ঘরে বাইরে বিভিন্ন ধরণের কাজে আমরা সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকি। আর কিছুক্ষণ পর পর সাবান অথবা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুই। এতে করে যা হয়, আমাদের হাতের ময়লা আর জীবাণু ঠিকই পরিষ্কার হয় কিন্তু হাত হয়ে পড়ে রুক্ষ, খসখসে আর প্রাণহীন। হাত হারায় তার সৌন্দর্য। সামনে ঈদ আর এই মূহূর্তে আপনার হাতের জন্য চাই এক্সট্রা কিছু যত্ন। বাজারে যে হ্যান্ড ক্রিমগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোর মধ্যে হাতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা আর অসাধারণ ঘ্রাণ সম্মৃদ্ধ ক্রিম আমি খুব কমই পেয়েছি। এই দুইটি গুণ সম্মৃদ্ধ হ্যান্ড ক্রিম নিজেই বাসায় কীভাবে বানাতে পারবেন, তা আজ আপনাদের জানাবো।
[picture]
হাতের যত্নে ল্যাভেন্ডার হ্যান্ড ক্রিম তৈরিতে যা যা লাগছে:
১। ১/৩ কাপ সুইট আমন্ড অয়েল
২। ২ টেবিল চামচ কোকোনাট অয়েল
৩। ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
৪। ৩ টেবিল চামচ BEESWAX (Grated)
৫। ৩০-৩৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল
যেভাবে বানাবেন:
১। প্রথমে একটি পাত্রে সব ধরণের তেল নিয়ে চুলায় বসিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিটের মত গরম করুন। এখন চুলা থেকে পাত্রটি সরিয়ে তাতে গ্রেটেড BEESWAX দিয়ে দিন। নাড়তে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না তা পুরোপুরি গলে যায়।
২। এবার ফ্রিজে রেখে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মত ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হতে শুরু করলে তাতে এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে নাড়তে থাকুন (বেশি ঘ্রাণের জন্য ৩৫ ফোঁটা আর কম ঘ্রাণের জন্য ৩০ ফোঁটাই যথেষ্ট)।
৩। এই ধাপে ক্রিমটি যেকোনো কাঁচের কনটেইনারে নিয়ে নিন। সম্পূর্ণরূপে ঠান্ডা করুন।
কিছু কথা:
এই ক্রিমটি তৈরির কোনো ধাপে পানি ব্যবহার করা হয়নি। ক্রিমটি তৈরি করতে ব্লেন্ডার ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। গরমের সময় ক্রিমটি নরম আর ঠান্ডার সময় কিছুটা জমাট বাঁধা অবস্থায় থাকবে। আপনি চাইলে ফ্রিজে না রেখে রুম টেম্পারেচারে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন।
ক্রিমে বৈচিত্র আনতে চাইলে:
১। পাম্পের সাহায্যে ব্যবহার করতে চাইলে, শুধুমাত্র ২ টেবিল চামচ BEESWAX নিবেন।
২। ঘনত্ব বাড়াতে চাইলে ৪ টেবিল চামচ BEESWAX দিন।
৩। আপনার পছন্দের ঘ্রাণ সমৃদ্ধ অন্য কোনো এসেনশিয়াল অয়েল চাইলে ব্যবহার করতে পারেন, ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের পরিবর্তে।
এইতো খুব সহজেই হয়ে গেলো অত্যন্ত কার্যকরী ল্যাভেন্ডার হ্যান্ড ক্রিম। চাইলে ছোটো জারে করে কাছের প্রিয় মানুষগুলোকেও উপহার দিতে পারেন।
ছবি – গ্ল্যামহ্যাক.কম
লিখেছেন- নীল