আমাদের দেশ এ মুখে ব্রণ নেই এমন মেয়ে খুব কমই আছে। যদিও অনেক ছেলেরাও এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি কিংবা অফিস প্রতিদিনই বাসা থেকে বের হতে হয় আমাদের এবং লম্বা একটা সময় কাটাতে হয় বাহিরে। ধূলা-ময়লা, আবর্জনা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এসব কারনে বিভিন্ন ধরনের স্কিন প্রবলেম দেখা দেয় যার মধ্যে ব্রণ বা র্যাশ অন্যতম। আর ব্রণ হলেই দেখা যায় ব্রণ সেরে যাওয়ার পর স্কিন এ ছোট গর্ত মত হয়ে গেছে। এছাড়া বংশগত কারণে ও অনেকের এই প্রবলেম হয়ে থাকে। এই গরমের সময় এই সমস্যা আরও প্রবল হয়ে উঠে। আমার কাছে মনে হয় স্কিনে দেখতে এই ছোট গর্তগুলো বড় বড় ব্রণের চেয়েও বেশি ভয়ংকর। কেননা এতে স্কিন খুবই বাজে লাগে আর দেখে বয়স ও অনেক বেশি মনে হয়। ছেলে কিংবা মেয়ে কেউই এধরেন ত্বক আশা করে না। আর তাই আমি আজকে একটি ঘরোয়া প্যাক এর ব্যাপারে লিখছি যেটা সত্যিই খুব কার্যকরী।
[picture]
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১. ১ টেবিল চামচ বেকিং (মীনা বাজার, আগরা ইত্যাদি সুপার শপ এ কিনতে পাওয়া যাবে)
২. ২ টেবিল চামচ কোকো পাওডার (যেকোনো সুপার শপ বা বড় ষ্টেশনারী দোকান এ কিনতে পাওয়া যাবে)
৩. ২ টেবিল চামচ মধু
ব্যবহারের পদ্ধতিঃ
প্রথমে মুখ ভালো কোন ফেস-ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে কিংবা ক্লিঞ্জার দিয়ে ক্লিন করে নিলে ও হবে। মোটকথা প্যাক ব্যবহার করার আগে আপনার মুখটি অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে। এটি শুধুমাত্র এক্ষেত্রেই নয়। যেকোনো ধরণের প্যাক ব্যাবহারের আগে অবশ্যই ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নেয়া উচিত। এখন উপরের সব উপকরণ একটি বাটিতে নিয়ে খুব ভালোভাবে মিক্স করতে হবে যাতে সবগুলো উপাদান একত্রে মিশে যায়। তারপর প্যাক টি একটু পুরু করে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
নিয়মিত ব্যবহারে মুখের গর্ত ও খোলা লোমকূপ ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসবে এবং আপনাকে দিবে সুন্দর ও মসৃণ ত্বক। এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের Pores reducing প্রোডাক্ট যেমনঃ ফেস-ওয়াশ, crème, pack ইত্যাদি কিনতে পাওয়া যায়। প্যাক লাগানোর পাশাপাশি ভালো মানের এধরণের প্রোডাক্ট ও ব্যবহার করতে পারেন।
বিঃদ্রঃ
১. এই প্যাকটি সপ্তাহে ১-২ বারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। কেননা বেকিং সোডা ক্ষারযুক্ত হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক খুব বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
২. এই প্যাকটি খুব বেশি সময় ধরে মুখে রাখা যাবে না।
আশা করছি লিখাটি সবার ভাল লাগবে এবং যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা উপকৃত হবেন। ভালো থাকবেন।
লিখেছেন – রিভা খান