সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস একটি বড় সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে ওষুধের পাশাপাশি খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমে শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো শরীরের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখে এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো প্রতিদিন খাওয়া প্রাকৃতিকভাবেই ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এগুলো ৩০ দিনের মধ্যে ডায়াবেটিস কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
(১) কাঠবাদাম
কাঠবাদাম ডায়াবেটিক রোগীর জন্য পরম বন্ধু। এই খাবারে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ আঁশ এবং প্রোটিন; যা ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে ৩০ দিনে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
[picture]
(২) গ্রিন টি
গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে ফিটোনিউট্রিয়েন্টস যেমন : ক্যাটাচিন এবং ট্যানিন্স। এগুলো রক্তের শর্করার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। তাই দিনে দুই বেলা গ্রিন টি পান করলে ৩০ দিনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
(৩) আপেল
বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরলও কমায়।
(৪) গাজর
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গাজর অন্যতম একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে বেটা কেরোটিন। এই কমলা রঙের সবজিটিতে কম পরিমাণ শর্করা রয়েছে, যা শরীরের ইনসুলিনের মাত্রাকে ঠিক রাখতে বেশ কার্যকর।
(৫) মাছ
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ মাছ খাওয়া ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এটা ইনসুলিনের মাত্রা কমায়। সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই জাতীয় মাছ খেতে হবে।
(৬) জলপাইয়ের তেল
বর্তমানে অনেকেই রান্নায় জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভালো মানের চর্বি; যেটা ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত জলপাইয়ের তেল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
(৭) সাইট্রাস ফুড
সাইট্রাস খাবারের মধ্যে কমলা অন্যতম। এর মধ্যে থাকা ফিটোনিউট্রিয়েন্টস ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। এ ছাড়া কমলার মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাবোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস, টারপিন, প্যাকটিনস ইত্যাদি। এগুলো শরীরের জন্য বেশ উপকারী।
(৮) ওটস
ওটসের মধ্যে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট; যা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই নিয়ম করে ৩০ দিন ওটস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।
গবেষণা করে দেখা গেছে যে, যে সমস্ত ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাদের ডায়াবেটিস জনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। যাদের ডায়াবেটিস নেই মেথি তাদের জন্যও জরুরি।মেথি সীমিত মাত্রায় ডায়াবেটিস (টাইপ ১ ও টাইপ ২) নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
ছবি – মাইলাইফটি.কম
লিখেছেন – লিন্নি