তেহারি খেতে যেমনি মজাদার ঠিক তেমনি রান্না করতে অনেক সময় বারোটা বেজে যায়! সবার জন্য প্রযোজ্য নয় এই কথাটা। অনেকেই আছেন যারা তেহারি রান্নায় পারদর্শী। তবে অনেক সময় এমনও হয় যে, সিম্পলভাবে ঝামেলা ছাড়া তেহারি রান্না করে খেতে ইচ্ছে করে। আজ সেই ইচ্ছের কথা মাথায় রেখেই এই রেসিপি শেয়ার করা।একটা কথা বলতে চাই , এটাই যে অরিজিনাল তেহারি রেসিপি তা কিন্তু নয় , খুব সাধারন আর সহজভাবে বানানো একটা ভার্সন !
[picture]
উপকরণ
- মুরগি ( ১ টা ছোট পিস করে কাটা)/ গরুর মাংস ৬৫০ গ্রাম ছোট পিস করে কাটা
- হাফ কাপ দই
- পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
- আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
- রসুন বাটা ২ চা চামচ
- পেয়াজ বাটা ৩ চা চামচ
- এলাচি ৩ -৪ টা
- জয়ফল বাটাহাফ চা চামচ
- দারচিনি ২ -৩ টা
- লবঙ্গ কয়েকটা
- ২ -৩ টা তেজপাতা
- তেল ৪ টেবিল চামচ
- লবণ স্বাদমত
প্রণালী
মুরগির/ গরুর মাংশের সাথে উপরের সবকিছু মেখে মেরিনেট করে রাখুন ১ ঘন্টা। তারপর একদম অল্প পানি দিয়ে এটাকে রান্না করুন মুরগির মাংশ হলে ২৫ মিনিট, গরুর মাংস ১ ঘণ্টা। হালকা ঝোল থাকবে, তেল উপরে উঠে আসলেই বুঝবেন যে তৈরি।
পোলাও এর জন্য
- কালোজিরা পোলাও চাল / বাসমতি চাল ৩ কাপ
- হাফ কাপ সরিষার তেল
- লবণ স্বাদমত
- কাঁচা মরিচ ৯-১০ টা
- বেরেস্তা- ১/২ কাপ
প্রণালী
বড় একটা হাড়িতে সরিষার তেল দিয়ে তাতে চাল আর লবণ দিয়ে দিন। চালটা একটু ভেজে নিয়ে ৫ কাপ ফুটন্ত গরম পানি আর সাথে রান্না করা মুরগির পিসগুলা/গরুর মাংশ দিয়ে নেড়ে দিন। বেরেস্তা দিয়ে দিন। এবার চুলার আঁচটা বাড়িয়ে দিন। চালটা যখন ফুলে উঠবে আর পানি শুকাতে থাকবে তখন আঁচ একদম কমিয়ে উপরে কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢাকনা আটকে দমে দিয়ে দিন ২০ মিনিট-এর জন্য। সরাসরি চুলায় দেবেন না, নিচে একটি তাওয়া দিয়ে দিন। তাওয়া না থাকলে একটা হাড়িতে গরম পানি দিয়ে তার উপর তেহারির হাঁড়ি বসিয়ে দিন।ঢাকনা ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। খেয়াল রাখবেন ভাপ যেন বের না হয়। আর বেশি নারাচারা করবেন না তাহলে চাল ভেঙে যাবে। নামিয়ে গরম গরম সালাদের সাথে পরিবেশন করুন। তেহারিতে আলু যায় না ! যেহেতু আমরা আলু পছন্দ করি আমি আলু সিদ্ধ করে লাল করে ভেজে দমে দেয়ার সময় দিয়ে দিয়েছি।
ছবি ও রেসিপি – Romantic Kitchen Stories