যেহেতু বেডরুমেই আমরা বেশি সময় কাটাই তাই এই ঘরেরই বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। ব্যস্ততায় সব সময় নিজের ঘরের যত্ন নেয়া যায় না। তারপরও সময় বের করে ঘর পরিষ্কার রাখুন নিয়মিত। এটি এনে দিবে আপনার সুরক্ষা। নিজের যত্নের পাশাপাশি নিয়মিত নিজের বেডরুম পরিষ্কার রাখুন।
ঘর পরিষ্কার করার সহজ উপায়
১) ঘরের আসবাবপত্র পরিস্কারের সময় পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। জোরে ঝাড় দিলে ধুলো ময়লা উড়তে থাকবে, তাই কাপড় ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন। ন্যাপকিন, ডাস্টার বা তোয়ালে ব্যবহার করুন।
২) বেকিং সোডা দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। কার্পেট, জুতোর গন্ধ দূর করতে কিছুক্ষণ বেকিং সোডা ঘরে ছড়িয়ে রাখুন, তারপর পরিষ্কার করে ফেলুন।
৩) সপ্তাহে একদিন ঘরের ঝুল ঝেড়ে ফেলুন। ঘরের কোনা এবং সিলিং ফ্যান বা এসিতে ঝুল বেশি হয়ে থাকে তাই প্রথমেই এগুলো পরিস্কার করে নিন। পরিস্কারের জন্য পেইন্টিং ব্রাশ বা লম্বা ঝুল ঝাড়ার ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন।
৪) বেডরুমে বুকশেলফ থাকলে সপ্তাহে একদিন হলেও পরিষ্কার করুন। বইয়ে ধুলো ময়লা বেশি হয়।
৫) বিছানা বালিশের কাভার নিয়মিত পরিষ্কার করতে দিন। এক সপ্তাহের বেশি একই কাভার বেশিদিন রাখলে ধুলাবালি বেশি জমে যায়।
৬) অনেকে জানালা এবং জানালার পর্দা পরিষ্কার করেন খুব কম। কিন্তু মাসে একবার পর্দা পরিষ্কার করা ভালো এবং এক-দুই সপ্তাহে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে জানালা পরিষ্কার করুন। এতে ঘরে ধুলো ময়লার প্রকোপ কম হয়। পর্দা ভারি হলে ড্রাই ওয়াশে দিতে পারেন অথবা নিজেই ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৭) আয়না নিয়মিত পরিস্কারের জন্য গ্লাস ক্লিনার বা পানিতে সামান্য ডিটারজেন্ট দিয়েও পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে কাঁচ মুছে দিন।এতে দাগ হবেনা এবং আয়না ঝকঝকে দেখাবে।
৮) নিজের কাপড়ের পাশাপাশি আপনার রুমাল এবং তোয়ালে পরিষ্কার করতে দিন।
৯) ওয়ারড্রব, টেবিল, ড্রেসিং টেবিল সবসময় পরিষ্কার করতে ভেজা কাপড় ব্যবহার করুন।
১০) ঘরে পার্সোনাল পিসি থাকলে সেটা সাবধানে শুকনো কাপড়ের সাথে মুছে পরিষ্কার করুন।
১১) মেঝে পরিষ্কার রাখতে মাসে একবার আসবাব সরিয়ে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। পরে একবার ভেজা কাপড় এবং শেষে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। না হলে মেঝে পিচ্ছিল থেকে যাবে।
১২) ঘরের সাথে বারান্দা থাকলে সেটা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। না হলে সেখানকার ধুলা ঘরে সহজেই প্রবেশ করবে। সপ্তাহে প্রতিদিন বারান্দা পরিষ্কার করুন। বারান্দায় কোন আসবাব থাকলে নিয়মিত ঝাড়ুর সাহায্যে পরিষ্কার রাখুন।
১৩) অনেকের ধুলাবালিতে অনেক রকম অ্যালার্জি থাকে। পরিষ্কারের সময় হ্যান্ড গ্লভস পড়ে নিলে ভালো হয়।
১৪) ঘর সাজানোর জন্য শোপিস, ফুলদানি এসব প্রতিদিন পাতলা কাপড় দিয়ে ঝেরে ঝেরে পরিষ্কার করুন।
১৫) ঘরে পুতুল সাজানো থাকলে সেগুলো প্রত্যেক মাসে মাসে ধুয়ে নিন। মাঝে মাঝে সেগুলো ঝেরে নিবেন। এতে ধুলো বালি জমবে না।
১৬) ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে কার্পেট পরিস্কার করা সহজ হয়। এছাড়া নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
ঘর সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব না। তাই অল্প সময় হলেও বের করে নিন এবং ঘরের এক একটি জিনিস পরিষ্কারের জন্য সময় ভাগ করে নিন। তাহলে হয়তো ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাটা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে! ব্যস্ততা থাকলেও অন্তত নিজের ঘরটা পরিষ্কার রাখা নিজের জন্যই জরুরী।
ছবি – ব্যাকঅ্যান্ডনেক.সিএ