কে না চায় পুতুলের মতো লম্বা চুল, ফর্সা গায়ের রঙ আর উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারিণী হতে! ধরুন কেমিক্যাল প্রোডাক্টগুলো কথাই! আমরা জানি এগুলো আমাদের কোমল ত্বকের অনেক ক্ষতি করে। সেটা জেনেও সুন্দর দেখানোর জন্য আমরা অনেক সময় কেমিক্যালের আশ্রয় নেই। আজ আমি সেই সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে নিরাপদে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার কিছু টিপস দিব। এগুলো ব্যবহারে ত্বক হবে প্রাকৃতিকভাবেই ফর্সা।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার দারুণ কিছু উপায়
১. ১ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং আধা টেবিল চামচ বাদামের তেল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এই প্যাকটি মুখে শাইন আনবে আর রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
২. বেসন, দুধ ২ চা চামচ এবং লেবুর রসের মিশ্রণ মুখে, গলায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এটা লাগান আপনার গায়ের রঙ অবশ্যই উজ্জ্বল হবে।
৩. আমরা সবাই কমলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেই। অথচ এই ফেলনা জিনিসটাই আপনাকে পৌছে দিবে আপনার স্বপ্নের অনেক কাছাকাছি। কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। তারপর ১ টেবিল চামচ গুঁড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ টক দইয়ের পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৪. ঝকঝকে ত্বকের জন্য চন্দন গুঁড়োর অবদান অনস্বীকার্য। চন্দন গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে প্রত্যেক দিন হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার মুখে হাসি ফুটবেই।
৫. আপনার যদি টমেটোতে অ্যালার্জি না থেকে থাকে তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের সাথে টমেটো পিউরি মিশিয়ে মুখে এবং গলায় ব্যবহার করুন ফর্সা ত্বকের জন্য এবং ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৬. আধা কাপ চায়ের লিকার (ঠাণ্ডা), ২ চামচ চালের গুঁড়ো, আধা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। চালের গুঁড়ো স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করবে আর মধু মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখবে।
৭. শশার রস আর মধু সমপরিমাণ নিয়ে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকে মধুর বদলে লেবু ব্যবহার করতে হবে।
৮. সপ্তাহে একবার পাকা কলা চটকিয়ে মুখে লাগান আর ৩/৪ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখে লুকিয়ে থাকা সব ময়লা নিমিষেই পালিয়ে যাবে আর আপনি হয়ে উঠবেন আরো আকর্ষণীয়।
৯. ২ টেবিল চামচ বেসন, ২ চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর ১ চা চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। মুখে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন এই প্যাকটি। তারপর ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন হলুদ কিন্তু সবার ত্বকের জন্য নয়। তাই আগে একটু টেস্ট করে নিবেন কাঁচা হলুদ আপনার বন্ধু না শত্রু।
১০. কাঁচা আলুর রস অথবা আলু পাতলা করে কেটে অথবা আলুর পাল্প দিনে ২ বার করে ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাবেন।
আশা করছি প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় ও টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন উপাদানগুলোর সাথে আপনার ত্বক মানিয়ে নিতে পারে কিনা। আপনার এক বন্ধু বা আত্মীয় এক উপাদান দিয়ে উপকার পায় বলে আপনিও পাবেন এমন কোন কথা নেই। সেজন্য আমি বিভিন্ন উপাদানের প্যাকের রেসিপি দিয়েছি। সব সময় আগে অল্প করে হাতে লাগিয়ে দেখবেন কোন ধরনের চুলকানি কিংবা জায়গাটা লাল হয়ে যাচ্ছে কিনা। তারপর পছন্দসই প্যাকটি বেছে নিন।
ডিসক্লেইমার: “ফর্সা ত্বক সৌন্দর্যের একমাত্র মাপকাঠি নয়”।
প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় তো জানলেন। এখন কথা হলো প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য যে উপাদানগুলোর কথা বললাম অনেক সময় এ সকল উপাদান সংগ্রহ করে তা দিয়ে প্যাক বানিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করা অনেকের জন্য কঠিন বা সময় সাপেক্ষ হয়ে যায়। তাই তাদের জন্য শপ সাজগোজ নিয়ে এসেছে কিছু অথেনটিক প্রোডাক্টস যেগুলো ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। চলুন দেখে নেই প্রোডাক্টসগুলো…
ছবি- রাহাত আমিন চৌধুরী (ArchQuad Photography); সংগৃহীত: সাজগোজ