারের ব্লাশ ফেয়ার স্কিনটোনে খুব ভালো মানায়। বিশেষ করে এই স্কিনটোনে লাইট পিংক, লাইট পিচ, কোরাল বা লাইট বেরি শেইডের ব্লাশ খুব ভালো কমপ্লিমেন্ট করে।

মিডিয়াম স্কিনটোন

মিডিয়াম স্কিনটোন ট্যানিংয়ের কারণে ওয়ার্ম আন্ডারটোনের হয়ে থাকে। এই স্কিনটোনে রোজি পিংক, মভ, মিডিয়াম পিচ টোনের পাউডার বা ক্রিম ব্লাশ চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে পারেন।

ডিপ স্কিনটোন

ডাস্কি ও ডিপ স্কিনটোনে ওয়ার্ম আন্ডারটোন থাকে। একটু ডার্ক কালারের যেকোনো ব্লাশ এই স্কিনটোনে অ্যামেজিং লাগে। চাইলে আপনারা হট কোরাল, ডার্ক অরেঞ্জ, ব্রিক রেড বা ডিপ বেরি শেইডের ব্লাশ চুজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অ্যাপ্লাইয়ের সময় একটু কেয়ারফুল থাকতে হবে। কারণ ডার্ক কালারের ব্লাশগুলোর পিগমেন্টেশন কিছুটা বেশি হয়। তাই অসাবধান হয়ে একবারে বেশি অ্যাপ্লাই করে ফেললে পরে ব্লেন্ড করতে অসুবিধা হবে।

ব্লাশ অ্যাপ্লিকেশনের কিছু টিপস

ব্লাশ হলো মেকআপের আল্টিমেট গেইম চেঞ্জার। তাই সঠিকভাবে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে ফ্ললেস মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে ফলো করুন এই টিপসগুলো।

১) কখনোই একবারে বেশি পরিমাণে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করবেন না। বরং ধীরে ধীরে ব্লাশের কভারেজ বিল্ড আপ করুন।

২) পাউডার ব্লাশের বেস্ট কভারেজ পেতে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাইয়ের আগে একটু সিমিলার শেইডের ক্রিম ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে নিন।

৩) ভুল করে বেশি ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে ফেললে একটা ফ্লাফি ব্রাশে লুজ পাউডার নিয়ে ফেইসে হালকাভাবে ডাস্ট করে নিন।

ব্লাশ মেকআপের গেম চেঞ্জার

৪) ফেইস আপলিফটেড ও ফ্রেশ দেখাতে গাল থেকে চিকবোনের কিছুটা ওপর পর্যন্ত ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন।

৫) ভালো কোয়ালিটির একটি ব্লাশ ব্রাশে ইনভেস্ট করুন, এতে প্রোপারলি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।

আশা করি এখন থেকে আপনারা নিজেদের স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড পারচেস করতে পারবেন। ব্লাশসহ যেকোনো মেকআপ আইটেম, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টের জন্য সাজগোজ আমার অন্যতম ট্রাস্টেড প্লেস। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্ট।

SHOP AT SHAJGOJ

    ছবিঃ সাজগোজ, সাটারস্টক।

    1 I like it
    1 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort