জীবনকে সহজ করে দেখুন, বাঁচুন শান্তিতে! - Shajgoj

জীবনকে সহজ করে দেখুন, বাঁচুন শান্তিতে!

Untitled

জীবনটা মাঝে মাঝে বড্ড জটিল লাগে তাইনা? মনে হয় কিছুই আর সহজ নেই, সবকিছুতে কেমন তালগোল পাকানো অবস্থা। বিরক্তি এসে যায় তখন জীবন নিয়ে, নিজেকে নিয়ে। আমরা কিন্তু নিজেরাই জীবনকে অনেক ক্ষেত্রে কঠিন করে তুলি। সহজ জিনিষগুলো জটিল বানিয়ে দিই, সোজা পথ রেখে ঘুরপথে পা বাড়াই।

[picture]

Sale • Split Ends, Sun Protection, Tan Removal

    এগুলো মানুষের সহজাত স্বভাব। স্বভাবের বাইরে আমরা সহজে যেতে পারি না, তা ঠিক। তবে চাইলে আর চেষ্টা করলে সেই স্বভাবের উল্টোপথে গিয়ে কিছুই যে করা সম্ভব না, তা কিন্তু নয়। জীবনকে সহজ থাকতে দিতে চান তো নিজেকে সবকিছুতে সহজ করুন, নিজের চিন্তাভাবনা বেশি জটিল হতে দেবেন না। দেখবেন কতো সমস্যা আপনা-আপনিই মিটে যাবে!

    খুচরো আনন্দে বাঁচতে শিখুন। ছোট ছোট ঘটনায় খুশি খুঁজে নিন। সবসময় বিশাল প্রত্যাশার চাপে হাতে থাকা আনন্দগুলোকে গলা টিপে মারবেন না। হতেই পারে জীবন নিয়ে অনেক উচ্চাশা আপনার। তার সবকিছু পূরণ হয়নি, হচ্ছে না, বা কখনো হবার উপায় নেই। তাই জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা জমা হয়েছে মনে। তাতে করে লাভটা কার হচ্ছে ভাবুন? ছোটবেলায় কতো তুচ্ছ জিনিষে মুগ্ধতা থাকে আমাদের, সেই দিনগুলি মনে করুন তো। কেনো বড় হতে হতে জীবনটাকে তুমুল একটা প্রতিযোগিতা বানিয়ে ফেলি, যেখানে হারজিত আমাদের জীবন-মরণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়? বড় বড় লক্ষ্য স্থির করে রাখি, সেগুলো পূরণ না হলেই ব্যাস নিজেদের ব্যর্থ বলে মেনে নিই, জীবনে আর কোন আনন্দ বাকি নেই সে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি! জীবনটা কি কেবলই বিশাল সব লক্ষ্যভেদী একটা খেলা? তা তো নয়!

    আনন্দরা সামান্য জিনিষেই বাসা বাঁধে। প্রিয়জনের সাথে একান্তে কাটানো সময়, মা-বাবার জন্য কেনা উপহার, কোন অসহায় মানুষের একবেলার খাবারের দায়িত্ব, দূরে কোথাও ঘুরতে বেরিয়ে পড়া, অফিস-ফেরত টং দোকানের চা-আড্ডা, এসব হলো জীবনের আনন্দের উৎস। অফুরান খুশি পাবেন এই জীবনে, যখন বড় বড় স্বপ্নের পিছু না ছুটে জীবনকে এসব ছোট্ট ঘটনায় ভাগ করে দেবেন।

    ক্ষমাশীল হওয়া যে সহজ তা বলবো না, তবে খুব শান্তির, এইটুক বলতেই পারি। বড় বড় বাজে ঘটনা যা আমাদের সাথে ঘটে, সেসব মন থেকে সহজে মোছার নয়। কিন্তু আমরা প্রায় সময় সামান্য সব বাজে ঘটনাও মনে চেপে রাখি। আমাদের সাথে একটু ভুল কিছু করা মানুষটাও হয়তো দিনের পর দিন ঘৃণার পাত্র হয়ে মনে থেকে যায়। অথচ ক্ষমা করে দেখুন তাকে, নিজের মন কতো হালকা হয়ে গেছে। আপনার ঘৃণায় তার কিছুই হবে না কিন্তু আপনার মনটা যে বিষিয়ে থাকছে, তা কি আপনার পক্ষে ভালো?

    উদারতা ভুলে যাবেন না কখনো। উদার হবার মানে তো এই নয় যে নিজেকে সবকিছুতে বঞ্চিত করে রাখলেন, নিজের সব বিলিয়ে দিলেন অন্যকে। উদার হন দৃষ্টিভঙ্গীতে। যেকোন পরিস্থিতিতে অন্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করার অভ্যাস রাখুন। আমার কথাই শেষ কথা, আমার ভাবনাই সঠিক, আমিই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্য এই রকম চিন্তাধারা থেকে থাকলে সেটা পাল্টান। দুনিয়ার সব বোঝা নিজের কাঁধে নেবেন তো জীবন একটু বেশি ভারী হবেই! উদার হন মানুষের প্রতি নিজের চিন্তাভাবনায়, দেখবেন জীবনও আপনার প্রতি উদার হচ্ছে।

    সব মানুষের ভালো-মন্দ দুইটা দিকই থাকে। আমাদের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটারও কিছু মন্দ বা অসুবিধাজনক ব্যাপার থাকে, থাকবেই। তারা আমাদের কাছের হয় বলে আমরা সেসব জিনিষ উপেক্ষা করে যেতে পারি। তবে কেনো এই কাজটা সবার জন্য করি না? কেনো আর মানুষদের খারাপ দিকগুলি বড় বেশি চোখে লাগে? একটু চেষ্টা তো করাই যায় সবারই খারাপটা রেখে ভালো দিকটা মনে রাখতে। তাতে কোন অসুবিধা না হলে তবে কেনো করবো না? আর কিছু হোক বা না হোক, অন্তত নিজের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা বেশি থাকবে যেটা মনের শান্তির জন্য খুব প্রয়োজনীয়।

    ছবি – ফটোগ্রাফারস.ক্যানভেরা.কম

    লিখেছেন –  মুমতাহীনা

    4 I like it
    0 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort