কথায় আছে শাকের মধ্যে ‘পুঁই আর মাছের মধ্যে রুই’। এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে ভোজনরসিকদের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা। বাজারে দু’ধরনের (লাল এবং সবুজ রঙের) পুঁই পাওয়া গেলেও রান্নায় সবুজ পুঁইয়ের ব্যবহার বেশি।আজ এই পুঁই শাক নিয়েই রেসিপি আয়োজন। আচ্ছা , বিকেলের নাস্তায় বা দুপুরে গরম গরম ভাতের সাথে পুঁই পাকোড়া খাওয়া হয়েছে কখনো? না খাওয়া হয়ে থাকলে আজই ট্রাই করে দেখুন। রান্নার সুবিধার্থে পুরো প্রণালী দেয়া হল।
উপকরণ
- পুঁই শাকের শুধু পাতা বড় বড় করে কাটা ১ বাটি
- বেসন ১ কাপ
- চালের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
- কর্ণফ্লাওয়ার ১ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ
- হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
- জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ
- আস্ত কালোজিরা আধা চা চামচ
- লবন স্বাদমতো
- পানি পরিমাণমতো
- তেল ডুবিয়ে ভাজার জন্য
[picture]
প্রণালী
( ১ ) প্রথমে কেটে রাখা পুঁই শাকের পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝড়ানোর জন্য রেখে দিতে হবে ।
( ২ ) এবার একটি বাটিতে বেসনের সাথে তেল বাদে অন্য সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে । মিশ্রনটা ভালোভাবে স্মুদ করে মেশাতে হবে যেন এর মধ্যে কোন দলা না থাকে । আর মিশ্রনটা বেশি পাতলা করা যাবে না, একটু ঘন হবে বেশি নয় ।
( ৩ ) ভালো স্মুদ মিশ্রন তৈরী হয়ে গেলে ঢেকে রেখে দিন ১০-১৫ মিনিট। ভাজার আগে মিশ্রণটা আবার একটা ছোট চামচের সাহায্যে নেড়ে নিতে হবে ।
( ৪ ) ভাজার সময় তেল গরম করে পুঁই শাকের কাটা পাতা এক সাথে ২-৩টা করে নিয়ে বেসনের মিশ্রনে ভালোভাবে ডুবিয়ে তেলে ছাড়ুন । ছবি দেয়া আছে, দেখলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন । মাঝারি আঁচে ভাজতে হবে । এক সাইড ভাজা হয়ে গেলে উল্টে দিন এভাবে বাদামী করে ভেজে ফেলুন সবগুলো ।
( ৫ ) তেল বেশি গরম হয়ে গেলে চুলার আঁচ কমিয়ে দিন । সাবধানে ভাজুন যেন পুড়ে না যায়, শাক পুড়ে গেলে খেতে ভালো লাগবে না । তেল থেকে তুলে টিস্যুতে রেখে বাড়তি তেল ঝড়িয়ে ফেলুন ।
ব্যস, তৈরী হয়ে গেল গরম গরম মুচমুচে পুঁই শাকের পাকোড়া ।
পরিবেশন
পরিবেশনের আগে গরম গরম ভেজে পরিবেশন করুন দারুন মজার মুচমুচে পুঁই শাকের পাকোড়া । আগে ভেজে রাখতে চাইলে ভেজে ঠান্ডা করে এয়ার টাইট বক্সে ভরে রাখুন । এভাবে আধা ঘন্টা ভাল থাকবে । এই উপকরণে ৬-৭ জনকে পরিবেশন করা যাবে ।
ছবি ও রেসিপি – আফরুজা শিল্পী