তৈলাক্ত চুল? আপনি একা নন। অনেকেই তৈলাক্ত চুল নিয়ে হতাশা বা লজ্জায় পড়েছেন। তৈলাক্ত চুলে উকুনের সংক্রমণের পাশাপাশি বড় ধরণের স্বাস্থ্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সেই বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে আছে মাথার তালুর সংক্রমণ বা Scalp Infection। তাই তৈলাক্ত চুল নিয়ে হতাশা বা লজ্জায় না ভুগে আসুন দেখা যাক ডাক্তারের কাছে না গিয়েও কিভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়?
তৈলাক্ত চুল ও এর প্রথম যত্ন
অনেকের মাঝেই একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, চুল যত বেশী বেশী ধোয়া হবে চুলের তৈলাক্ত ভাব ততই কমবে কিন্তু সেটা একেবারেই ভুল। বরং ঠিক তার বিপরীতটা হয়। অবাক হচ্ছেন? হবারই কথা। তাহলে কারণটা জানুন শীঘ্রই! প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল শ্যাম্পুর রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। যার ফলে মাথার আর্দ্র ভাব কমে গিয়ে মাথার তালু বা স্ক্যাল্প (scalp) শুষ্ক হয়ে যায়। আর সেই শুষ্কতা দূর করতে গিয়ে আমাদের শরীর আরো বেশী করে তেল উৎপাদন করে। ফলাফল স্বরূপ,আপনি পাচ্ছেন তৈলাক্ত স্ক্যাল্প বা তৈলাক্ত চুল!
তাই পরিমিত শ্যাম্পু করার পাশাপাশি পার্লার গ্রেড-এর শ্যাম্পু বিশেষ করে যেগুলো তৈলাক্ত চুলের জন্যে তৈরী সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
শুধু শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই কি হবে? কন্ডিশনার-এর কথা ভুলে যাবেন না! শ্যাম্পুর পাশাপাশি কন্ডিশনার ব্যবহারেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হালকা ফরমুলায় (light formula) তৈরী কন্ডিশনারই ব্যবহার করা উচিত। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশী কন্ডিশনার ব্যবহার করা ঠিক না। কন্ডিশনার ব্যবহারের সময় শুধুমাত্র চুলেই কন্ডিশনার লাগাতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন মাথার তালুতে বা স্ক্যাল্প-এ কন্ডিশনার না লাগে। কারণ কন্ডিশনার তৈরী হয়েছে চুলের জন্যে মাথার জন্যে না।
ঝটপট সমাধান
মাঝে মাঝে আমরা এত ব্যস্ত থাকি যে, চুল শ্যাম্পু করার মত সময় পাই না। অথচ তেল চিটচিটে চুল নিয়ে বাহিরে বের হলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে। নিজের কনফিডেন্সটা ঠিক যেন হারিয়ে যায়। তেল চিটচিটে চুল চট জলদি ঝরঝরে ও সিল্কি করার ছোট্ট একটা ট্রিক্স বলছি! তেল চিটচিটে চুল থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পেতে হলে হাতের কাছে যে বেবী পাওডার আছে তার থেকে একটু বেবী পাউডার আংগুলে দিয়ে মাথার মধ্যে বিলিকেটে চুলের গোড়ায় গোড়ায় দিয়ে দিন। লম্বা দাঁতওয়ালা চিরুনী দিয়েও বেবী পাউডার দিতে পারেন। দেখবেন সাথে সাথে চুলের তেল চিটচিটে ভাব চলে গেছে! তবে চুলে বেশী পরিমানে পাউডার ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন।
চুলের যত্ন রেগ্যুলার নিন। চুলকে অবহেলা করলে এক সময় এই চুলের জন্যই আপনি নিজের কাছে নিজেই অবহেলিত হবেন। বাকিদের কটাক্ষ উক্তি আর দৃষ্টি নাই বা বললাম।
ছবি- সংগৃহীত: shutterstock